Life

সাত পাকে বাঁধা (Bengali Wedding Rituals)

Doyel Banerjee  |  Mar 1, 2019
সাত পাকে বাঁধা (Bengali Wedding Rituals)

সুমন কবিয়াল গেয়ে উঠেছিলেন ‘‘বেহুলা কখনও বিধবা হয়না এটা বাংলার রীতি!” কী অসম্ভব সুন্দর আর ব্যাপ্তিময় এই লাইন। আসলে হিন্দু বিয়ের (Marriage) মাহাত্ম্যই এরকম। সাত পাক ঘুরে অনেক মন্ত্র উচ্চারণের পর দুটি মন এক সূত্রে গাঁথা হয়। কথায় বলে হিন্দু বিয়ে (Wedding) ভাঙা অত সহজ নয়। এ যেন এক অমোঘ টান। যা অস্বীকার করা খুব কঠিন। পবিত্র আগুনকে সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘোরে স্বামী আর স্ত্রী। আর প্রতিটি পাক ঘোরার সময় করতে হয় একটি করে প্রতিজ্ঞা। কী সেই প্রতিজ্ঞা? কী তার মাহাত্ম্য? বাঙালি বিয়ে (Bengali Wedding) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক কী কী হয় সেসব কথা আপনাদের জানাতেই আজ এই প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। হতে পারে আপনি সদ্য বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন বা এমনও হতে পারে সামনেই আপনার বিয়ে (Marriage)। একথা অস্বীকার করে লাভ নেই, কঠিন সব মন্ত্রের মানে আমরা অনেকেই জানি না। আর তাই বাঙালি বিয়ের (Bengali Wedding) সাত পাকে বাঁধা পড়ার সাতকাহন নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।

আরো পড়ুনঃ বিয়ের সবরকম আচার অনুষ্ঠানের জন্য সেরা বলিউড গান

বাঙালি বিয়ের নিয়ম কানুন

বিয়ের আগের নিয়ম কানুন

বিয়ের দিনের নিয়ম

বিয়ের পরের নিয়ম কানুন

হিন্দু ধর্মে বিয়ের অর্থ (Meaning Of Hindu Marriage)

‘বিবাহ’ কথাটর প্রকৃত অর্থ বিশেষ ভাবে বহন করা। হিন্দু বিবাহে শুধু দুটি শরীর এক হয়না। বরং পবিত্র অগ্নির সামনে স্বামী স্ত্রী যে সাতটি প্রতিজ্ঞা করেন তা তাদের দুজনকে সাত জন্মের জন্য এক করে দেয়। হাতের উপর হাত রেখে অনেক মন্ত্র বলে, মালাবদল, সিঁদুরদান সহ নানাবিধ নিয়ম পালন করার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বাঙালি বিয়ের নিয়ম কানুন (Bengali Wedding Rituals)

বাঙালিরা সাধারণত ‘বিবাহ’ শব্দটি উচ্চারণ করেন না। তারা কখনও বলেন না “আমার মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়েছে।” ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়মের মতো বাঙালি বিয়েতেও কিছু বিশেষ বিশেষ নিয়ম কানুন আছে। সাধারণত পূর্ববঙ্গ বা বাঙালদের বিয়ের নিয়ম আর এদেশীয় বা ঘটিদের বিয়ের নিয়মকানুন আলাদা হয়। তবে ঘটি বাড়ির মেয়ে/ছেলে এবং বাঙাল বাড়ির ছেলে/মেয়ের বিয়ে ঠিক হলে ছেলের বাড়ির নিয়মকানুন মেনেই বিয়ে হয়ে থাকে।

বিয়ের আগের নিয়ম কানুন (Bengali Pre-Wedding Rituals)

