Our World

ছিল সন্তানের মঙ্গলকামনার ষষ্ঠী, বেমালুম ‘জামাই’ জুড়ে দিনটা হয়ে গেল জামাই ষষ্ঠী (Bengali Jamai Sasthi)

popadmin  |  May 31, 2019
ছিল সন্তানের মঙ্গলকামনার ষষ্ঠী, বেমালুম ‘জামাই’ জুড়ে দিনটা হয়ে গেল জামাই ষষ্ঠী (Bengali Jamai Sasthi)

লোকাচার মতে, দিনটা ছিল আর পাঁচটা ষষ্ঠীর মতোই। যেদিন সন্তানের মঙ্গলকামনায় মায়েরা ঘটা করে মা ষষ্ঠীর পুজো করতেন, ব্রত পালন করতেন। কোত্থেকে যেন এই জষ্ঠি মাসের ষষ্ঠীতে সন্তানের সঙ্গে জুড়ে গেলেন জামাইরা ও! আর ধীরে-ধীরে এই ষষ্ঠীর নামই পালটে গেল জামাই ষষ্ঠী তে (Bengali Jamai Sasthi)। আর সেই সুযোগে ভরা জৈষ্ঠ্য মাসে চড়া রোদ মাথায় নিয়েই জামাই বাবাজিরাও শ্বশুরবাড়ি মুখো হলেন। জামাই বলে কথা, তাঁকে যত্ন আত্তি না করলে চলে! শাশুড়ি মাও তাই ঘাম ঝরিয়ে শুরু করলেন রান্না। পঞ্চব্যঞ্জনে শুরু হল ভুরিভোজ। সঙ্গী হল মেয়েও। সকলে মিলে বাপের বাড়িতে একটু স্পেশ্যাল আদর, মায়ের হাতের রান্না আর তালপাতার পাখার স্নেহমাখা হাওয়া, কার না ভাল লাগে বলুন! জামাই ও খুশি খাতির পেয়ে, শাশুড়িও খুশি একটি দিন মেয়ে-জামাইকে কাছে পেয়ে!

জামাই ষষ্ঠীর “স্পেশ্যাল” মেনু

জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে কেনাকাটা

এমন বিশেষ দিনে জামাইকে দিতে পারেন এসব উপহার

জামাই ষষ্ঠী নিয়ে যে কথা না জানলেই নয় (About Jamai Sashthi):

ইতিহাস ঘাঁটলে আরও অনেক মজার মজার তথ্য় উঠে আসে, যা নিয়ে এবার আলোচনা করব আমরা…

এই বছরের জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi 2019)

ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবছর জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) হল ৮ জুন। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ২৪ জৈষ্ঠ্য ১৪২৬। দিনটা শনিবার। তা ভাল দিনেই পড়েছে, বলুন! শনিবার অফিস ছুটি নিয়ে যদি শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন, তা হলে টানা দু’দিন একেবারে কবজি ডুবিয়ে ভুরিভোজ হবে। সঙ্গে এই গরমে দু’দিন একটু বিশ্রামও মিলবে।

শাস্ত্রে এই দিনটির মাহাত্ম্য (Importance Of The Day)

অনেকই ভাবেন, জামাই ষষ্ঠী মানে শুধুই জামাই বাবাজিদের জন্য অনুষ্ঠান (Bengali Jamai Sasthi)। আদতে কিন্তু তা নয়। শাস্ত্র মতে এই দিনটা মোটেই জামাইদের নয়। বরং বলা যেতে পারে বিবাহিত মহিলাদের কাছ থেকে এক প্রকার হাইজ্যাক করে এই দিনটিকে নিজেদের বানিয়ে ফেলেছেন জামাইয়েরা।

আগে এই দিনটিতে সন্তান লাভের আশায় বিবাহিত মহিলারা মা বিন্ধ্যবাসিনী স্কন্দ ষষ্ঠীর পুজো করতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে শুরু হত উপোস। এরপরে পাঁচ ধরনের ফল, মিষ্টি এবং ১০৮ টা দুর্বাবাঁধা আঁটি নিবেদন করে হত পুজো। মাকে নিবেদন করা হত ধান এবং আমের পল্লবও। পুজো শেষে প্রসাদ খেয়ে উপোস ভাঙা হত। সেই প্রথা আজও আছে। জামাই ষষ্ঠীর দিন অনেকেই এই সব নিয়ম মেনে মা ষষ্ঠীর পুজো করে থাকেন। সঙ্গে সমান তালে চলে জামাই নিয়ে জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) উদযাপনও! 

