একটু কান পেতে দেখুন, হাঁচি-কাশির আওয়াজ ঠিক শুনতে পাবেন! আসলে মাসখানেক ধরে যা ঠান্ডা পড়েছে, তাতে প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ হয় জ্বর, নয়তো সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। কারও-কারও তো আবার দিন কুড়ি ধরে জ্বরই কমছে না। কারণ, জ্বরে পড়লেই যে আমরা গতে বাঁধা নিয়ম মেনে চলতে অভ্যস্ত। হয় মুঠো-মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা চালাই, নয়তো হোমিওপ্যাথির পুরিয়াই ভরসা। কিন্তু জ্বরের প্রকোপ কমাতে যে আরও কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি, সে বিষয়ে কেউ খোঁজই রাখি না। তাই তো অনেকেই জ্বরে ভিশিয়াস সার্কল থেকে সহজে মুক্তি পান না। এই কারণেই বলছি, শীতের মরসুমে যদি অল্প দিনেই জ্বরের (fever) প্রকোপ কমিয়ে ফেলতে চান, তাহলে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না। আর এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলাও বাঞ্ছনীয়।
মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
১. বারে বারে জল খেতে ভুলবেন না
জ্বরে পড়লেই দিনে গ্লাস আটেক জল খাওয়া মাস্ট! সম্ভব হলে দশ-বারো গ্লাস জল খান। মোট কথা যত বেশি পরিমাণে জল খাবেন, ততই মঙ্গল! কারণ, জ্বরের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। আর জ্বরের মধ্যে dehydration-এর কবলে পড়লে তো আর এক বিপদ। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। তা ছাড়া বেশি পরিমাণে জল খেলে বারে-বারে প্রস্রাব চাপবে, যে কারণে শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে শরীর সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। জলের ঘাটতি মেটাতে ইচ্ছে হলে ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জলও খেতে পারেন। সঙ্গে ডাবের জল, ফলের রস এবং গ্রিন টি পানও চলতে পারে।
২. বিশ্রামই সুস্থ হয়ে ওঠার একমাত্র মন্ত্র
শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ফারেনহাইট ছাড়ালেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই সময় নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাবেন না যেন! বরং ডাক্তার যে ওষুধ, যে মাত্রায় খেতে বলবেন, সেই মতোই খাবেন। সঙ্গে বিশ্রাম জরুরি। কারণ, শরীর যত বিশ্রাম পাবে, তত তাড়াতাড়ি জ্বরজ্বালা কমে যাবে। আর যদি জ্বর অবস্থায় অফিস যাই, তা হলে কী হবে? এই অবস্থায় বেশি দৌড়াদৌড়ি করলে দেহের তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে গা-হাত-পা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা এবং ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তাতে শারীরিক কষ্ট বাড়বে! তাই বুঝতেই পারছেন, এমন পরিস্থিতিতে বিশ্রাম নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সম্ভব হলে স্নান, নয়তো sponge bath নিতে হবে
জ্বর হয়েছে মানেই স্নান বন্ধ, এমন নয় কিন্তু! বরং নিয়ম করে গরম জলে স্নান করতে হবে। তবেই কিন্তু দেহের তাপমাত্রা কমবে। তবে একান্তই যদি স্নান করতে ইচ্ছে না করে, তা হলে sponge bath নিতে পারেন। কিন্তু যাই করুন না কেন, এই নিয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
এই ভুল কাজগুলি ভুলেও করবেন না
১. জ্বরের সময় মদ্যপান নৈব নৈব চ
অনেকেই বলেন গরম জলে রাম মিশিয়ে খেলে নাকি জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে যায়। এই ধরণার আদৌ কোনও বাস্তব ভিত্তি রয়েছে কিনা জানা নেই। তবে জ্বরের সময় মদ্যপান করলে যে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই যতদিন না শরীর ঠিক হচ্ছে, ততদিন এমন বদ অভ্যাস এড়িয়ে চলাই উচিত।
২. মুঠো-মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বিপদ
বেশি ওষুধ খেলে তাড়াতাড়ি জ্বর কমে যাবে, এমন নয় কিন্তু! তাই ভুলেও প্রয়োজন অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া চলবে না। বরং ডাক্তার যে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে বলেছেন, সেই নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি করবেন না যেন! কারণ, এমন ওষুধ নিয়ম মেনে না খেলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা মোটেই সুখবর নয়।
picture courtesy: pixabay
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!