এমন কখনও কি হয়েছে যে আপনি প্রস্রাব করতে গেলে যোনিদেশে জ্বালা করছে? অথবা বারবার প্রস্রাব পাচ্ছে কিন্তু কয়েকফোঁটার বেশি হচ্ছে না এবং সব সময়ে একটা চুলকানি বা জ্বালার অনুভূতি হচ্ছে? যদি এমনটা হতে থাকে তাহলে তা বেশ চিন্তার বিষয়, কারণ হতে পারে যে আপনি হয়ত ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনে ভুগছেন। সংক্ষেপে অবশ্য এই সমস্যাকে ইউ টি আই বলা হয়। UTI বা Urinary Tract Infection পুরুষ ও মহিলা – উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। তবে ভয় পাওয়ার মত কোনও ব্যাপার নয় এটি, যদি সময়মত সঠিক চিকিৎসা করা যায়! যদিও UTI সঠিক চিকিৎসায় সেরে যায়, কিন্তু কিছু বিষয় জেনে রাখা ভাল; যেমন কেন ইউ টি আই হয়, কি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে (Natural Home Remedies For UTI) এবং তা প্রতিরোধ করা যাবে ইত্যাদি।
যখন জীবাণু ইউরিনারি ট্র্যাকের মধ্য দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ব্লাডার ও কিডনির উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে তখন তাকেই বলা হয় ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন। যদিও আগেই বলা হয়েছে যে এই সমস্যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে, কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের Urinary Tract Infection বেশি হয়। তার কারণ অবশ্য পুরুষ ও মহিলার আলাদা শারীরিক গঠন। মহিলাদের ইউরেথ্রা অর্থাৎ যে টিউবটি ব্লাডার ও ইউরিনারি ট্র্যাকের মাঝখানে থাকে, পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়; ফলে জীবাণু খুব সহজেই ব্লাডার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে এবং কিডনি পর্যন্তও কোনও কোনও সময়ে পৌঁছে যায়।
সাধারণত, ইউরিনারি ট্র্যাক নিজেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবং জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই মহিলারা অবহেলা করেন এই সমস্যাটিকে এবং যখন অবস্থা খারাপের দিকে যায়, তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে যদি আগে থেকেই জেনে নেন যে কি কারণে হয় UTI, তাহলে বোধয় তা প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ হবে, তাই না?
শুনলে হয়ত অবাক হবেন, আমাদের শরীরের মধ্যেই এমন কিছু জীবাণু থাকতে পারে, যার থেকে ইউরেনারি ট্র্যাক ইনফেকশন হওয়ার প্রভুত আশঙ্কা থাকে। এসরেকিয়া কোলা (Escherichia coli) নামক এই ব্যাক্টেরিয়া সাধারণত আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে পাওয়া যায় এবং ইউ টি আই হওয়ার পেছনে এর হাত সবথেকে বেশি। এছাড়া আরও নানা কারণে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জীবাণু সংক্রমণ থেকেও Urinary Tract Infection হতে পারে –
যখন ব্লাডারে জীবাণু সংক্রমণ হয় তখন তাকে বলা হয় সিস্টাইসিস (Ccystitis)
ইউরেথ্রা যখন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তাকে বলা হয় ইউরিথ্রাইটিস (Urehritis)
আবার অনেকসময়েই অবহেলার কারণে ইউ টি আই-এর প্রকোপ এতটাই বেড়ে যায় যে কিডনিতেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, তখন তাকে বলা হয় পাইলনিফ্রাইটিস (Pyelonephritis)
২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মহিলারা বেশিরভাগ সময়েই ইউ টি আই দ্বারা আক্রান্ত হন, এর প্রধান কারণগুলি হল -
১| ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ
২| পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা
৩| প্রস্রাব চেপে রাখা
৪| কোষ্ঠকাঠিন্য
৫| গর্ভবতী হওয়া
৬| পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার করা
৭| সেক্সুয়ালি খুব বেশি অ্যাক্টিভ থাকা
অনেকসময়েই আমরা অনেকেই UTI কে খুব হালকাভাবে নিয়ে থাকি, ফলে প্রথমদিকের লক্ষণগুলি (Symptoms of UTI) দেখেও না দেখার মত অবস্থা হয়, যেমন -
১| বারবার প্রস্রাব পাওয়া এবং খুব বেশি প্রস্রাব হবে বলে মনে হওয়া কিন্তু সে তুলনায় খুবই অল্প হওয়া
২| প্রস্রাবের রঙ বদলে যাওয়া
৩| প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া
৪| অনেকসময়েই প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া
৫| প্রস্রাব করার সময়ে যোনিপথে অত্যন্ত জ্বালা (Symptoms)
৬| বমি বমি পাওয়া এবং কোনও কোনও সময়ে বমি করা
