কোঁকড়া চুল। পরনে নীল জিন্স এবং কালো জ্যাকেট। চেহারার মধ্যে সহজ পেলবতা নয়। বরং একটু কাঠিন্যই ধরা পড়ে। বাইক চালিয়ে ঘোরেন তিনি। তিনি অর্থাৎ তিয়াসা (Tiyasha) রায়। ঠিকই ধরেছেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’র (krishnokoli) শ্যামা।
কিন্তু শ্যামাকে এতদিন আপনি ঘরের বউ হিসেবে দেখেছেন। কালো মেয়েটির ইউএসপি হল গান। আর সকলকে আপন করে নেওয়ার স্বভাব। কিন্তু গানের কারণেই তাঁর শত্রু বাড়তে থাকে। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, হয়তো শ্যামার মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাহলে বাইক চালিয়ে আসা মেয়েটি কে?
না! গল্পের ধারা কোন দিকে বাঁক নেবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ টিম ‘কৃষ্ণকলি’। তবে শ্যামার যে ভোল বদল হয়েছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু ইনি কে সত্যিই শ্যামা? নাকি অন্য কেউ তা নিয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত দিতে চান না শিল্পীরা। সেই রহস্য জানার জন্য ধারাবাহিকটি দেখতে হবে আপনাদের।
‘কৃষ্ণকলি’ই তিয়াসার প্রথম ধারাবাহিক। জীবনের প্রথম অভিনয়। প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলেন ঠিকই। পরে সেই পরিস্থিতি সামলে উঠেছেন তিনি। দুরন্ত পারফরম্যান্সে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। অভিনয়ের জন্য শিল্পীদের অনেক কিছুই শিখতে হয়। বাইক চালাকে কি আগে থেকেই জানতেন তিয়াসা? উত্তরটা শুনলে অবাক হবেন। তিয়াসা বাইক চালাতে জানতেন। শিখেছেন তাঁর স্বামী সুবান রায়ের কাছে। কিন্তু এর আগে ক্যামেরার সামনে কখনও বাইক চালানোর প্রয়োজন হয়নি। তবে আগে থেকে বাইক চালাতে জানতেন বলে তাঁর ক্ষেত্রে শট দেওয়া অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এই নতুন লুক তিনি রীতিমতো এনজয় করছেন।
তিয়াসা ছাড়াও এই ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন নীল ভট্টাচার্য। তিয়াসা-নীলের জুটি টেলি পাড়ায় জনপ্রিয়। তাঁরা ছাড়াও শঙ্কর চক্রবর্তী, নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র, শর্বরী মুখোপাধ্যায়, কৌশিক ভট্টাচার্য, ভিভান ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা হালদার, শ্রীময়ী চট্টরাজ ও রাজীব বসু, সুস্মিতা রায় চক্রবর্তীর মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ধারাবাহিক। তবে তিয়াসা যেন পারফরম্যান্সে সকলকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন, এমনটাই মনে করেন দর্শক।
আরও পড়ুন, টিমের বন্ডিংয়ের জন্যই ভাল কাজ হয়, ৫০০ পর্ব পেরিয়ে বললেন ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামা
তিয়াসা আগেই জানিয়েছিলেন, ‘কৃষ্ণকলি’তে কাজ করতে এসেই তিনি অভিনয়ের সব কিছু শিখেছেন। গোটা টিম তাঁকে সাহায্য করেছে। আর সকলের মধ্যে বন্ধুত্বটাই তাঁদের ভাল কাজের ইউএসপি। শটের ফাঁকে মেকআপ রুমের আড্ডা, একসঙ্গে খাওয়া, বেড়াতে যাওয়া তাঁকে আলাদা অক্সিজেন দেয়। আরও ভাল কাজ করার উৎসাহ দেন সিনিয়াররা। সে কারণেই ভাল কাজের তাগিদ অনুভব করেন সব সময়। এই নতুন লুক নিয়ে তিয়াসা উত্তেজিত। তাঁকে এতদিন অন্য রকম রূপে গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছেন দর্শক। এবার নতুন রূপেও তিনি একই রকম সমাদর পাবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!