প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। ওরফে ফেলুদা (Feluda)। বইয়ের পাতায় যা আপনি পড়েছেন প্রায় সবটাই। অথবা আপনি হয়তো ফেলুদার ফ্যান। একটা গল্পও বাদ দেননি। আপনি যে দলেরই হোন না কেন, সিলভার স্ক্রিনে ফেলুদাকে দেখতে নিশ্চয়ই ভালবাসেন। স্বয়ং স্রষ্টা অর্থাৎ সত্যজিত রায় ফেলুদাকে নিয়ে ছবি করেছেন। পরবর্তীকালে সন্দীপ রায় ফেলুদাকে নিয়ে এসেছেন বড়পর্দায়। ফের ফেলুদাকে অনস্ক্রিন দেখতে পাবেন দর্শক। তবে এবার পরিচালনার ভার থাকছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের উপর। আর ফেলুদা সিরিজের মাধ্যমেই ওয়েবে ডেবিউ করতে চলেছেন সৃজিত (Srijit)। মুখ্য চরিত্রে তিনি বেছে নিয়েছেন টোটা রায়চৌধুরিকে। অফার পাওয়ার পরে POPxo বাংলার সঙ্গে আড্ডা দিলেন টোটা (Tota)।
কেমন লাগছে ফেলুদার চরিত্র পেয়ে?
সৃজিতের ফোন পাওয়ার পরে আমার তো মনে হচ্ছিল ডিগবাজি খেয়ে নিই (হাসি)। ও ফেলুদার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছে। আর আমিও।
কীভাবে এল এই অফার?
হঠাৎ একদিন সৃজিত ফোন করে বলল, তুমি কোথায়? আমি বললাম, একটু বাইরে আছি। ও জানতে চাইল, কবে ফিরছ? আমি বললাম, এই তো দু-তিন দিন পরে। ও তখন বলল, শোনো আমি ফেলুদা করছি। আরও তিন জনের সঙ্গে তুমি মনোনীত হয়েছে। তোমার নাম আমার মাথায় আছে। তুমি রাজি তো? আমি বললাম, অফকোর্স।
আপনার সঙ্গে অন্য কোন তিন অভিনেতা মনোনীত হয়েছিলেন, জানতেন?
হ্যাঁ। আবির চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। সকলেরই অডিয়েন্স পুল রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আমাকে যে বেছে নেওয়া হয়েছে, আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছে।
‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ এবং ‘যত কান্ড কাঠমান্ডুতে’ গল্প দুটো নিয়ে কাজ হবে, পড়েছেন?
আমার ফেলুদার সবটা পড়া। বাবার সঙ্গে বছরের একটা সময়েই আমার সংঘাত হত, বলতে পারেন। পুজোর আগে পুজোবার্ষিকী বাড়িতে ঢুকত। আর কে আগে ফেলুদা পড়বে, সেটা নিয়ে ঝামেলা হত (হাসি)।
কীভাবে প্রিপারেশন নিচ্ছেন?
এখনও কোনও প্রিপারেশন শুরু করিনি। সৃজিত বলেছে, আগে আমরা বসে নেব। ওর একটা ভাবনা রয়েছে। আমি কী ভাবছি, সেটা নিয়ে কথা বলব। তারপর প্রিপারেশন। আশা করছি নেক্সট উইকে বসব আমরা। এখনও পর্যন্ত যতদূর জানি, ডিসেম্বরের শেষে শুটিং শুরু হবে।
এমন একটা আইকনিক চরিত্র করছেন, ইতিমধ্যেই বহু শুভেচ্ছা পেয়েছেন নিশ্চয়ই?
জানিনা, কতটা বিশ্বাস করবেন, গতকাল ১০ ঘণ্টায় ফোনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যত শুভেচ্ছা পেয়েছি, তা এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারে পাইনি। ‘চোখের বালি’র সময়ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। সেটা রাস্তায় বেরলে বুঝতে পারতাম। কারণ তখন তো এই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। আমি সব মেসেজ পড়ি। লাইক করি। কিছু কিছু মেসেজে কমেন্টও করি। ফলে বহু মানুষ কনগ্র্যাচুলেট করেছেন।
ফেলুদার চরিত্রে বহু অভিনেতা আগেই দেখেছেন দর্শক। সেদিক থেকে ভাবলে কাজটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ভাবলে সত্যিই চ্যালেঞ্জিং বা চাপের। কিন্তু ওটা না ভেবে, আমি আমার মতো করে কাজটা করতে চাই। ইনফ্যাক্ট পুরনো কিছু কাজ শেষ করা বাকি আছে। সেটা করে নিয়ে এই মুহূর্তে নতুন কিছু শুরু করছি না। যা করব সবটাই ফেলুদার পরে। আপাতত ফেলুদা নিয়েই ভাবতে চাই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..