ষষ্ঠী পুজোয় জামাইরা ভাগ বসালেন কীভাবে? (Significance Of Jamai Sasthi)

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে সেই সময়ে, যখন মেয়েরা একা-একা বাড়ি থেকে বেরতেন না। বাপের বাড়ি যেতে গেলেও সেই নিয়মই প্রযোজ্য ছিল। ষষ্ঠীর দিন মেয়ের কল্যাণের আশায় তাকে পাখার বাতাস করবেন বলে মায়েরা উদগ্রীব হয়ে থাকতেন, তখন মেয়েদের সঙ্গে করে পৌঁছতে আসতেন জামাইরাই! প্রসঙ্গত, আরও অনেকরকম ষষ্ঠীব্রত বাংলায় আছে বটে, কিন্তু সেগুলি সন্তানের অসাক্ষাতেও পালন করা চলে। শুধু এই ষষ্ঠীতেই সন্তানকে পাখার হাওয়া দেওয়া নিয়ম। বোধ করি, দিনটি তৈরিই হয়েছিল হয়তো মেয়েরা যাতে আরও একটি বেশিদিন বাপের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পান, সেজন্যেই!

যাই হোক, মেয়েকে পৌঁছে দিতে স্বয়ং জামাইও যখন বাড়িতে আসছেন, তখন তাঁকে একটু আদর আপ্যায়ন না করলে চলে। তাই ষষ্ঠীর দিনে শাশুড়ি মায়েরা জামাইদের পাত পেড়ে খাওয়াতেন। তাতে মা-মেয়ে মিলে ষষ্ঠীর পুজো যেমন করতে পারতেন, তেমনই জামাইকে একটু তোষামোদ করারও সুযোগ মিলত। সেই থেকেই শুরু হল ষষ্ঠীর দিন জামাই আদর। এবার তা হলে বুঝতেই পারছেন কীভাবে সাধারণ স্বন্দ ষষ্ঠী বদলে গেল জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) তে!

জামাই ষষ্ঠী (Bengali Jamai Sasthi) নিয়ে অবশ্য আর একটা গল্পেরও হদিশ মেলে। তখনকার দিনে মেয়েদের যতদিন না সন্তান হত, ততদিন নাকি তাঁর মুখ দেখতে পারতেন না বাবা-মায়েরা! ফলে অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের মুখ না দেখেই কাটাতে হত তাঁদের। তার সমাধানেই সমাজের বিধানদাতারা জৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন মা বিন্ধ্যবাসিনী স্কন্দ ষষ্ঠীর পুজোর দিন হিসেবে। যেদিন পুজো উপলক্ষে জামাই এবং মেয়েকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যা পরবর্তী সময় শুধুমাত্র জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) হিসেবেই পরিচিতি পায়। আর এখন তো অনেকেই মা ষষ্ঠীর পুজো করেন না, কিন্তু তাঁরাও জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) পালন করেন বেশ ধুমধাম করে।

মেয়েদের জন্যও বউমা ষষ্ঠী কেন হবে না (Bouma Sasthi)

অবশ্যই হওয়া উচিত। কোনও এক বিশেষ দিনে ছেলেদের যদি এমন কাঁধে তুলে নাচা হয়। বাবা-বাছা বলে আদর আপ্যায়ন করা হয়, তা হলে মেয়েরাই বা বাদ যায় কেন! তাই শুনছেন তো মেয়েদের শ্বশুর-শাশুড়িরা। আপনাদেরও এবার একটু ঘাম ঝরাতে হবে। বেছে নিন বছরের যে-কোনও একটা দিন। আর সেই দিনে আদর আপ্যায়ন করে বাড়ির লক্ষ্মীকে পাত পেরে খাওয়ান। মনে রাখবেন, শর্টকাটে সারলে কিন্তু চলবে না!