১। পাকা দেখা বা পাটিপত্র

বিয়ের দিন ও অন্যান্য বিষয় স্থির করতে হবু কনে ও বরের বাড়ির লোকেরা দেখা সাক্ষাৎ করেন। বিয়ে কবে হবে এবং সেখানে কীরকম ব্যাপার স্যাপার হবে তাই নিয়ে আলোচনা হয়। ঘটিরা একে পাকা দেখা বলে এবং বাঙালরা বলে পাটিপত্র। অনেক ক্ষেত্রে বরের মা হবু পুত্রবধূকে সোনার হার বা অন্য গয়না দিয়ে আশীর্বাদও করেন পাকা দেখার দিন।

২। আইবুড়োভাত

আইবুড়ো অর্থাৎ এখনও অবিবাহিত বা সবার চেয়ে বড়। বিয়ে পাকা হয়ে গেলে অনেক আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব হবু কনে বা হবু বরকে ডেকে খাওয়ান। কারণ বিয়ের আগে ব্যাচেলর বা স্পিনস্টার হিসেবে এটা তাদের খাওয়া। তবে বরের বা কনের বাড়িতে বিয়ের আগের দিন আইবুড়োভাত হয়। ভাত, অনেক রকমের ভাজা, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছের ঝোল বা ঝাল, মাংস, চাটনি সহ নানা পদ হয় আইবুড়োভাতে। সাধারণত মেয়ে বা ছেলে যা খেতে চায় তার ইচ্ছেমতোই মেনু নির্বাচন করা হয়। আইবুড়োভাত মেখে প্রথম গ্রাস কনে বা বরকে খাইয়ে দেন তাদের মা। পরে বড় দিদি, জেঠি, কাকি, মামিরাও খাওয়ান। বাঙালিরা বিশ্বাস করে এই মাখা ভাত কনে বা বর হাতে করে যাকে খাওয়ায় তার বিয়েও তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। ফলে অনেকের মধ্যেই এই ভাত খাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়।

৩। শাঁখা পলা পরা

হবু কনেকে নিয়ে তার মা বা বাড়ির বড়রা কালীঘাট বা অন্য কোনও জাগ্রত মন্দিরে যায় বিয়ের আগের দিন। অনেক বাড়িতে নিয়ম আছে বিয়ের আগের দিন মন্দিরে গিয়ে দেবতাকে প্রথম কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রন করা। তারপর কনেকে শাঁখা আর পলা পরানো হয়। শাঁখা নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে সেটা শাঁখ থেকে তৈরি হয় আর পলা হয় লাল রঙের যা আসলে লাল প্রবাল। এই সাদা লালের জুটি হল এয়োস্ত্রীর চিহ্ন।

৪। জল সইতে যাওয়া

বিয়ের দিন ভোরবেলা পাত্র ও পাত্রীর মা এবং আরও কয়েকজন বিবাহিত মহিলা জল সইতে যান। বাড়ির আশেপাশে কোনও পুকুর বা নদী থেকে তামার ঘড়ায় জল এনে রাখা হয়। গায়ে হলুদের পর এই জল দিয়েই বর ও কনে স্নান করেন। জল সইতে যাওয়ার সময় গান গাওয়ার রেওয়াজ আছে অনেক বাড়িতে।

৫। দধি মঙ্গল

দধি মানে দই আর মঙ্গল মানে শুভ। হিন্দুরা দইকে খুব শুভ মনে করেন। অনেকেই সেইজন্য দইয়ের ফোঁটা লাগিয়ে পরীক্ষা দিতে বা শুভ কাজে যায়। ভোরবেলা উঠে হবু কনে ও বরকে বেশ অনেকটা পরিমাণে দই, চিঁড়ে, কলা ও সন্দেশ দিয়ে মেখে খেতে দেওয়া হয়। তারপর সারাদিন তারা উপোস করে। বিয়ের সমস্ত বিধি শেষ হলে তবেই তারা খেতে পারে।

৬। বৃদ্ধি পুজো

ছেলে ও মেয়ের বাড়িতে আলাদা করে এই পুজো হয়। ছেলে ও মেয়ের বাবা বা পিতৃস্থানীয় কেউ যেমন ধরুন কাকা, জ্যাঠা, মামা এরা এই পুজো করেন। সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে যার বিয়ে হচ্ছে তার সাত পুরুষের উদ্দ্যেশে এই পুজো করা হয়। এখানে স্বর্গত পূর্বপুরুষের কাছে হবু কনে ও বরের জন্য আশীর্বাদ চাওয়া হয়।

৭। গায়ে হলুদ ও তত্ত্ব

তাজা হলুদ শিলে বেটে তার সঙ্গে সরষের তেল দিয়ে মাখা হয়। প্রথমে বরের মা ও বিবাহিতা আত্মীয়রা এই হলুদ বরকে মাখায়। জল সইতে গিয়ে যে ঘড়া করে জল আনা হয়েছিল সেটা দিয়ে বর স্নান করে। বেঁচে যাওয়া হলুদ রূপোর বাটিতে করে মেয়ের বাড়ি নিয়ে যায় ছেলের বাড়ির আত্মীয়রা। এই হলুদের সঙ্গে মেয়ের গায়ে হলুদের শাড়ি, হলুদ আর সিঁদুর লাগানো গোটা একটা রুই মাছ এবং অন্যান্য উপহার নিয়ে যান আত্মীয়রা। ছেলে ও তার বাড়ির লোকের জন্য উপহার নিয়ে মেয়ের বাড়ির লোকেরা যায় বউভাতের দিন। উপহারের এই আদান প্রদানকে বলে তত্ত্ব।

আরও পড়ুনঃ গায়ে হলুদের তত্ত্ব সাজানোর টিপস

৮। বিয়ের পোশাক

গায়ে হলুদ হয়ে গেলে মেয়ে ও ছেলেরা সন্ধের অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বলাই বাহুল্য বরের চেয়ে কনের সাজতে একটু বেশি সময় লাগে।

বরের পোশাক

বাঙালি বর বিয়ের সময় মসলিন বা তাঁতের ধুতি আর সুতি, সিল্ক বা তসরের পাঞ্জাবী পরে।অনেকে পাঞ্জাবীতে সোনা ও হীরের বোতাম লাগায়। বর কপালে সামান্য চন্দন লাগায়। মাথায় পরে টোপর। এছাড়াও বরের গলায় থাকে রজনীগন্ধা ও গোলাপের মালা। বিয়ের সময় বরকে পোশাক পাল্টে সিল্কের ধুতি ও পট্টবস্ত্র পরতে হয়। একে বলা হয় জোড়। বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী বাঙালি বরের হাতে থাকে একটি পিতলের বস্তু থাকে। এটা দেখতে ছোট হাত আয়নার মতো। একে বলা হয় দর্পণ।

POPxo Recommends Manyavar

কনের পোশাক

বাঙালি কনের সাজ খুব সুন্দর হয়। যেভাবে দুর্গা প্রতিমা একটু একটু করে সেজে ওঠেন, ঠিক সেভাবেই বাঙালি কনেকে খুব যত্ন করে সাজানো হয়। বাঙালি কনে বিয়েতে পরে লাল বেনারসি। বেশিরভাগ কনেই আটপৌরে স্টাইলে শাড়ির আঁচল রাখেন। এতে তাদের চলাফেরা করতেও অনেক সুবিধে হয়। কনের মাথায় ওড়না থাকে। আর কনেরা অনেক গয়না পরেন। কনের কপালে চন্দনে অনেক কারুকার্য ও ডিজাইন থাকে। কনে মাথায় শোলার মুকুট বা টায়রা পরে। বরের হাতে যেমন দর্পণ থাকে তেমনি কনের হাতে থাকে একটা কাঠের বস্তু। এটাকে বলে গাছকৌটো। এর মধ্যে থাকে সিঁদুর আর রুপোর এক টাকা। অনেক বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী কনের হাতে তাহকে কাজললতা। এটি ধাতুর তৈরি একটি পাত্র যাতে কাজল থাকে।

POPxo Recommends Adi Mohinimohan Kanjilal

বিয়ের দিনের নিয়ম (Bengali Wedding Rituals Step By Step)

১। বরযাত্রীদের আদর আপ্যায়ন ও বরকে বরণ

মাকে প্রনাম করে বর বিয়ে করতে যায়। বরযাত্রীরা যায় বরের সঙ্গে। সবাইকে সাদর আপ্যায়ন করা হয়। মেয়ের মা একটা কুলোয় হলুদ, পানের পাতা, সুপুরি ও প্রদীপ নিয়ে বরকে বরণ করে।

২। আশীর্বাদ

অনেক বাড়িতে আশীর্বাদ আলাদা করে বিয়ের আগে হয়। তবে অনেকেই এটি বিয়ের দিন সারেন। মেয়ের বাড়ির গুরুজনরা বরকে আশীর্বাদ করে উপহার দেন। ছেলের বাড়ির লোকেরাও মেয়েকে আশীর্বাদ করে উপহার দেন। বিশেষ করে ছেলের মা বা বাবা নতুন বউকে আশীর্বাদ করে সোনার গয়না দিয়ে থাকেন।

POPxo Recommends Anjali Jewellers

৩। সাত পাক ও শুভ দৃষ্টি

ছাদনাতলা বা যেখানে বিয়ে হচ্ছে সেখানে বর পোশাক পাল্টে আসে। যিনি কন্যা সম্প্রদান করবেন তিনি আগে একটা পুজো করেন পুরোহিতের সাহায্যে। বর এলে কনেকে পিঁড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসা হয়। কনের মুখ পান পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। বরের চারপাশে কনেকে ঘোরানো হয় সাতবার, একেই সাতপাক বলে। তারপর কনেকে পিঁড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে কনে মুখ থেকে পান পাতা সরিয়ে বরের দিকে তাকায়। একে শুভদৃষ্টি বলে। সবাই তখন উলু দেয় ও শাঁখ বাজানো হয়।

৪। কন্যা সম্প্রদান

মেয়ের হাত ছেলের হাতের উপর রেখে কন্যা সম্প্রদান করা হয়। যিনি সম্প্রদান করছেন তিনি একটি পবিত্র সুতো দিয়ে হাত বেঁধে দেন।

৫। হোম

এরপর বর ও বউ পাশাপাশি বসে এবং পুরোহিত আগুন জ্বেলে হোমযজ্ঞ করেন এবং মন্ত্র পড়েন। 

৬। সপ্তপদী

এবার পুরোহিত কনের শাড়ি ও বরের পট্টবস্ত্রের খুঁট বেঁধে দেন এবং বর-কনে সাত পাক একসঙ্গে ঘোরে। তার সাথে সাথে মন্ত্র উচ্চারণ ও বিয়ের প্রতিজ্ঞা করেন।

৭। কুসুমডিঙা

কনে কুলোয় করে আগুনে খই দেয় আর বর তার হাত দুটো পিছন থেকে ধরে থাকে।

৮। সিঁদুরদান

সব শেষে বর সিঁদুর পরিয়ে দেয় কনের সিঁথিতে। সিঁদুর পরানো হয়ে গেলেই কেউ একজন কনের মাথা একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। একে বলে লজ্জাবস্ত্র। সিঁদুর পরানর ক্ষেত্রে একেক বাড়িতে একেক রকম নিয়ম আছে। কেউ ধান মাপার কুনকে, কেউ রূপোর টাকা, কেউ আংটি আর কেউ দর্পণ দিয়ে সিঁদুর পরায়।

৯। সাত পাকের সাত প্রতিজ্ঞা

প্রথম প্রতিজ্ঞা:

স্বামী ও স্ত্রী চান বাড়িতে কখনও খাদ্য বা ধন সম্পত্তির অভাব যেন না হয়। স্বামী স্ত্রীকে খুশি রাখার এবং স্ত্রী দায়িত্বপালনের প্রতিজ্ঞা করেন।

দ্বিতীয় প্রতিজ্ঞা:

স্বামী স্ত্রী দুজনে দুজনকে সমর্থন করার এবং শরীরে মনে একাত্ম হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।

তৃতীয় প্রতিজ্ঞা:

স্বামী ও স্ত্রী ধন সম্পত্তি সামলে রাখার তাকে বৃদ্ধি করার প্রতিজ্ঞা করেন। তারা প্রতিজ্ঞা করেন সন্তানের সঠিক দেখাশোনা করবেন।

চতুর্থ প্রতিজ্ঞা:

সদ্য বিবাহিত দম্পতি প্রতিজ্ঞা করেন তারা পরস্পরের পরিবারকে সম্মান জানাবেন। তাদের দেখাশনার দায়িত্ব নেবেন এবং তাদের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেবেন।

পঞ্চম প্রতিজ্ঞা:

তারা ঈশ্বরের কাছে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান সন্তানের প্রার্থনা করেন। তারা প্রতিজ্ঞা করেন সন্তানের সুশিক্ষার ব্যাবস্থা তারা করবেন।

ষষ্ঠ প্রতিজ্ঞা:

ষষ্ঠ প্রতিজ্ঞায় সুস্বাস্থ্য ও রোগবিহীন জীবন কামনা করেন দুজনে।

সপ্তম প্রতিজ্ঞা:

সপ্তম ও শেষ প্রতিজ্ঞা হল এই সম্পর্ক যেন স্থায়ী ও মজবুত হয় তার জন্য দুজনেই সচেষ্ট থাকবেন।

বিয়ের পরের নিয়ম কানুন (Bashi Biye To Ashtomongola)

১। বাসর ঘর

বিয়ে শেষ হলে বর ও কনের ভাই বোন ও বন্ধুরা সবাই মিলে সারা রাত আড্ডা দেয়। গান বাজনা হয়। একে বলে বাসর ঘর।

২। বাসি বিয়ে

অনেক বাঙালি বাড়িতে নিয়ম আছে কুসুমডিঙা ও সিঁদুরদান বিয়ের পরদিন সকালে হয়। তাই একে বাসি বিয়ে বলা হয়।

৩। কনের শ্বশুরঘর যাত্রা

বিয়ে এবার সম্পন্ন। সবাই এসে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন। ঘটি বাড়িতে বর ও কনে সকাল বেলা চলে যায়। আর বাঙাল বাড়িতে সন্ধে হলে তবে যায়।

৪। বধূ বরণ ও কালরাত্রি

বরের বাড়ি পৌঁছলে বরের মা কনেকে বরণ করে ঘরে তোলেন। দুধ আর আলতায় পা ডুবিয়ে ঘরে ঢুকতে হয়। নতুন বউকে ওথলানো দুধ, চাল ভর্তি পাত্র দেখতে হয় এবং ল্যাটা মাছ ধরতে হয়। সেদিন স্বামী ও স্ত্রী আলাদা আলাদা শয়ন করেন। একে বলে কালরাত্রি।

৫। বউ ভাত ও ফুলশয্যা

পরের দিন বউয়ের হাতে ভাতের থালা ও কাপড় তুলে দেয় বর। বলে আজ থেকে তমার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম। এবার নতুন বউ সব গুরুজনদের পাতে ঘিভাত দেয়। সন্ধেবেলা রিসেপশান হয় এবং রাত্রে ফুলশয্যা হয়।

৬। অষ্টমঙ্গলা

বিয়ের আট দিনের মাথায় বর ও কনে মেয়ের বাড়ি যায় একসঙ্গে।সত্যনারায়ণ পুজো করে হাতের সুতো খুলে দেওয়া হয় এবং মেয়ের মা জোরের গেঁট খুলে দেন।

Picture Courtsey: Facebook and Instagram

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

বিয়ের কনের জন্য মেহেন্দির ডিজাইন

প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবীর বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা বার্তা

বিয়ের পর হানিমুনে কী ধরনের ড্রেস পরবেন

বিয়ের সাজে বাঙালি কনের গয়নার সম্ভার

কলকাতার সেরা ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট

Read More From Life