“যেমন আছ তেমনি এসো আর কোরো না সাজ”…. রবিঠাকুর এই কথা বলে গেলেও অন্তত নিজের বিয়ের দিন কোনও মেয়ের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। ওই একটি মাত্র দিন প্রাণ খুলে সাজার দিন। নিজেকে প্রজাপতির মতো মেলে ধরার দিন। আর বাঙালি কনেরা তো আরও এক কদম এগিয়ে থাকেন। তাঁদের পা থেকে থেকে মাথা পর্যন্ত সাজানো থাকে নানা ছোট বড় গয়না দিয়ে। আর এই প্রত্যেকটা অলঙ্কার হল একেকটি মাস্টারপিস (Bengali Bridal Jewellery Collection), যাকে বলা চলে অনন্য শিল্পকর্ম। কিছু গয়না বংশ পরম্পরায় চলে আসে। মা তাঁর মেয়েকে দেন বা শাশুড়ি তাঁর বউমাকে। আবার তাঁরাও হয়তো এটি পেয়েছেন তাঁদের মা বা শাশুড়ির কাছ থেকে। অর্থাৎ বাঙালি কনেদের কাছে গয়না মানে শুধু নিজেকে সাজিয়ে তোলার অলঙ্কার নয়, গয়না মানে উত্তরাধিকার, গয়না মানে আভিজাত্য। রইল সনাতনী ও আধুনিক মিলিয়ে এমন কয়েকটি বাঙালি বিয়ের গয়নার (Bengali Wedding Jewellery) সন্ধান যা বাঙালি কনে তাঁর বিয়ের দিন পরেন।
যে গয়নাগুলি ছাড়া বাঙালি কনের সাজ অসম্পূর্ণ (The Most Important Bengali Traditional Wedding Jewellery)
কিছু গয়না আছে যা ভীষণভাবে বাঙালিয়ানায় ভরপুর। এগুলো প্রাচীনকাল থেকে বাঙালি বধুরা তাঁদের অঙ্গশোভা (Bengali Traditional Wedding Jewellery) হিসেবে পরে আসছেন। এগুলোকে আমরা তাই বলতে পারি সাবেকি বা সনাতনী বাঙালি গয়না। এগুলো আসলে মূল বাঙালি বিয়ের গয়না যেগুলো ছাড়া বাঙালি বিয়ে বা বাঙালি কনের সাজ প্রায় অসম্পূর্ণ (Bengali Bridal Jewellery Collection)।
১। কানের গয়না (Ear Jewellery)
বাঙালি কনে তাঁর কানে নানা রকমের গয়না পরেন। বিয়ের দিন সকালবেলা বা আইবুড়ো ভাতের দিন তিনি বসা দুল পরেন। তবে বাঙালি কনেদের বেশিরভাগ ঝোলা দুল বা ঝুমকো জাতীয় কানের দুল বেশি পছন্দ করেন। অনেকেই হার বা নেকলেসের সঙ্গে সেট হিসেবে কানের দুল পরেন। সাবেকি গয়না হিসেবে অনেক কনেই কানপাশা বা বড় আকারের দুলও পরেন।
বসা দুল বা স্টাড (Ear Top)
বিয়ের সময় রাত্রে না হলেও দিনের বেলা বা বিবাহের অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান চলার সময় কানে বসা দুল পরেন। এই রকম দুল অনেক উপহারও পান। ছোট্ট নকশার দুল দেখতে খারাপ লাগে না।
ঝোলা দুল (Kaner Dul)
বিয়ের আসরে কনে নানা নকশার ঝোলা দুল পরেন। এতে অনেক সময় মিনাকারি নকশা করা থাকে। সোনার ঝোলা দুল (Kaner Dul) বাঙালি কনের সাজ শয্যার একটি অপরিহার্য অঙ্গ।
ঝুমকো (Jhumka)
ঝুমকো নানা ডিজাইনের হয়। এটির অংশ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে এবং একটি অংশ কানের সঙ্গে আটকে থাকে। বিয়ের দিন মূলত কনে ঝুমকো (Jhumka) পরেন। তবে অন্যান্য গয়নাও পরেন।
কানপাশা (Kanpasha)
একদম পুরনো দিনের গয়না। বর আকারের বসা দুল হল কানপাশা (Kanpasha)। এটি পাশার আকারে একসময় হত বলে এইরকম নামকরণ করা হয়েছে।
কানবালা (Kanbala)
বালা বা বালি যখন কানে পরা হয় তখন তাকে কানবালা বলা হয়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে এটি আসলে হুপ ডিজাইনের দুল। তবে বিয়ের কনে যে কানবালা (Kanbala) পরেন সেটিতে অনেক নকশা করা থাকে।
