ওয়েলনেস

একটাই জীবন, কেঁদে না ভাসিয়ে হেসে উড়িয়ে দিন! এই বার্তাই দিলেন বলিউডের এই তিন ব্যক্তিত্ব

Debapriya Bhattacharyya  |  May 20, 2019
একটাই জীবন, কেঁদে না ভাসিয়ে হেসে উড়িয়ে দিন! এই বার্তাই দিলেন বলিউডের এই তিন ব্যক্তিত্ব

দারুণ ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার দুনিয়া, কত আলোর ঝলকানি, খবরের শিরোনামে প্রতিদিন তাঁদের নিয়েই চর্চা, ক্ষণে ক্ষণে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ – বাইরে থেকে কী ভালই না দেখতে লাগে, কিন্তু ওই যে একটা কথা আছে না, ‘প্রদীপের নীচেই অন্ধকার’; সেলিব্রেটিরা কিন্তু পদে-পদেই এই অন্ধকারের শিকার হন! কথাটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঘটনা কিন্তু একেবারে সত্যি! আর এই অন্ধকার যখন মনের মধ্যে বাসা বাঁধে, তখন শুরু হয় এক লড়াই, আর সেটাও নিজের সঙ্গে। এই লড়াই অবসাদের বিরুদ্ধে। তবে ওই যে, তাঁরা ‘সুপার হিউম্যান’, পর্দায় তাঁরা কত কিছু একা হাতে সামলান; কাজেই অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়েও শেষ পর্যন্ত কিন্তু তাঁরাই জয়ী হন। হ্যাঁ, আজ শোনাব তেমনই কিছু অসাধারণ বলি সেলেবদের কাহিনি, যা আমাকে এবং আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে মানসিক অবসাদ বা depression-এর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে।

দীপিকা পাডুকোন

দীপিকা পাডুকোন খুব খোলাখুলিভাবেই তাঁর মানসিক অবসাদের কথা স্বীকার করেছিলেন এবং এককালে তিনি যে একটা সময় ভয়ঙ্কর রকমের depression-এ চলে গিয়েছিলেন, সেই খবর হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল সংবাদমাধ্যমে। “আমি তখন যে পরিস্থিতিতে ছিলাম, সেটা আমার একটুও ভাল লাগত না; আমার মনে হচ্ছিল কেন আমি এখান থেকে বেরতে পারছি না… কিন্তু ওই যে বলে না, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ ঘুরে দাঁড়াবেই, আমিও হঠাৎ করেই একদিন নিজের মধ্যে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজে পেয়েছিলাম,” তাঁর সংস্থা ‘লিভ, লাভ, লাফ ফাউন্ডেশন’-এর প্রসঙ্গে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল টেলিভিশনে বসে অকপটেই দীপিকা এই সাহসী স্বীকারোক্তি করেন।

করণ জোহর

যাঁর অনুষ্ঠানে দীপিকা তাঁর অবসাদের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন, সেই করণ জোহরও যে এককালে depression-এর খপ্পরে পড়েছিলেন সে খবর কি আপনার জানা আছে? “একবার একটা মিটিং চলছিল, কিন্তু মাঝপথেই আমি মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই। কারণ, আমার হঠাৎ করে শরীর খারাপ লাগছিল এবং মনে হচ্ছিল হার্ট এখনই কাজ করা থামিয়ে দেবে। আমি সঙ্গে-সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাই সেখান থেকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও যাই। সেখানেই গিয়েই জানতে পারি যে, আমার অ্যাংজাইটির সমস্যা রয়েছে, সঙ্গে অবসাদও। বছরদেড়েক আমাকে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়েছে।” একটি সাক্ষাৎকারে বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক নিজমুখে এই কথা বলেছিলেন।

অনুষ্কা শর্মা

সিনেমাতে তাঁকে আমরা সব সময়ই হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখি, আবার কখনও-কখনও তিনি সিরিয়াস চরিত্রেও অভিনয় করেন। শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন সফল প্রযোজকও বটে। বিবাহিত জীবনেও তিনি সুখী। কিন্তু তার পরেও তাঁর নাম কেন এই লিস্টে, তাই ভাবছেন তো? অনুষ্কার কথায়, “হ্যাঁ, আমি মাঝেসাঝেই অ্যাংজাইটিতে ভুগি এবং নিয়মিত ওষুধ খাই সেজন্য। কেন বলছি একথা? কারণ, এই সমস্যাটাও জ্বর বা সর্দি-কাশির মতোই স্বাভাবিক। আমাদের জীবনে এখন এত বেশি স্ট্রেস, তা থেকে অ্যাংজাইটি বা মানসিক অবসাদ আসতেই পারে, এতে লজ্জার কিছু নেই আর এটা নিয়ে এত ঢাকঢাক-গুড়গুড়ের মতোও কিছু করার নেই!” একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সাফ জানিয়েছেন তিনি।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From ওয়েলনেস