দৌড়াদৌড়ির জীবনে আজ এখানে লাগছে, তো কাল সেখানে। তাই তো চোট-আঘাত আমাদের নিত্য সঙ্গী। কিন্তু প্রশ্ন হল, চোট-আঘাতের যন্ত্রণা কমাতে কী করণীয়, তা জেনেন কি? এক্ষেত্রে সেক দেওয়াই তো প্রথম এবং প্রধান কাজ বলে শুনেছি। কি তাই তো? একদম ঠিক বলেছেন! যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে সেকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে গরম সেক দেওয়া উচিত, আর কখন ঠান্ডা, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ, সবক্ষেত্রে যেমন গরম সেক (heat) দেওয়া উচিত নয়, তেমনি প্রতিক্ষেত্রেই বরফ সেক দিলেও উপকার মেলে না। তাই তো চোটের ধরন অনুযায়ী কখন কোন ধরনের সেক দিলে উপকার পাবেন, সে সম্পর্কে ঝটপট জেনে নিন।
‘আইস থেরাপি’ বা বরফ সেক
কোথাও চোট লেগে ফুলে গেছে, সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা জায়গায় বরফ সেক দেওয়া উচিত। তাতে করে শিরা-উপশিরাগুলি সংকুচিত হয়ে যাবে। ফলে প্রদাহের মাত্রা কমার কারণে ফোলা ভাব যেমন কমে যাবে, তেমনই যন্ত্রণা কমতেও সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শরীরচর্চার সময় চোট- আঘাত লাগালেও বরফ সেক (ice) দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে গরম সেক দিলে হিতে বিপরীত হয়। বিশেষ করে যন্ত্রণা তো কমেই না, উল্টে চোটের জায়গা আরও ফুলে গিয়ে সমস্যা আরও বড় আকার নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো পেশীর চোট কমাতে বরফ সেকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
কখন বরফ সেঁক করা উচিত নয়?
কেটে গেলে সেখানে বরফ সেঁক দেওয়া চলবে না। ভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্তদেরও ঠান্ডা সেঁক এড়িয়ে চলতে হবে। এমনকী, যাঁরা arthritis-এর মতো রোগের শিকার, তাঁদেরও বরফ সেঁক করা উচিত নয়।
কীভাবে বরফ সেঁক দেবেন তা জানেন?
দু’ভাবে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এক তো মুখবন্ধ প্যাকেটে বরফের টুকরো নিয়ে ব্যথা জায়গায় ধীরে ধীরে ঘষতে পারেন। নয়তো ভেজা তোয়ালে মিনিটপনেরো ডিপ ফ্রিজে রাখার পরে তা দিয়ে সেঁক দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন- একটানা মিনিটকুড়ির বেশি বরফ সেঁক দেওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনই ব্যথা জায়গায় (injury) সরাসরি আইস কিউব ঘষবেন না। তাতে তো কোনও উপকার মিলবেই না, বরং শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বরফ সেঁক দিতে হবে এক ঘন্টা বাদে বাদে, তবেই কিন্তু উপকার মিলবে।
গরম সেঁক দেওয়ার নিয়ম কানুন
চোটের জায়গা ফুলে যায়নি ঠিকই। কিন্তু প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে কি? তাহলে সঙ্গে গরম সেঁক দিন। দেখবেন, কষ্ট কমে যেতে সময় লাগবে না। তবে যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের ভুলেও গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। dermatitis রোগে আক্রান্তদেরও একই নিয়ম মানতে হবে। ব্লাড প্রেসার বা হার্টের রোগ রয়েছে নাকি? তাহলে গরম সেঁক দেওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন, তাতে হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমবে।
এই নিয়মগুলি মেনে ‘হিট থেরাপি’ করা উচিত
ব্যথা জায়গায় মিনিটপনেরোর বেশি গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রেও এক ঘন্টা বাদে বাদে সেঁক দেবেন, তবেই উপকার পাবেন। হট ওয়াটার ব্যাগে গরম জল নিয়ে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। আবার সুতির কাপড় ইস্ত্রিতে গরম করে নিয়ে ড্রাই সেঁক দিলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়। অনেক সময় গরম জলে স্নান করলেও যন্ত্রণা কমে যায়। আপনার যেমন ভাবে ইচ্ছা, সেই মতো গরম সেঁক দিন। তবে নিয়মগুলি মাথায় রাখবেন। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাবেন না।
কখন গরম-ঠান্ডা দুই ধরনের সেকই দেওয়া উচিত?
ঘাড়ে-কোমরে ব্যথা হলে প্রথমে বরফ সেঁক, তারপরে গরম সেক দেওয়া উচিত। তবে কতক্ষণ বাদে বাদে ঠান্ডা-গরম সেক দেবেন, সে বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। হাঁটু এবং পায়ের পেশীর যন্ত্রণা কমাতেও একই সঙ্গে বরফ এবং ঠান্ডা সেক দেওয়া চলতে পারে।
picture courtesy: youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…