বিয়ের দশ বছর পূর্ণ হল শ্রেয়া-অবিনাশের। রীতিমতো ঘটা করেই পাঁচতারা হোটেলে পালন করা হল ওদের দশম বিবাহবার্ষিকী। দামি শাড়ি, দামি গয়না- কোনও কিছুরই অভাব রাখেনি অবিনাশ। তবুও কোনও একটা কারণে বিষণ্ণ থাকে শ্রেয়া। কেউ না বুঝলেও সেটা বোঝে ওর বৌদি রিমা। ওদের দুই বোনের মতো সম্পর্ক (relationship) একদম। শ্রেয়ার মুশকিল আসান থেকে শুরু করে মন খারাপের ওষুধ- সবই বৌদি। আর শ্রেয়া জানে, বৌদি সম্পর্কগুলো (relationship) এতটাই ভাল করে বোঝে যে, বৌদি আর দাদার বিয়ের পনেরো বছর পরেও ওরা সেই বিয়ের আগের মতোই প্রেমটা (love) ধরে রেখেছে। আর ওদের এখনও দেখলে কেউ বলবে না যে, ওরা স্বামী-স্ত্রী (husband-wife)। ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও যেন ওদের বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড মনে হয়! শ্রেয়াও চাইত যে, ওর আর অবিনাশের সম্পর্কটাও যেন এ রকমই হোক। কিন্তু তা হয়নি। অবিনাশ ওকে ভালবাসে ঠিকই, কিন্তু সময় দিতে পারে না। সময়ের অভাবটা পূরণ করে প্রতি মাসে দামি দামি গিফট দিয়ে। কিন্তু শ্রেয়া বলতে গেলেই শুরু হয় ঝগড়া-চেঁচামেচি। তাই ও বলাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে শ্রেয়ার দাম্পত্যের এই সমস্যার (problem) কথা জানে একমাত্র রিমা-ই। শেষে আদরের ননদিনীর দাম্পত্য জীবনের সমস্যা সমাধান করতে নামতে হয় ওকেই।
শ্রেয়া-অবিনাশের দাম্পত্য জীবনের (married life) এই সমস্যা (problem) কিন্তু আজকাল ঘরে ঘরে দেখা যায়। বিয়ের (marriage) কয়েকটা বছর কাটতে না কাটতেই ফিকে হতে শুরু করে বিশেষ মুহূর্ত ও ভালবাসার (love) ছোট ছোট দিকগুলো। এমনকি এমনও হয়েছে, বিয়ের (marriage) আগে যাঁরা একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারতেন না, তাঁরাই বিয়ের পর কয়েক বছর যেতে না যেতে বিচ্ছেদের পথ খোঁজেন। অথবা নিঃসঙ্গতায় ভোগেন বা জড়িয়ে পড়েন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে। তাই দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখতে স্বামী-স্ত্রী (husband-wife) উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কয়েকটি রোমান্টিক ধাঁধা
সময় দেওয়া মাস্ট
বিয়ের (marriage) পর অনেক দায়-দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ার ফলে সময় কমতে থাকে। সময়ের অভাব এতটাই হতে শুরু করে যে, দু’জনে (husband-wife) একে অপরকে সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। সেটা হলে মুশকিল। আগের মতো না হলেও চাকরি বা দায়-দায়িত্ব থেকে সময় বার করুন। আর একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান। পারলে মাঝেমধ্যে উইকেন্ডে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসুন।
একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া
হয়তো সারা দিনে আপনারা এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, কথাই হয়ে ওঠে না। বাড়ি ফিরেও রেহাই নেই! ল্যাপটপ নিয়ে দু’জনেই (husband-wife) বসে যান। তা হলে কথাটা হবে কোত্থেকে! এক কাজ করুন, একে অপরকে অফিসের ফ্রি টাইমে একটু কল করে কথা বলে নিন। আর পারলে ডিনারটা একসঙ্গে করার চেষ্টা করুন। তবে যাঁদের অফিসের আলাদা টাইমিং, তাঁদের তো খুবই অসুবিধে। সে ক্ষেত্রে সময় বাঁচিয়ে একটু কথা বলে নিন। অথবা নিজের অফিস ছুটির পরে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ দিতে চলে যান সঙ্গীটির অফিসে। এতে স্পেশ্যাল একটা ফিলিংও আসবে আর সম্পর্কও (relationship) তরতাজা থাকবে।
কোটসের মাধ্যমে কীভাবে বলবেন আমি তোমাকে ভালোবাসি
মাঝেমধ্যে ডেটে
বিয়ের কয়েক বছর পর দায়-দায়িত্ব সামলে, সন্তানের পড়াশুনো সব কিছু সামলানোর পর আর কিছু ইচ্ছে করে না। সঙ্গীর সঙ্গে ওই সাংসারিক কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই হয়ে ওঠে না। কিন্তু সেটা চললে স্বাভাবিক ভাবেই সম্পর্কের উষ্ণতা হারাতে থাকবে। তাই সম্ভব হলে মাঝেমধ্যে ডেটে বেরিয়ে পড়ুন। যেমনটা বিয়ের আগে করতেন আর কী! ছুটির দিনে এ-দিক সে-দিক ঘুরে আসুন। শহরের আনাচে কানাচে অথবা ময়দানে চলে যান। অথবা রাতের শহরে লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ুন। চুটিয়ে প্রেম (love) করুন, খুনসুটি করুন ঠিক বিয়ের (marriage) আগের মতোই। দেখবেন, সম্পর্ক (relationship) সেই আগের মতোই তরতাজা হয়ে উঠছে।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
রোমান্টিক ডায়লগ শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটির জন্য
বিবাহ বার্ষিকীর সেরা শুভেচ্ছা ও মেসেজ
Boyfriend কে ভালোবেসে এই Nickname এ ডাকুন