তবে একটা কথা বলতে চাই। এতক্ষণে এটা তো বুঝেই গেছেন যে, যেদিনটা জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) হিসেবে পালন করে হয়, সেই দিনটা আসলে মেয়েদের। তাঁদের কথা ভেবেই তো এত আয়োজন। তাই জামাইয়েরা দিনটাকে হাইজ্য়াক করুক না, ক্ষতি নেই! শাস্ত্র তো জানে, এই দিনটি আসলে আপনাদেরই।

জামাই ষষ্ঠীর “স্পেশ্যাল” মেনু (Jamai Sasthi Special Menu)

ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম

জামাই ষষ্ঠী মানে পাত পেড়ে খাওয়া। আর বাঙালি জামাই ষষ্ঠীর মেনু যেখানে খাদ্যরসিক, সেখানে শাশুড়ি মায়েরা পঞ্চব্যঞ্জনের আয়োজন করবেন না, তা কখনও হয়! এদিন মূলত দুপুরেই ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। শুরুতে গরম ভাতে ঘি। সঙ্গে দু’-চার রকম ভাজাভুজি। পরে আসে ডাল। তবে জামাইরা বুদ্ধিমান। এই সব খায় কম। কেন? আরে এর পরে যে আসবে বাঘা-বাঘা সব পদ। তাতে থাকতে পারে ইলিশের পাতুরি, গলদা চিংড়ির মালাইকারি। দই-রুই, ভেটকি মাছের ফ্রাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আরে দাঁড়ান, চললেন কোথায়! এখনও শেষ হয়নি খাওয়া। এত সবের পরেও জামাই বাবাজির পেটের কোণে ছোট্ট একটা কম্পার্টমেন্ট থাকে মিষ্টির জন্য। তাই শেষ পাতে মিষ্টি থাকাটা মাস্ট! সঙ্গে দই। এর পরেও যদি পেটে জায়গা থাকে, তা হলে আম-কাঁঠাল-লিচু তো রয়েছেই। তবে মেনু প্ল্যান করার আগে জামাইয়ের পছন্দ-অপছন্দই শুধু নয়, মনে রাখবেন মেয়ের কথাও! দুজনের পছন্দ এমন পদই পরিবেশন করুন এদিন!

আজকাল এত সব পদ একার হাতে রান্না করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই তো অনেকেই জামাইকে বগলদাবা করে ভিড় জমান নানা রেস্তরাঁয়। সেখানে জামাই ষষ্ঠীর মেনু (Jamai Sasthi) উপলক্ষে পরিবেশিত হয় খাস বাঙালি সব খাবারদাবার। তাতে শাশুড়ি মায়ের হাতের ছোঁওয়া থাকে না ঠিকই, কিন্তু খাওয়াটা মন্দ হয় না!

আরও পড়ুন: সেরা দুই বাঙালি পদের রেসিপি!

জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে কেনাকাটা ও কম হয় না (Jamai Sasthi Special Shopping)

এই বাংলায় দুর্গাপুজো ছাড়া জামা-কাপড়ের বাজার খুব একটা জমে ওঠে না। সারা বছরই খরা। মাঝে চৈত্র সেলে কিছু বিক্রি-বাট্টা হয় ঠিকই। কিন্তু সেটাও ওই নামমাত্র। এমন মরা গাঙে বান আনে জামাই ষষ্ঠী। এমন একটা বিশেষ দিনে জামাইকে খালি হতে ফেরালে হয়! তাই চলে দেদার শপিং। মেয়ে আর নাতি-নাতনিরাই বা কী দোষ করল! এভাবেই শপিংয়ের লিস্ট বাড়তে থাকে। এই ক’দিন কেনাকাটাও কম হয় না। তাই তো মিষ্টির দোকান থেকে রেস্তরাঁ, ছোট কাপড়ের ব্যবসায়ী থেকে বড় দোকানি, সকলের ব্যবসাই তুঙ্গে ওঠে। আর এই ভাবেই একটা দিন বিশাল বাণিজ্যিক উৎসবে পরিণত হয়।