২। হাতের গয়না (Hand Jewellery)
একজন বাঙালি কনের কাছে হাতের গয়না খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই হাতেই তিনি পরেন শাঁখা ও পলা। তার সঙ্গে অবশ্যই থাকবে লোহা বাঁধানো। অনেকে শাঁখা ও পলা খুব সুন্দর করে সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে নেন। সেটা দেখতে খুব সুন্দর লাগে। বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতে শাশুড়ি বা শাশুড়ির মা/ শাশুড়ি একজোড়া বালা দিয়ে কনের মুখ দেখেন। একসময় বাঙালি কনের হাতে অমৃতপাকের বালা, মকরমুখী বালা ও অন্যান্য সাবেকি গয়না দেখা যেত। তবে এখনকার কনে হাল্কা গয়না বেশি পছন্দ করেন।
লোহা বাঁধানো বা নোয়া বাঁধানো (Noa/Loha Badhano)
ধরুন নোয়া বাঁধানো বা লোহা বাঁধানো (Loha Badhano) দিয়েই শাশুড়ি বউমাকে (Bengali Traditional Wedding Jewellery) আশীর্বাদ করেন। হিন্দু রীতি অনুযায়ী এয়োস্ত্রী অর্থাৎ বিবাহিত মহিলার হাতে থাকে লোহা বাঁধানো। এটি মেয়েরা বাঁ হাতে পরেন। তবে কেন এটি পরা হয় সেই নিয়ে নানা মত প্রচলিত আছে। অনেকে বলেন প্রাচীন কালে অর্থাৎ সেই রাজা রাজড়াদের যুগে পুরুষের যে মেয়েকে পছন্দ হত, তাঁকে তাঁরা হরণ করে নিয়ে যেতেন। মেয়ে যাতে পালিয়ে না যায় তার জন্য হাতে পরানো হত লোহার বেড়ি বা লোহার শিকল। সেটাই কালক্রমে লোহা বাঁধানোয় (Noa) পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার এই নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁরা মনে করেন লোহা হল একটি শুদ্ধ ধাতু এবং অক্ষয় ধাতু। সংসারে যে নতুন রমণী আসছে তাঁর আগমন যেন শুদ্ধাচারে হয় এবং তাঁর সংসারের সুখ যাতে অক্ষয় ও অখণ্ড হয় সেই জন্যই এই ধাতু পরিয়ে দেওয়া হয়।
মানতাসা (Mantasha)
মানতাসা হল অনেকটা রিসলেটের মতো। কিন্তু এই গয়না বেশ ভারি এবং চওড়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এগুলো কনের মায়ের, দিদিমার বা ঠাকুমার লকারে তোলা থাকে। কারণ এটি বেশ পুরনো দিনের গয়না, এটি পরা হয় কব্জির কাছে বা রিষ্টে। এটি চওড়া ও চৌকো আকৃতির হয় এবং সঙ্গে চেন লাগানো থাকে। চেন দিয়েই এটি আটকানো হয়। দেখে নেব মানতাসার (Mantasha) কয়েকটি ডিজাইন।
রতনচূড় (Ratan Chur)
নাম যেমন সুন্দর দেখতেও ঠিক ততটাই সুন্দর এই গয়না। হাতের উপরভাগ অর্থাৎ তালুর উল্টো দিকে এটি পরা হয়। কব্জির কাছে এটি চুড়ির মতো আটকানো থাকে এবং বাকি অংশ ছড়িয়ে হাতের আঙুলের সঙ্গে লাগানো থাকে। কেউ কেউ এটি সোনার পরেন তবে এটি অনেকটাই ছড়ানো হয় এবং দু’হাতে পরা হয় বলে অনেকটা সোনা লাগে। তাই অনেকেই এটি জাঙ্ক জুয়েলারি দোকান থেকে কেনেন বা রুপোর উপর সোনার জল করিয়ে নেন। একে রতনচূড় (Ratan Chur) ছাড়াও হাতফুলও বলা হয়। দেখে নেব কয়েকটি ডিজাইন।
অমৃতপাকের বালা (Amritapaker Bala)
ভারি সুন্দর দেখতে এই বালা। এই বালা জোড়া পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ডিজাইন করা হয় তাই একে অমৃতপাকের বালা (Amrita Pak Bala) বলা হয়। অনেক সময় বালার মুখ জোড়া থাকে দুটি মকর দিয়ে তাই একে অনেক সময় মকরমুখী বালাও বলা হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই গয়নার (Bengali Traditional Wedding Jewellery) কিছু নকশা দেখে নেওয়া যাক।
