সকাল সকাল চা বা কফি কিছু একটা না হলে আপনার চলে না? আর চা বা কফিতে আপনি বেশ খানিকটা চিনি (sugar) মেশান তাই তো? এরপরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের মাঝখানে টুকটাক মুখ চলতেই থাকে, আর তার মধ্যে মিষ্টি থাকতেই হবে। মিষ্টি না খেলে (diet) যেন মনে হয় কিছুই খেলাম না! মিষ্টি খান, তবে পরিমাণে যদি তা অনেক বেশি হয়ে যায়, তখনই নানা ধরনের সমস্যা (health issues) শুরু হয়।
আসলে চিনি (sugar) ব্যাপারটা খেতে সুস্বাদু হলেও আমাদের শরীরের পক্ষে তো খুব একটা ভাল না, একথা আপনি নিজেও জানেন। ওবেসিটি বা ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এবং আরও নানা শারীরিক সমস্যা (health issues) হতে পারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি খেলে। খুব সম্ভবত এ কারণেই চিনিকে ‘মিষ্টি বিষ’ বলা হয়। কিন্তু আপনি যে অনেক চেষ্টা করেও চিনি (sugar) খাওয়া কমাতে পারছেন না, একথা আপনি কাকে বোঝাবেন? আমরা বলি কী, কাউকে বোঝাতে হবে না, বরং আর একটু চেষ্টা করুন। আর আপনাকে চিনি খাওয়া কমাতে বা ছাড়তে সাহায্য করব আমরা। রইল সুগার ডিটক্স-এর (sugar detox) কয়েকটি সহজ উপায়।
বেশি করে প্রোটিন খান
চিনির আসক্তি কমাতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার সাহায্য করে (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
আমাদের শরীরে এনার্জি বা শক্তির জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। অনেকের ধারণা আছে সক্কাল সক্কাল ভাত খেয়ে নিলেই সারাদিনের এনার্জি পাওয়া যাবে। কিন্তু শরীরে যে চিনির পরিমাণ বাড়ছে এবং তারপরেও সারাদিন নানা খাবারের (diet) সঙ্গে চিনি (sugar) আমাদের শরীরে ঢুকছে; সে খেয়াল আছে কি? চিনির আসক্তি কমাতে (sugar detox) বেশি করে প্রোটিন খাওয়া শুরু করুন। সামুদ্রিক মাছ, দেশি মুর্গি ইত্যাদি খাবারে যোগ করুন। আপনি যদি নিরামিষাশী হন সেক্ষেত্রে সোয়াবিন, আমন্ড, টক দই ইত্যাদি বেশি করে খেতে পারেন।
হেলদি কিছু স্ন্যাক খেতে পারেন
ফল ও সব্জির রস খেতে পারেন স্ন্যাক হিসেবে (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
আমাদের যখন টুকটাক মুখ চালানোর মতো খিদে পায়, সে সময়েই আমরা সবচেয়ে আনহেলদি খাবার (diet) খেয়ে ফেলি। কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, নিদেন পক্ষে ভাজাভুজি আর চিনি (sugar) দেওয়া চা – এগুলো কিন্তু আমাদের শরীরে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং নিজের অজান্তেই যে শরীরের কতটা ক্ষতি (health issues) আমরা নিজেরাই করে ফেলি; তা বুঝতেও পারি না। টুকটাক খিদে পেলে ড্রাইফ্রুট, গ্রিন টি-র সঙ্গে মাল্টিগ্রেইন বিস্কুট, গ্রানোলা বার ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব কিছুই যদি না পান, তেল ছাড়া মুড়ি মাখা, ছোলা সেদ্ধ এগুলোও খেতে পারেন।
চার দিনের সুগার ডিটক্স মিল প্ল্যান ট্রাই করে দেখতে পারেন
ফল, শাক-সব্জি খাওয়া শুরু করুন চিনির আসক্তি কমাতে (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
প্রথম দিন
- ভোরবেলা – এক কাপ উষ্ণ জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন
- প্রাতরাশ – একটি সেদ্ধ ডিম, এক কাপ দুধ, এক স্লাইস আটার পাউরুটি, চারটি আমন্ড
- লাঞ্চ – এক টুকরো (১০০ গ্রাম) গ্রিল করা মাছ, এক বাটি টক দই
- স্ন্যাক্স – একটি আপেল বা পেয়ারা, দুটো মাল্টিগ্রেইন বিস্কুট
- ডিনার – এক কাপ ছোলা সেদ্ধ, এক বাটি কুমড়োর সুপ
দ্বিতীয় দিন
- ভোরবেলা – এক গ্লাস মেথি ভেজানো জল (আগের রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
- প্রাতরাশ – এক বাটি কিনুয়া (সব্জি দেওয়া), দুটো আমন্ড
- লাঞ্চ – একটি সেদ্ধ করা মিষ্টি আলু, ৭৫ গ্রাম গ্রিল করা মুরগির মাংস, আধ কাপ গ্রিল করা সব্জি
- স্ন্যাক্স – একটি কচি ডাবের জল
- ডিনার – এক বাটি সেদ্ধ ডাল, এক কাপ সতে করা সব্জি, এক কাপ গ্রিন টি (ক্যামোমাইল টি খেতে পারেন)
তৃতীয় দিন
- ভোরবেলা – এক কাপ উষ্ণ জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন
- প্রাতরাশ – এক বাটি সব্জি দেওয়া চিড়ের পোলাও, গ্রিন টি
- লাঞ্চ – দুটো আটার রুটি, এক কাপ মিক্স ভেজিটেবল, এক বাটি ডাল, এক টুকরো মাছ (ছোট), এক বাটি টক দই
- স্ন্যাক্স – দশটি পেস্তা, এক কাপ গ্রিন টি অথবা একটি সেদ্ধ ডিম, দুটো আমন্ড
- ডিনার – ১০০ গ্রাম গ্রিল করা মাছ, অ্যাড কাপের কম কিনুয়া, এক বাটি টক দই
চতুর্থ দিন
- ভোরবেলা – এক গ্লাস মেথি ভেজানো জল (আগের রাতে ভিজিয়ে রাখুন)
- প্রাতরাশ – দুটো ডিমের ভুরজি অথবা বেসনের চিলা, এক কাপ গ্রিন টি, দুটো আমন্ড
- লাঞ্চ – আধ কাপ সব্জি দেওয়া ব্রাউন রাইস, এক বাটি ডাল, এক বাটি টক দই
- স্ন্যাক্ – এক গ্লাস তরমুজের রস, দুটো আমন্ড
- ডিনার – এক বাটি ব্রোকলি সুপ, একটি ডিমের পোচ, এক কাপ উষ্ণ দুধ (সামান্য হলুদ দেওয়া)
ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!