এমন বিশেষ দিনে জামাইকে দিতে পারেন এসব উপহার (Gifts For Jamai Sasthi)

১। ঘড়ি (Wrist Watch)

জামাইকে যখন উপহার দিচ্ছেন, তখন ঘড়ির কোনও বিকল্প হয় না। এক্ষেত্রে জামাইয়ের পছন্দ মতো অ্যানালগ বা ডিজিটাল ঘড়ি কিনতে পারেন। আর যদি একটু বেশি টাকা খরচ করতে মন চায়, তা হলে স্মার্ট ওয়াচও উপহার হিসেবে মন্দ নয়! ঘড়ি কেনার আগে আর-একটি বিষয় জেনে নেবেন। আপনার জামাই লেদার স্ট্র্যাপ পছন্দ করেন, না ধাতব স্ট্র্যাপ। সেই মতো কিনতে ভুলবেন না যেন!

popxo recommends: Fossil Explorist Hr Black Dial Men’s Smart Watch

২। অ্যামাজন কিন্ডল (Amazon Kindle)

আপনার জামাই যদি বই পড়তে ভালবাসেন, তা হলে উপহার হিসেবে কিন্ডল কিন্তু মন্দ নয়। আর এমন বিশেষ দিনে এমন একটা বিশেষ উপহার পেলে আপনার জামাইয়ের যে বেশ ভালই লাগবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, যে কিন্ডলটা কিনছেন, তার মেমরি স্পেস কত তা দেখে নেবেন। একটু বেশি মেমরি স্পেস রয়েছে, এমন কিন্ডল কিনলে আপনার জামাইয়েরই সুবিধে।

popxo recommends: All-New Kindle (10th Gen), 6″ Display now with Built-in Light, 4 GB, Wi-Fi

৩। পেন (Pen)

ছেলেদের উপহার (Gift) হিসেবে পেনের কোনও বিকল্প নেই। তাই জামাইকে গিফট হিসেবে দামি কোনও পেন দিতেই পারেন। পার্কার কোম্পনির পেন বেশ টেকসই। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক কোম্পানি। তাই বিকল্প অনেক। বাজেট আর পছন্দ অনুযায়ী শুধু বেছে নিতে হবে।

popxo recommends: Sheaffer Sagaris 9475Ball Point Pen

৪। পোশাক (New Outfit)

এমন বিশেষ দিনে অনেকেই জামাইকে পায়জামা-পাঞ্জাবি দিয়ে থাকেন। ইচ্ছে হলে আপনিও সেই রাস্তা নিতে পারেন। কিন্তু আধুনিক জামাই বলে কথা! তাই এবছর পায়জামা-পাঞ্জাবি নয়, বরং ফর্মাল অথবা ক্যাজুয়াল শার্ট। সঙ্গে ম্যাচিং করে ডেনিম নয়তো ট্রাউজারও উপহার হিসেবে দিন। টাই পরতে ভালবাসলে তাও উপহার (Gift) হিসেবে দিতে পারেন। ফর্মাল শার্টের সঙ্গে মানানসই কাফলিংও গিফট হিসেবে মন্দ নয়। আরও বেশি কিছু দিতে মন চাইলে জামা-কাপড়ের সঙ্গে বেল্ট এবং মানিব্যাগের সেটও দিতে পারেন।

popxo recommends: Men Blue Regular Fit Printed Casual Shirt

আরও পড়ুন: ত্বক-চুলের যত্ন নিতে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন নানা উপকারী এসেনশিয়াল তেল!

