ত্বকের বয়স কীভাবে একই জায়গায় ধরে রাখবেন তা তো হয় না আপনি জানেন, কিন্তু মেকআপের সাহায্যেও যে আপনাকে দেখতে বেশ কমবয়সি লাগতে পারে, সে খবর রাখেন কি? হ্যাঁ, একদম ঠিক পড়েছেন! মেকআপ হল এমন এক ব্যাপার, যা দিয়ে কিন্তু আপনি বেশ অনেক কারিকুরি করতে পারেন। শুধু লিপস্টিক লাগিয়ে নিলেন আর কাজল পরে নিলেন, আর তাতেই যদি আপনি ভাবেন যে বাহ এই তো সুন্দর মেকআপ করে ফেলেছেন, তা হলে তা আপনার ভুল ধারণা! আবার অনেকেই ভাবেন বয়স হয়ে গেছে এখন কি আর সেভাবে মেকআপ করা যাবে? তার উত্তরে বলছি, কেন করা যাবে না বলুন তো? জেনে নিন কয়েকটি ছোট্ট কিন্তু খুবই কাজের মেকআপ টিপস (makeup tips to look younger) যাতে আপনার ত্বকের বয়স কেউ ধরতেই পারবে না!
ফাউন্ডেশন কীভাবে বাছবেন
ফাউন্ডেশন কিন্তু মেকআপের বেস বা ভিত বলতে পারেন। এমনভাবে ফাউন্ডেশন বাছুন যা আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই। তবে বয়স একটু কমের দিকে দেখাতে চাইলে একটু ওয়ার্ম শেডের ফাউন্ডেশন বাছুন। তার সঙ্গেই ফাউন্ডেশন যখন কিনবেন দেখে নেবেন তা যেন ফুল কভারেজ দেয়, অর্থাৎ এমন ফাউন্ডেশন যা অল্প লাগালেই কাজ হয়ে যায়, কারণ একটা ন্যাচারাল লুক বলেও তো বিষয় আছে!
বয়স বাড়ার সঙ্গেই ত্বকের পোর বা লোমকূপ আকারে বড় হতে থাকে। ফাউন্ডেশন যখন মুখে লাগাবেন তখন খুব সামান্য পরিমাণে নিয়ে প্রথমে আঙুলের ডগা দিয়ে সারা মুখে, গলায়, কানের বাইরের অংশে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এবারে বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে আলতোভাবে ব্লেন্ড করুন, যাতে কোনও লাইন বা ক্রিজ না দেখা যায়। ফুল কভারেজযুক্ত ফাউন্ডেশনে এই সুবিধেটি পাবেন।
কনসিলার এড়াবেন না যেন
চোখের উপরে এবং নীচে কনসিলার লাগাতে ভুলবেন না। এই প্রোডাক্টটি খুব সামান্য পরিমাণে নিয়ে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লাগান। কনসিলারের কাজ হল ত্বকের নানা দাগ-ছোপ ঢেকে দেওয়া কাজেই সারা মুখে লাগানোর প্রয়োজন একদমই নেই। অনেকেই ভুল করে আগে কনসিলার লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগান, এতে দেখতে খুব খারাপ লাগে। আগে বেস ঠিক করে তারপরে ত্বকের খুঁত ঢাকুন। চোখের পাশে কনসিলার লাগানোর সময়ে হাফ-সার্কল আকারে লাগাবেন না, বরং চোখের ইনার কর্নারের দিক থেকে চিক বোন হয়ে চোখের আউটার কর্নার পর্যন্ত লাইন টেনে ত্রিভুজ আঁকুন এবং তা ত্বকের সঙ্গে ব্লেন্ড করে মিশিয়ে দিন। এতে একটা ন্যাচারাল লুক আসবে।
ফেস পাউডার ব্যবহার করুন
কমপ্যাক্ট ব্যবহার না করে বরং লুজ ফেস পাউডার ব্যবহার করুন। পাউডার ব্যবহার করার সময়ে মেকআপ ব্রাশের সাহায্যে আলতোহাতে লাগান। চেপে চেপে পাউডার লাগাবেন না। পাউডার লাগানো হয়ে গেলে অতিরিক্ত পাউডার ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন।
চোখের মেকআপ কেমন হবে?
অনেকেরই বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে চোখের উপরের পাতা ঝুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কিন্তু যেমন মেকআপই কতুন না কেন দেখতে ভাল লাগবে না। চোখ উজ্জ্বল দেখানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে, কেমন আইশ্যাডো আপনি ব্যবহার করবেন। নিয়ন বা অতিরিক্ত ডার্ক আইশ্যাডো ব্যহার না করে নুড শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। চোখের ইনার কর্নারে একটু বেশি করে আইশ্যাডো লাগান যাতে তা বেশ উজ্জ্বল দেখায়। এবারে ধীরে-ধীরে একটু করে গাঢ় শেড (একই রঙের হালকা এবং গাঢ় শেড ব্যবহার করতে হবে) আউটার কর্নারের দিকে লাগাতে থাকুন। যদি একান্তই একটু ডার্ক শেড ব্যবহার করতে হয় তাহলে ব্রোঞ্জ বা খয়েরি শেড ব্যবহার করুন, কালো, নীল, সবুজ বা মেরুন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
ব্লাশ নাকি নো-ব্লাশ?
আপনি চাইলে কিন্তু ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন, তবে গোলাপি বা খয়েরি ব্লাশ একদম ব্যবহার করবেন না। পিচ শেডের ব্লাশ লাগান। চিক বোনের উপরে ব্লাশ লাগাবেন না, বরং চেষ্টা করুন চোখের পাশ থেকে শুরু করে চিক বোনের নীচ পর্যন্ত হালকা করে ব্লাশ লাগানোর, এতে দেখে মনে হবে আপনার চিক বোনটি বেশ উঁচু এবং সুঠাম।
বোনাস টিপস
- আইব্রো-র শেপ ঠিক রাখুন। যদি আপনার আইব্রো পাতলা হয় তাহলে আইব্রো পেন্সিল দিয়ে তা ভরাট করে নিন। ভরাট আইব্রো থাকলে দেখতে অনেকটাই কমবয়সি মনে হয়।
- চোখের পাতায় ভরাট করে মাস্কারা লাগাবেন। নকল আইল্যাশ না লাগানোই ভাল।
- গ্লসি লিপস্টিক না লাগিয়ে ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক লাগান এবং পারলে নুড বা অম্ব্রে শেড বাছুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!