৭| সারা শরীরে ব্যাথা এবং তলপেটে মাঝেমাঝেই যন্ত্রণা হওয়া
৮| জ্বর হওয়া
Urinary Tract Infection নিরাময় করার ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি নানা ঘরোয়া টোটকাও কিন্তু দারুণ কাজে আসে। হাতের কাছেই রয়েছে নানা প্রাকৃতিক ওষুধ (Home Remedies for UTI), শুধুমাত্র আপনাকে তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে -
ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (UTI) থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ একটি ঘরোয়া উপায় (Home Remedies) হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। যত বেশি জল আপনার শরীরে যাবে, তত বেশি আপনার শরীর থেকে টক্সিন ফ্লাস আউট হবে, তা ঘামের মাধ্যমেই হোক বা প্রস্রাবের মাধ্যমেই হোক। সারাদিনে অন্তত আট গ্লাস অর্থাৎ দুই লিটার জল পান করুন। অনেকেই আছেন যারা আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই জল পান করে ফেলেন, সেটিও কিন্তু ঠিক নয়।
ধরুন আপনি অনেক জল পান করলেন কিন্তু এমন খাবার খেলেন যা জীবাণু সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিল! তাহলে তো কোনও লাভই হল না তাই না? সুষম আহার অর্থাৎ শরীরে সঠিক নিউট্রিশন পৌঁছয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি। এমন খাবার খান যাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যেমন লেবু জাতীয় ফল, ক্র্যানবেরি জুস খেতে পারেন, আবার আপেলও খেতে পারেন। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি খাবেন। দেশি মুর্গিও খেতে পারেন আর মাছ খাবেন। তবে এমন কোনও খাবার খাবেন না যাতে UTI আরও বেড়ে যায়, যেমন – কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল ইত্যাদি। আপনি চাইলে জলীয় ফলও খেতে পারেন। তরমুজ, শশা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে যা টক্সিন ফ্লাস আউট করে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম এবং ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন থেকেও মুক্তি (UTI Home Remedies) দিতে সক্ষম।
অনেক মহিলার খুব খারাপ একটি অভ্যাস রয়েছে আর তা হল প্রস্রাব চেপে রাখা। অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে প্রস্রাব পেলে তা চেপে রাখেন, আবার অনেকেই আলসেমি করেও অনেকক্ষণ পর্যন্ত প্রস্রাব চেপে রাখেন। এতে আমাদের ব্লাডারে (Bladder) চাপ তো পড়েই, সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়াও বেড়ে যেতে থাকে শরীরের মধ্যে। ফলে জীবাণু সংক্রমণ অনেকটাই বেশি হয়ে যায়।
শরীর থেকে টক্সিন ফ্লাস আউট করার আরও একটি দারুণ উপায় হল ব্যায়াম করা। টক্সিন ফ্লাস আউট হলে তবেই শরীরে জীবাণু থাকবে না। আগেই জানানো হয়েছে যে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে যা থেকে ইউ টি আই (UTI) হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কাজেই ব্যায়াম করলে কিন্তু মেদ ঝরার সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়াও বেরিয়ে যায়। এছাড়া যদি গরম শেক নেন তাহলেও আরাম পাবেন।
সঠিক পোশাক বলতে কিন্তু ফ্যাব্রিকের কথা বলা হচ্ছে। সুতি বা লিনেনের পোশাক পরুন। এতে ঘষা লাগে না এবং জীবাণু সংক্রমণও কম হয়। ঢিলে পোশাক পরুন এতে কখনও ঘাম হলেও ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ করতে পারবে না আপনার স্পর্শকাতর অঙ্গে।
অনেকের একটা ধারণা আছে যে ক্র্যানবেরি জুস ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে (Home Remedies), তবে এ ধারণা ভুল। ক্র্যানবেরি ফল চিনিয়ে খেলে অথবা এই ফল দ্বারা নির্মিত ক্যাপসুল খেলে ইউ টি আই (UTI) দমন করা সম্ভব।
অনেকসময়ে অনেক ওষুধের থেকেও কিন্তু মহিলাদের যোনিদেশে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। এরকম হলে টক দই খেতে পারেন কারণ এতে রয়েছে প্রোবায়োটিকস, তাতে ওষুধের প্রভাব কেটে যাবে। যোনিদেশের বাইরের অংশেও আপনি টকদই লাগাতে পারেন এবং এটি যদি স্নানের কয়েক ঘণ্টা আগে লাগান তাহলে ভাল হয়। টক দইতে ভাল ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিকস থাকে যা রোগ-জীবাণু ছড়ানো ব্যাক্টেরিয়া নাশ করতে পারে, কাজেই টক দই প্রতিদিন খান, তবে খেয়াল রাখবেন তাতে জেন চিনি বা ফল না মেশানো হয়।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয় এছাড়াও ভিটামিন সি জীবাণু নাশ করতে সক্ষম। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ভিতামন সি প্রস্রাবকে অ্যাসিডিক করে দেয় ফলে এমনিতেই জীবাণু নাশ হয় এবং ইউরিনারি ট্র্যাক পরিষ্কার থাকে। স্যালাডে পাতি লেবু খান, কমলা লেবু, মৌসম্বি লেবু এমনি খান বা জুস বার করে খান, বাতাবি লেবু খান – কিন্তু নিয়ম করে খান যাতে UTI থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময়ে সব সময়ে প্রোটেকশন ব্যবহার করুন। যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী কেউ একজনও UTI দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে যতদিন না পর্যন্ত সুস্থ হচ্ছেন, যৌন মিলন না করাই ভাল।
প্রস্রাব করার আগে ভাল করে টয়েলেট সিট জীবাণু মুক্ত করে নিন। বাজারে অনেক ডিজইনফেক্টর পাওয়া যায়, চাইলে সেগুলো স্প্রে করে টয়েলেট ব্যবহার করুন। প্রস্রাব করা হয়ে গেলে ভাল করে নিজের যোনিদেশ পরিষ্কার করুন এবং ফ্লাস করুন।
কয়েকটি ছোট ছোট বিষয় একটু মাথায় রাখলেই কিন্তু আপনি খুব সহজে Urinary Tract Infection থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং তা ফিরে আসাও প্রতিরোধ (Prevention) করতে পারেন -
১| সুতি বা লিনেনের পোশাক পরুন
২| প্রতিদিন স্নান করুন এবং ঠান্ডা জলে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করুন
৩| সুষম আহার করুন
৪| অন্তর্বাস কাচার সময়ে গরম জলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল লিকুইড মিশিয়ে কাচুন
৫| ভুল করেও যোনিদেশে সাবান লাগাবেন না।
৬| টাইট অন্তর্বাস পরবেন না
৭| একই অন্তর্বাস এক দিনের বেশি পরবেন না
৮| লেগিংস পরবেন না
৯| চুলকবেন না
১০| স্যানিটারি প্যাডের বদলে ঋতুস্রাবের সময়ে মেনস্ট্রুয়েশন কাপ ব্যবহার করুন। প্রথমত এটি প্যাডের থেকে অনেক বেশি হাইজেনিক, এছাড়াও প্যাড অনেকক্ষণ পরে থাকলে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি হয়। যদি মেনস্ট্রুয়েশন কাপ ব্যবহার করতে সমস্যা হয় তাহলে প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর অবশ্যই প্যাড বদলান
১১| প্রস্রাব করার আগে ভাল করে টয়েলেট সিট জীবাণু মুক্ত করে নিন। বাজারে অনেক ডিজইনফেক্টর পাওয়া যায়, চাইলে সেগুলো স্প্রে করে টয়েলেট ব্যবহার করুন। প্রস্রাব করা হয়ে গেলে ভাল করে নিজের যোনিদেশ পরিষ্কার করুন এবং ফ্লাস করুন।
১২| যোনিদেশ পরিষ্কার করার সময়ে সুগন্ধি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে তার বদলে বরং মেডিকেটেড ও ডারমেটোলজিক্যালি টেস্টেড প্রডাক্ট ব্যবহার করুন। এতে জীবাণু নাশ ত হবেই সঙ্গে UTI প্রতিরোধও হবে।
হ্যাঁ, অনেক চিকিৎসক মনে করেন যে প্রস্রাবের অ্যাসিডিক ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবাণু নাশ করে। অনেকেই বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাই কারবোনেড জলে গুলে খান ইউটিআই প্রতিরোধ করার জন্য।
প্রথমত, বহুদিন ধরে ইউটিআই-এর সমস্যা ফেলে রাখা উচিত নয়। তবে যদি সমস্যা বার বার ফিরে আসে সে ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে চিকিৎসা সম্ভব। খাবারে তেল ও মশলা যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন। এছাড়া জল খান পরিমাণ মতো, দিনে অন্তত দু লিটার জল খেতেই হবে। প্রস্রাব চেপে রাখবেন না একদম। পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার করুন বা বাড়ির, সব সময়ে আগে জীবাণু নাশ করে তার পরেই প্রস্রাব করুন।
অনেকের একটা ধারণা আছে যে ক্র্যানবেরি জুস ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে, তবে এ ধারণা ভুল। ক্র্যানবেরি ফল চিনিয়ে খেলে অথবা এই ফল দ্বারা নির্মিত ক্যাপসুল খেলে ইউটিআই দমন করা সম্ভব।
হ্যাঁ। যৌন মিলনের ফলে এই ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনের দেহে ছড়াতে পারে। তবে তা না হলে এটি ছোঁয়াচে নয়।
দেরি করবেন না, চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। এছাড়াও আপনি এ সময়ে কফি খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন। যদি আপনি ধুমপান করেন তাহলে তাও কমিয়ে দিন, তবে বন্ধ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া টোটকা
প্রতিটি মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল টেস্ট
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty - POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়...