ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
বাংলা ছবিতে ফিরছেন মিঠুন, মানসের স্ক্রিপ্ট শুনে রাজি হয়েছিলেন পাঁচ মিনিটেই!

বাংলা ছবিতে ফিরছেন মিঠুন, মানসের স্ক্রিপ্ট শুনে রাজি হয়েছিলেন পাঁচ মিনিটেই!

শৈশবের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প, ভালবাসার গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। দেখিয়েছিলেন বড় পর্দায়। সৌজন্যে ‘সহজ পাঠের গপ্পো’। তিনি অর্থাৎ পরিচালক মানস (Manas) মুকুল পাল। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল সেই ছবি। সহজ ভাবে গল্প বলার কায়দা ভাল লেগেছিল আমজনতার। এবার মানসের হাতে অন্য তাস। আর সে তাসের নাম মিঠুন (Mithun) চক্রবর্তী।

বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত, অর্থাৎ বিনয়-বাদল-দীনেশ ট্রায়োর দীনেশকে নিয়ে ছবি (film) করছেন মানস। সে ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন পরে বাংলা ছবিতে ফিরছেন মিঠুন। সাধারণ দর্শকের উত্তেজনা থাকাটাই স্বাভাবিক। কোন চরিত্রে মিঠুনকে ভাবলেন? পরিচালক বললেন, “বহু বিপ্লবী যাঁরা স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, অথচ এখন আমরা তাঁদের নামই জানি না। দীনেশ গুপ্তকে নিয়ে ছবিটা। সে সময়েরই এক অন্যতম বিপ্লবীর চরিত্র মিঠুনদা করছেন।” 

ইদানীং সিলভার স্ক্রিনে প্রায় দেখাই যায় না মিঠুনকে। শোনা যায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁকে ফের ছবি করতে রাজি করানো তো খুব সহজ কাজ নয়। নিশ্চয়ই জাদু রয়েছে স্ক্রিপ্টে? হেসে মানসের জবাব, “মিঠুনদাকে রাজি করাতে আমার পাঁচ মিনিট লেগেছিল। কিন্তু মিঠুনদার কাছে পৌঁছতে দু’বছর লেগে গিয়েছিল। ২০১৬ সালের শেষ থেকে চেষ্টা করছিলাম। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওঁর সঙ্গে দেখা হয় আমার। ওঁর বাংলোতে গিয়েছিলাম স্ক্রিপ্ট শোনাতে। পুরো স্ক্রিপ্ট পড়িওনি। ওঁর চরিত্রের কিছুটা অংশ শুনিয়েছিলাম। তাতেই উনি বললেন, আমি এটা করব। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ওঁর। জামার হাতা গুটিয়ে আমাকে দেখিয়েওছিলেন।”

 

ADVERTISEMENT

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তালনবমী’ গল্প নিয়ে প্রথম সিনেমা তৈরি করেছিলেন বারাসাতের মানস। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে বহু রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল সেই ছবি। ছবির দুই শিশু অভিনেতা নুর ইসলাম এবং সামিউল আলমের প্রশংসা হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও। পুরস্কারও এসেছিল ঝুলিতে। কিন্তু সিনেমা মুক্তি পেলেও হল পাওয়ার সমস্যায় ভুগেছিলেন মানস এবং ‘সহজ পাঠের গপ্পো’-এর প্রযোজক তথা মানসের বন্ধু অভিজিৎ সাহা। নন্দনে ছবিটি চালানো নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। দ্বিতীয় সপ্তাহে মাল্টিপ্লেক্স থেকেও তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হলের সমস্যা থাকলেও সাম্প্রতিক অতীতে ‘সহজ পাঠের গপ্পো’ সবচেয়ে বেশিদিন চলা বাংলা ছবি বলে দাবি করলেন পরিচালক। 

ছবিটি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বহু সদস্য। সূত্রের খবর, হলের সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এসেছিলেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার মতো ব্যক্তিত্বরা। জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নজর কেড়েছিল ওই ছবি। নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের মতো মঞ্চে প্রশংসা পেয়েছিল নূর এবং সামিউলের অভিনয়। ছবির সাফল্য আকাশছোঁওয়া হলেও বাংলার বহু দর্শকের কাছে অদেখা থেকে গিয়েছিল মানসের প্রথম ছবি। 

দ্বিতীয় ছবির ক্ষেত্রে এমন সমস্যা আর হবে না বলেই আশাবাদী মানস। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং। POPxo বাংলার তরফে গোটা টিমকে আগাম শুভেচ্ছা। 

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

05 Sep 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT