সোজা বাংলায় বলতে গেলে, আমরা কেউই ধোওয়া তুলসিপাতা নই। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকলেই কম-বেশি মিথ্যা বলে থাকি। তা অল্পবিস্তর মিথ্যে কথা বলাতে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে বেশিরভাগ ছেলেই কারণে-অকারণে কতগুলি বিষয় পার্টনারের কাছ থেকে বেমালুম লুকিয়ে যায়। ধরা পরলে মুখের উপর মিথ্যা তো বলেই, এমনকী তা নিয়ে বানিয়ে-বানিয়ে নানা গল্প বলতেও পিছপা হন না। আর সেই মিথ্যের (lie) ফাঁদে পড়ে যায় অনেক মেয়ে। আচ্ছা, আপনিও কি সেই গোবেচারাদের দলেই পরেন, নাকি জানা আছে পুরুষেরা কোন-কোন বিষয়ে মিথ্যে বলে থাকেন? জানা না থাকলে ঝটপট জেনে ফেলুন আমাদের কাছ থেকে।
১. ‘এক্স’ নিয়ে এরা বড়ই সিক্রেটিভ
কারও জীবনে তো বারে-বারে প্রেম আসতেই পারে। তাই নিয়ে এত লোকাছুপি করার কিছু আছে বাপু! সব কথা খোলাখুলি বলে দিলেই তো ল্যাটা চুকে যায়। সে কথা ঠিক! কিন্তু ছেলেরা তা শুনলে তো। বেশিরভাগ ছেলেই আতীতকে ধামাচাপা দিতে মিষ্টি মিষ্টি হেসে মুখের উপর মিথ্যা বলতেও যে পিছপা হন না, সেকথা বেশ কয়েকটি সমীক্ষাতেই প্রমাণ হয়ে গেছে। তাতে দেখা গেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা তাঁদের অতীত সম্পর্কিত যে কোনও বিষয় এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন। আর যদি প্রেমিকার জোরাজুরিতে কিছু বলতেও হয়, সেটা যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাহা মিথ্যা হয়, সেটা এক প্রকার প্রমাণ হয়ে গেছে। তাই মিথ্যে শুনতে না চাইলে dating-এর সময় পার্টনারের অতীত নিয়ে বেশি আগ্রহ না দেখানোই শ্রেয়।
২. এড়িয়ে চলুন এক্স-বয়ফ্রেন্ডের কথা
ছেলেরা সুযোগ পেলেই হিরো হতে চায়। তাই তো আপনার মুখে এক্স-বয়ফ্রেন্ডের গুণকীর্তন শোনার সময় ছাতি ফুলিয়ে ‘আমার এ সবে কিছু এসে যায় না’, ‘আমি খুব খোলা মনের মানুষ’, এমন গোছের ডায়ালগ এরা বলেন বই কী! কিন্তু হাজার টাকার বেট, সেসময় ভিতরে-ভিতরে জ্বলে তাঁর যে একেবারে তন্দুরি চিকেনের মতো অবস্থা হয়, তা হলফ করে বলতে পারি। তাই পার্টনারের সঙ্গে একটু খুনসুটি করতে এক্সের কথা তুলতেই পারেন। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন যে, ছেলেরা যতটা দেখায়, ততটা হিরো কিন্তু ওরা একেবারেই নয়!
৩. মাইনে কত জানতে চাইলেই বিপদ
তোমার কত স্যালারি? এই প্রশ্নটা করলেই কিন্তু হাজারটা মিথ্যা কথা শুনতে হবে। কারণ সমীক্ষা বলছে, ৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষেরা এই নিয়ে মিথ্যে বলে থাকেন। কারণ, তাঁদের মনে হয় মোটা মাইনের কথা শুনলে নাকি মেয়েরা খুব ‘ইমপ্রেস’ হয়। তাই কুড়ি হাজার মাইনে পেলে, চল্লিশ বলতেও অনেকেই পিছপা হন না। তাই যতক্ষণ না পে স্লিপ দেখছেন, ততদিন তাঁর মাইনে থেকে পাঁচ-দশ হাজার টাকা কমিয়ে হিসেব করতে ভুলবেন না যেন!
৪. নিজের উচ্চতা নিয়ে এঁরা বড়ই স্পর্শকাতর
মাইনেতে তো জল মেশায়ই, এমনকী, উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন করলেও অনেক ছেলে মিথ্যার আশ্রয় নেন। আদতে যা হাইট, তার সঙ্গে কয়েক ইঞ্চি যোগ করতে বলতে এদের সেকেন্ডও সময় লাগে না। এমনটা করে যে কী লাভ হয়, তা জানা নেই। কিন্তু ঘটনাটা যে সত্যি, তা ‘জার্নাল পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষার দিকে নজর ফেরালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। এই স্টাডি অনুসারে প্রায় ৫৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা নিজেদের উচ্চতা নিয়ে মিথ্যে কথা বলে থাকেন। তাই মেয়েদের বয়স নিয়ে যেমন প্রশ্ন করতে নেই, তেমনই ছেলেদেরও হাইট নিয়ে কোনও প্রশ্ন করতে যাবেন না যেন!
৫. আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এরা সব সময় সত্যি বলেন না
প্রথম ডেটের পরে ভুলেও ব্রয়ফ্রেন্ডকে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনও প্রশ্ন করতে যাবেন না! কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতিতে ছেলেরা মিথ্যে বলে থাকেন। যদিও এর পিছনে একটা কারণও আছে। কী কারণ? আপনার পরিবারের সবাইকেই যে আপনার বয়ফ্রেন্ডের পছন্দ হবে, এমন নয়। কিন্তু সেই নিয়ে কোনও সমালোচনা শুনতে কি আপনার ভাল লাগবে? তাই আপনার কথা ভেবেই কিন্তু তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তাই এই নিয়ে রাগারাগি করলে কিন্তু ভুল করবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!