আক্ষেপ (regrets) বলুন বা না পাওয়ার যন্ত্রণা, কখনও কখনও তাকেই আমরা ব্যর্থতা বলি। আর এই না পাওয়া তো সকলের জীবনেই থাকে। কেউ তার সঙ্গেই মানিয়ে নেন। কেউ বা মেনে নিতে না পারার জন্য কষ্ট পান। একই সমস্যা রয়েছে সেলেবদের জীবনে। হ্যাঁ, কেরিয়ারে সাফল্য এসেছে, সে কারণেই লাইমলাইটে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দিনের শেষে তো রক্তমাংসের মানুষ। ফলে জীবনে আক্ষেপ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কেউ তা প্রকাশ করেন। কেউ বা করেন না। সইফ (Saif) আলি খান প্রথম দলের। অর্থাৎ জীবনের আক্ষেপের কথা সরাসরি বলে ফেললেন তিনি।
১৯৯৩-এ ২৩ বছর বয়সে বলিউডে এন্ট্রি নেন সইফ আলি খান। শর্মিলা ঠাকুর এবং টাইগার পতৌডির ছেলের উপর এমনিতেই বংশগরিমা ধরে রাখার প্রেশার ছিল। পেডিগ্রির জোরে যশ চোপড়ার পরিচালনায় ডেবিউও হয় তাঁর। কিন্তু প্রথমেই ধাক্কা। প্রথম ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে শর্মিলা ঠাকুরের ছেলের উপর স্বাভাবিক ভাবে এসে পড়া ফোকাস কিছুটা ফিকে হতে শুরু করে।
প্রথম ছবিতে অনেক নায়কের সঙ্গে স্ক্রিন ভাগ করে নিয়েছিলেন সইফ। সফল না হওয়ায় দ্বিতীয় ছবিতে তিনি একাই নায়ক। সে ছবিও মুখ থুবড়ে পড়ে। পর পর দুটো ছবি ফ্লপ হওয়ায় তখনই শর্মিলার ছেলেকে বলিউডে মিসফিট বলে দেগে দিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিরই একটা বড় অংশ।
আরও পড়ুন, সারা, ইব্রাহিম নাকি তৈমুর, কাকে বেশি ভালবাসেন? মুখ খুললেন সইফ আলি খান
ছবিটা বদলায় চারটে ছবি ফ্লপ হওয়ার পর। পঞ্চম ছবি ‘ইয়ে দিল্লাগি’তে কাজল এবং অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন সইফ। তাঁর অভিনয়ের টাইমিং নজরে পড়ে। তার কয়েক মাস পরে অক্ষয়ের সঙ্গেই জোট বেঁধে মুক্তি পায় সইফের অ্যাকশন কমেডি ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’। সইফকে আলাদা করে ভাল লাগে দর্শকের। অর্থাৎ কমেডি ঘরানায় তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হন।
এখন সইফের বয়স ৪৯। এই ২৭ বছরের জার্নিতে অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন তিনি। কিন্তু কমেডি হোক বা রোম্যান্স অথবা নেগেটিভ চরিত্র- বারবার নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সে কথা বলতে গিয়েই ইমোশনাল হয়ে পড়েন সইফ। তিনি বলেন, “লম্বা জার্নি। কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। যখন পিছনে ফিরে তাকাই, সত্যিই ভাল লাগে। আমি সিনেমা করতে করতেই বড় হলাম। যখন শুরু করেছিলাম, তখন এক রকম ছিল। এখন অনেক বদলে গিয়েছে। কাজের জন্যই সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়িয়েছি। কত রকম মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। অনেক ভাল কিছু হয়েছে। আরও অনেক ভাল মুহূর্ত অপেক্ষা করছে বলে আমার বিশ্বাস।”
আরও পড়ুন, পেশাদারের সাহায্য ছাড়া ১১ কিলো ওজন কমালেন সইফ, আলিয়ার জন্য!
সাফল্য এসেছে। আক্ষেপও কম নয়। সে প্রসঙ্গে সইফ বলেন, “আক্ষেপ তো আছেই। আমরা সকলেই তো মানুষ। আক্ষেপ তো থাকবেই। কিন্তু সব আক্ষেপ থেকেই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। কিছু স্বপ্ন পূরণ হয়। আর কিছু স্বপ্ন তো অপূর্ণ থেকে যায়। যাই হোক, আক্ষেপ তো থাকবেই। তবে সেটা নিয়ে অত ভাবি না।”
অভিনয়ের ক্ষেত্রে শেষ বলে কিছু হয় বলে বিশ্বাস করেন না সইফ। অনেক রকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও তিনি শিখছেন বলে দাবি করেছেন অভিনেতা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!