আজ চাইলে কালই বিয়ে করতে পারেন। সেটা তো কোনও বড় কথা নয়। আসল ব্যাপার হল সারা জীবন যে মানুষটার সঙ্গে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, সে আপনার জন্য অদর্শ কিনা, তা যাচাই করে নেওয়াটা জরুরি। তর্কের খাতিরে বলতেই পারেন, বাইরে থেকে দেখে তো আর মানুষ চেনা যায় না, তাহলে কে-কেমন বুঝবো কীভাবে? একথা ঠিক যে দীর্ঘদিন মেলামেশা না করলে কারও পক্ষেই অন্য কারও মনের কথা বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। আর এখন তো সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সম্পর্ক শুরুর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিয়ের তোরজোর শুরু হয়ে যায়। ফলে প্রেমিককে ঠিক মতো চিনে ওঠার সুযোগই পান না অনেকে। আর তাতে করেই তো বৈবাহিক জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তাহলে কি করণীয়? আশাহত হবেন না। চিন্তা করারও কোনও কারণ নেই। শুধু এই টিপসগুলি (signs) মেনে হবু বরকে এখবার পরখ করে নিন। ঠিক বুঝে যাবেন আপনি মনের মতো জীবনসঙ্গীর সন্ধান পেয়েছেন কিনা!
মনের মিল হলে আর কোনও চিন্তা নেই
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কি দু’জনের মনের মিল হয়, তাহলে তো চিন্তা করার কোনও কারণই নেই। বিশেষজ্ঞদেরও একই মত। তাঁদের মতে স্বামী-স্ত্রী যখন একে অপরের হাত ধরে জীবনের রাস্তায় এগিয়ে চলেন, তখন মতবিরোধ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে। যেমন ধরুন আপনার বর পাহাড় ভালবাসেন, আপনিও তাই। চাইনিজ খাবারই দু’জনের প্রথম পছন্দ। সিমেরা কথা উঠলেই দু’জনে কমেডি মুভিই প্রথম চালান। এমন ধরনের ছোটখাটো নানা বিষয়ে যদি মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে বড় বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও মতের অমিল হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম থাকে, এমনই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের। তাই এই ব্য়াপারটা একবার ঝালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বই কী! তবে একথাও মাথায় রাখতে হবে যে দু’জন মানুষের মানসিকতা সব ক্ষেত্রেই যে এক রাস্তায় চলবে এমনও নয়। কিছু ক্ষেত্রে মতপার্থক্য হওয়াটা স্বাভাবিক! শুধু খেয়াল রাখতে হবে সিংহভাগ ক্ষেত্রে মতের মিল হয় কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে নিশ্চিন্তে বিয়ের (marrying) তোরজোর শুরু করে দিন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিকের বিয়ে শুনে মন খারাপ? কীভাবে সামলাবেন নিজেকে? রইল সাজেশন
নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পান কি?
সম্পর্ক নিয়ে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ, ভালবাসার সম্পর্ক তখনই সফল হয়, যখন প্রেমিক-প্রেমিকা সম্পর্কে থেকেও স্বাধীনভাবে বাঁচার সুযোগ পায়। তাই তো সারাক্ষণ একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোটা কোনও কাজের কথা নয়! পার্টনারকে সময় দিন না, তাতে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু তার পরেও নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখতেই হবে। পার্টনারকেও একই সুয়োগ করে দিতে ভুলবেন না যেন! কেন এমন উপদেশ জানতে পারি? আসলে কী জানেন, সম্পর্ক যখন খুব আঁটোসাঁটো হয়ে যায়, তখন শ্বাস নেওয়া প্রায় দুষ্কর হয়ে যায়। আর এমন পরিস্থিতিতেই তো ভালবাসার সম্পর্কে পলি পড়তে শুরু করে। তখন সব কিছুই কেমন যেন একঘেয়ে লাগে। ফলে সম্পর্কের সেই মজাটাই আর থাকে না। তাতে করেই তো ঝামেলা শুরু হয়। তাই তো নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে কিছুটা সময় কাটানো জরুরি। এই সময় আপনারা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ইচ্ছা হলে পছন্দের সিনেমা দেখা বা বই পড়ার মতো কাজও করলেও মন্দ হয় না। সময় সুযোগ থাকলে শপিংয়েও বেরিয়ে যেতে পারেন। মোট কথা যে করেই হোক নিজের জন্য সময় বের করতেই হবে। তাতেই তো মন আনন্দে থাকবে। আর আপনি যখন আনন্দে থাকবেন, তখনই তো পার্টনারকে আনন্দে রাখতে পারবেন। তাই যদি লক্ষ করেন পার্টনারের জন্য দিনের পর দিন এমন সুযোগ পাচ্ছেন না, তাহলে জানবেন, সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখার সময় এসে গেছে।
বিশ্বাসই সফল সম্পর্কের আসল ফ্যাক্টর
একে অপরের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন কি? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আর পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই নিয়ে মনে যদি কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে একবার সব দিক ভেবে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। প্রয়োজনে পার্টনারের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে নিতেও পিছপা হবেন না। ভুলে গেলে চলবে না যে এই একটা সিদ্ধান্তের উপর কিন্তু আপনার পুরো জীবনটা নির্ভর করছে। তাই সম্পর্কের গভীরতা পরখ করে নেওয়াটা কোনও ভুল কাজ নয়! একই সঙ্গে আরেকটা বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? খেয়াল করে দেখবেন তো পার্টনার আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেয় কিনা। যদি দেখেন তিনি তাঁর প্রতিটা সিদ্ধান্তই আপনার উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন, তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না।
picture courtesy: youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!