অনন্তবালা বা অনন্তবাজুবন্ধ (Ananta-Armlet)
এই গয়না অনেকটা মানতাসার মতো। এটি বাজুতে বা হাতের উপরিভাগে পরা হয়। তাই একে বাজুবন্ধও (Ananta Bajubandh) বলা হয়। তবে মানতাসার মতো এটি অত ভারি হয়না। এই গয়নার নাম অনন্ত কেন বলতে পারেন? সঠিক উত্তর আমিও জানি না। তবে সম্ভবত কনে তাঁর স্বামীকে নিয়ে অনন্ত সুখ লাভ করবেন বা তাঁর প্রতি স্বামীর ভালবাসা এই সোনার গয়নার বাঁধনের মতো অনন্ত হবে এই ভেবেই নামকরণ। কয়েকটি ডিজাইন দেখে নেওয়া যাক।
কঙ্কন (Kongkon)
কী মিষ্টি না এই গয়নার নামটা? কঙ্কন! শুনলেই মনে হয় কিঙ্কিণী বেজে উঠছে দুই কঙ্কনে ঠোকা লেগে। এই গয়নাড় মাধুর্য সত্যিই নয়নাভিরাম। কঙ্কন (Kongkon) আসলে বালাই। কিন্তু এই বাঙালি বিয়ের গয়না ডিজাইন একটু অন্য কমের হয়। ফিলিগিরি কায়দায় অর্থাৎ এর উপর কোনও নকশা খোদাই করে এটি তৈরি হয়।
৩। পায়ের গয়না (Jewellery For Legs and Feet)
বাঙালি কনেদের পায়ে মূলত সুন্দর সুন্দর নুপুরের ডিজাইন দেখা যায়। এটি সরু হয় এবং বেশিরভাগ সময়ই রূপোর তৈরি হয়। তবে এখন অনেক কনেই পা জোড়া মোটা মল বা ঝাঁঝর জাতীয় পায়ের গয়না পরছে। সোনার নুপুর পরতে খুব কম কনেকেই দেখা যায়। তবে অনেক কনেই ঠাকুমা দিদিমার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত গয়না পরেন সেক্ষেত্রে একটা আধটা সোনার নুপুর (Nupur) দেখা সম্ভব।
৪। গলার গয়না (Jewellery For Neck)
হাতের পরেই বাঙালি কনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গলার গয়না (Bengali Wedding Jewellery)। লক্ষ্য করলে দেখবেন একজন বাঙালি কনে গলায় স্তরে স্তরে বা লেয়ারিং পদ্ধতিতে গয়না পরেন। এর মধ্যে নেকলেস থাকে, লম্বা চেন বা সীতা হার থাকে, চিক থাকে। বাঙালি বিয়েতে নববধূকে যে আশীর্বাদ করার প্রথা আছে সেখানেও হার দিয়ে মুখ দেখা হয়।
পাতি হার (Pati Haar)
এটি চওড়া ও ছড়ানো টাইপের হার। এই হার খুব গর্জাস হয় এবং গলার অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক সময় পাথর বসানো থাকে।
সীতাহার (Sita Haar)
সীতাহারের অপর নাম রানি হার (Rani Haar)। গলা পর্যন্ত লম্বা হার দেখতে খুব সুন্দর হয়। সাধুভাষায় একে ললন্তিকা বলা হয়।
সরু চেন (Chain)
বাঙালি কনে গলার আর কিছু পরুক বা না পরুক একটা সরু সোনার চেন থাকবেই তাঁর গলায়। অবশ্য অনেক বাঙালি মেয়ে বিয়ের আগে থেকেই এটা পরে থাকেন।
চোকার বা চিক (Choker)
গলার সঙ্গে চেপে বসে থাকে বা গলা চোক করে দেয় বলে এই হারের নাম চোকার বা চিক (Choker Set)। এটি গোলাকার হয় এবং এই হারের পিছনে থাকে ট্যাসেল। যেটা দিয়ে এই হার বাঁধা থাকে।
পাঁচ ও সাতনলি হার (Saath Noli Haar)
এই হার বহু স্তরের হয়। গলার নলির সঙ্গে লাগোয়া থাকে বলে একে নলিহার বলা হয়। তবে অপভ্রংশ হয়ে অনেকে একে সাতনড়ি হারও (Saath Noli Haar) বলেন। পাঁচটি স্তর বা লেয়ার থাকলে এই হার পাঁচনলি (Bengali Wedding Jewellery) বলে পরিচিত হয়।
কনের সাজে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করবে যে গয়নাগুলি (Modern Bengali Wedding Jewellery)
