আমাদের সুন্দর, পেলব ত্বক যত্নে (skin) রাখতে আমরা কত কিছু না করি। ফেসিয়াল থেকে শুরু করে ডায়েট পরিবর্তন, সমস্ত কিছুই ওই ত্বকের যত্ন নিতেই করে থাকি। এক গাদা ক্রিম আর লোশন মাখার আগে আমরা ভুলে যাই যে, আমাদের হাতের কাছেই আছে আয়ুর্বেদের জাদু। আর সেরকমই একটি ম্যাজিক অয়েল হল কুমকুমাদি তৈল। ত্বকের টেক্সচার ঠিক করতে, দাগ, ছোপ, ব্রণ ইত্যাদি দূর করতে এবং ত্বকের আভা ধরে রাখতে এই তেলের জুড়ি নেই। এই তেলের মূল উপাদান হল কেশর বা স্যাফ্রন। এই তেল সেই তেল তো অনেক হল, এবার দেখে নিন কুমকুমাদি (kumkumadi) তেলের (oil) গুণাবলী (benefits)
কুমকুমাদি তেল কী?
কুমকুমাদি তৈল বা তেল একটি আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ, যার মূল উপাদান হল স্যাফ্রন বা কেশর। এছাড়াও এর মধ্যে আছে চন্দন, হলুদ, পদ্মের রেণু ও অন্যান্য আয়ুর্বেদিক উপাদান। এই তেল ধীর গতিতে কাজ করে, কিন্তু ত্বকের যত্নে এই তেলের জুড়ি নেই। আয়ুর্বেদে একে ম্যাজিক অয়েল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কুমকুমাদি তেলের উপকারিতা
১। মুখে নানা কারণে বিভিন্ন রকমের দাগছোপ দেখা দেয়। যেমন ব্রণ থেকে দাগ হতে পারে, ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস থেকে দাগ হতে পারে। আবার রোদে বেরলেও সান ট্যান হতে পারে। এই সমস্ত কিছু সমস্যার সমাধান করে কুমকুমাদি তৈল। নিয়মিত এই তেল মুখে মালিশ করলে সব রকম দাগ ছোপ ধীরে-ধীরে মিলিয়ে যাবে।
২। ডার্ক সার্কল দূর করতে চোখের নীচে এই তেল লাগিয়ে দিন। প্রয়োজনে সারা রাতও লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। হাতেনাতে ফল পাবেন।
৩। ত্বকে কোনও সমস্যা না থাকলেও অনায়াসে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এই তেল ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং একটি অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে বলিরেখা রোধ করে। তা ছাড়া এই তেল আপনি ক্লেনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
৪। এই তেল ত্বকের টেক্সচার ও কমপ্লেকশন উন্নত করে।
৫। কুমকুমাদি তেল অকালপক্কতা রোধ করতে সক্ষম। তাই এই তেল চুলে লাগালেও ভাল ফল পাবেন।
৬। মাসাজ অয়েল হিসেবে এই তেলের জুড়ি নেই। মুখেও এই তেল মালিশ করতে পারেন। বডি মাসাজ করার সময়ও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারের পদ্ধতি
তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা কুমকুমাদি তৈল নেবেন। তবে তার বেশি নয়। এতেই যথেষ্ট কাজ হবে। হাতে তেল নিয়ে যেখানে দাগছোপ আছে বা পুরো মুখে লাগিয়ে আলতো করে আঙুলের ডগা দিয়ে মাসাজ করবেন। দশ থেকে কুড়ি মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রথম প্রথম দিনে দুই থেকে তিনবার সারা সপ্তাহ লাগাতে পারেন। তবে তার পর প্রতিদিন একবার লাগালেই হবে।
রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও
এমনিতে এই তেলের সাঙ্ঘাতিক কোনও সাইড এফেক্ট নেই। তবে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা এই তেল বেশি পরিমাণে বা বারবার ব্যবহার করবেন না।
চোখের নীচে ডার্ক সার্কল দূর করতে যখন এই তেল লাগাবেন তখন একবার প্যাচ টেস্ট বা হাতে লাগিয়ে দেখে নেবেন যে-কোনও চুলকানি বা অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা। কারণ চোখের নীচের অংশ খুব অনুভূতিপ্রবণ হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!