৫। মোবাইল ফোন (Smart Phone)

এটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের গিফট (Gift)। কিন্তু আপনার ইচ্ছে থাকলে আমরাই বা আটকাই কেন। তবে মোবাইল কেনার আগে একটু রিসার্চ করে নেবেন। জমাইয়ের কেমন ফোন পছন্দ। আপনার বাজেটই বা কত। এসব নিয়ে একটা প্ল্যান ছকে ফেলুন। ইচ্ছে হলেও মেয়ের সাহায্যও নিতে পারেন। তাতে ভুল মোবাইল কিনে ফেলার ঝুঁকি একটু কমবে আর কী!

popxo recommends: Redmi 7 (Comet Blue, 2GB RAM, 32GB Storage)

৬। পারফিউম (Perfume)

জামাই যদি একটু শৌখিন প্রকৃতির মানুষ হন, তা হলে উপহার হিসেবে পারফিউমও কিন্তু মন্দ নয়। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১,৫০০-৬,০০০ টাকার মতো। ইচ্ছে হলেও আরও দামি পারফিউমও দিতে পারেন।

popxo recommends: Paco by Paco Rabanne for Unisex 3.4 oz Eau de Toilette Spray Brand New

৭। গলার চেন বা আংটি (Jewellery)

বাজেট একটু বেশি হলে এবছর জামাইকে সোনার চেন বা আংটি দিতে পারেন। দিতে পারেন ব্রেসলেটও। আজকাল অনেকে বালাও পরে থাকেন। তাই সোনার বালাও উপহার হিসেবে মন্দ নয়। সোনার পরিবর্তে ইচ্ছে হলে প্লাটিনাম জুয়েলারিও দিতে পারে।

popxo recommends: LUCIAN GOLD CHAIN

৮। ফোটো ফ্রেম বা হোম ডেকর আইটেম (Home Decor)

জামাই যদি ঘর সাজাতে ভালবাসেন, তা হলে তো আপনার মুশকিল আসান! সেক্ষেত্রে ঘর সাজানোর যে-কোনও জিনিস উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। দিতে পারেন ফোটো ফ্রেমও। আর তাতে সেই ফোটো ফ্রেমে যদি মেয়ে-জামাইয়ের একটা ফোটো সেঁটে দিতে পারেন, তা হলে তো কথাই নেই। ইচ্ছে হলে পেন্টিংও উপহার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কাছে বিকল্প অনেক। একটু প্ল্যানিং করে সেই মতো কিনে বা বাঁধিয়ে ফেলুন।

popxo recommends: Art Street

৯। সানগ্লাস (Sunglass)

যা গরম পড়েছে, তাতে গিফ্ট হিসেবে সানগ্লাস কিন্তু বেশ হয়। আজকাল নানা ধরনের রোদ চশমা পাওয়া যায়। জামাইয়ের মুখের গড়ন অনুযায়ী তার কোনও একটা কিনে ফেলুন। বাজেট বেশি থাকলে রে-ব্যান, নয়তো টম ফোর্ডের মতো নামী-দামি কোম্পানির রোদচশমাও উপহার হিসেবে দিতে পারেন।

popxo recommends: Ray-Ban UV Protected Aviator Unisex Sunglasses

আরও পড়ুন: মুখের গড়ন অনুযায়ী কিনে ফেলুন সানগ্লাস

১০। পাসপোর্ট ওয়ালেট (Passport Holder)

আপনার জামাই কি কাজের সূত্রে প্রায়ই বিদেশে যান? তা হলে এবারের জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) তাঁকে উপহার হিসেবে পাসপোর্ট ওয়ালেট দিতে পারেন। এমন ওয়ালেট আয়তনে একটু বড় হয়। তাই তো এতে পাসপোর্ট থেকে জরুরি ডকুমেন্ট, সবই একসঙ্গে রাখা যায়।

popxo recommends: Qrioh Passport Holder Travel Wallet for Men

 

picture courtesy: instagram

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From Our World