সাবেকি বা সনাতনী গয়নার সাথে সাথে আজকাল বাঙালি কনে কিছু গয়না পরেন যেগুলো সেই অর্থে বাঙালি নয়। মানে এই গয়নাগুলো যে অন্য প্রদেশের বধুরা পরেন না তা নয় কিন্তু বাঙালি বিয়েতে এর আগে সচরাচর এই গয়না দেখা যায়না। তাই এই গয়নাগুলোকে আমরা আধুনিক গয়না রূপে অভিহিত করেছি। এর মধ্যে কিছু গয়না (Bengali Wedding Jewellery) আছে যেগুলো ছোট আকারের। সেগুলোকেও এই বিভাগে রাখা হয়েছে।
১। সোনার মুকুট (Shonar Mukut)
এই গয়না কীরকম দেখতে হয় সেটা আলাদা করে বলে দিতে হবে না। এটা কনের মাথার মাঝখানে চেপে বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে অনেক সময় চিরুনি থাকে যেটা দিয়েও মাথায় এটা বসানো হয়।
২। টিকলি ও টায়রা (Tikli and Tiara)
৩। নথ ও নাকছাবি (Nath/Nolok)
বাঙালি কনে মূলত নাকে ছোট্ট নাকছাবি বা নাকফুল (Nath) পরেন। তবে এখন সনাতনী বাঙালি গয়নার সঙ্গে অন্যান্য প্রদেশের গয়নার স্টাইল মিশে গেছে। তাই এখন নানা স্টাইলের নথ পরতে দেখা যায় কনেদের।যদিও বনেদি বাঙালি বাড়িতে বেশ বড় আকারের গোলাকার নথ পরার চল অনেক আগে থেকেই ছিল। বলা হয় নথের আকার যত বড় হয় কনের সুখ সমৃদ্ধি তত বেশি হয়। অনেক কনে নাকের মাঝখানে নীচের দিকে ছোট্ট গয়না পরেন একে নোলক (Nolok) বলে।
৪। আংটি (Finger Ring)
একটি আংটি তো অবশ্যই ছেলের বাড়ি থেকে দেওয়া হয়। সেটি ফুলশয্যার দিন বর কনের বা হাতের অনামিকায় পরিয়ে দেন। এছাড়াও দুই হাতের অন্যান্য আঙুলে আরও সুন্দর আংটি (Ring) পরেন একজন বাঙালি বধূ।
৫। পায়ের আঙুলে পরার আংট (Toe Rings)
হাতের আংটির মতো পায়ের আঙুলেও নানা ডিজাইনের টো রিং বা আংট (Toe Ring) পরার চল আছে। এগুলো বেশিরভাগই রুপো দিয়ে তৈরি হয়।
৬। কোমরবন্ধ (Kamar Bandh)
কোমরবন্ধ গয়না ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। শাস্ত্র বলে চার হাজার বছর আগে থেকে এই গয়নার প্রচলন ভারতে ছিল। বিভিন্ন প্রাচীন মন্দিরের গায়ে নারী মুরতির ভাস্কর্যে আমরা কোমরবন্ধ (Bengali Wedding Jewellery) দেখেওছি। সোনা, রুপো ও হিরের কোমরবন্ধ পরার চল আছে দক্ষিণ ভারতীয় কনেদের। এছাড়াও পাওয়া যায়, নেকলেসের মতো দেখতে কোমরবন্ধ, সিঙ্গল লেয়ার ও মাল্টি লেয়ার কোমরবন্ধ, ফুলের তৈরি কোমরবন্ধ (Kamar Bandh), মুক্তো আর কুন্দনের কোমরবন্ধ।
৭। চাবির গোছা (Chabi Challa)
বাঙালি কনের সঙ্গে আর পাঁচটা কনের তফাৎ কোথায় জানেন? বাঙালি কনে বিয়ের সময় এমন অনেক ছোট ছোট গয়না পরেন, যা তাঁর রূপের বাহার বাড়িয়ে তোলে কয়েক গুণ। এক নজরে চট করে দেখলে হয়তো সেগুলো আপনার নজর এড়িয়ে যাবে। তবে খুব ভাল করে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন। এরকমই একটা ছোট্ট জিনিস হল চাবির গোছা (Chabi Challa)। এটা শুধু একজন কনে নয়, এটা হল একজন গৃহিণীর সমৃদ্ধি আর কর্তৃত্বের প্রতীক। নতুন কনে সংসারে গিয়ে সব দায়িত্ব বুঝে নেবেন মূলত এই সূত্র ধরেই চাবির গোছা ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়েছে বলে মনে হয়।
Featured Images: Instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…