ফ্যাশন

সোনার গয়না পরতে ইচ্ছে না হলে ট্রাই করুন এই ধরনের জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery)

Upasana Sarkar  |  Feb 7, 2019
সোনার গয়না পরতে ইচ্ছে না হলে ট্রাই করুন এই ধরনের জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery)

গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, এসপ্ল্যানেডের ফুটপাথ থেকে শপিং (shopping) করার মজাই আলাদা। তবে শপিং (shopping) করতে গেলাম, জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery) কিনলাম না, সেটা তো হয় না! আসলে ওখানে গেলেই মনে হয়, গয়নাগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে! বেস্ট পার্ট হচ্ছে দর কষাকষি। ওটা না করলে তো মজাই আসে না। এই ধরুন, একটা নেকপিস (neckpiece) জব্বর লেগেছে। যে-ই দাম জিজ্ঞাসা করব, অমনি দর হাঁকবেন পাঁচশো। শুনে তো আকাশ থেকে পড়ব! আরে ভাই! শপিংটা পেশাদারিত্বের সঙ্গেই করে আসছি। শপিং (shopping) করে করে তো এতটা বয়স হল নাকি! তাই প্রথমেই শুরু করলাম, পঞ্চাশে দেবে? ওমনি দোকানি বলবেন, কী যে বলেন দিদি? এটার কাজটা দেখুন। আপনি এই তিনশো দেবেন। তার পরেই আমার মতো ক্রেতারা বলেন, একশোয় দেবে তো দাও, না হলে চলি। এটায় একদম টনিকের মতো কাজ হয়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানি বলেন, আর পঞ্চাশটা টাকা বেশি দেবেন। ব্যস! একেবারে পছন্দের নেকপিস (neckpiece) বগলদাবা করে বিজয়িনীর হাসি হেসে দোকান ছাড়েন আমার মতো ক্রেতারা। মানে এই জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery) শপিংয়ের (shopping) সঙ্গে যে দর কষাকষিটা চলে, সেটাও একটা ইমোশন!

তবে আজকাল আবার নানা ধরনের জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery) বিভিন্ন অনলাইন দোকান থেকেই পেয়ে যাবেন। ফেসবুক খুললেই নানা রকম ডিজাইনের বিভিন্ন জুয়েলারির পেজ। আফগান জুয়েলারি থেকে শুরু করে কাপড়ের বিডসের হ্যান্ডমেড জুয়েলারির (handmade jewellery) সম্ভার। এমনকি মাটির হ্যান্ডমেড গয়নাও। যা আপনার লুকে একটা আলাদা ছোঁয়া এনে দেবে। আর ঘরে বসে অর্ডার করলেই হোম ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। আর আজকাল সোনার গয়নার বদলে বেশির ভাগ মহিলাই দামি দামি জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery) কেনেন। কারণ বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দিব্যি পরে নিতে পারেন একটু হেভি জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery)। দেখবেন, সবার নজর আপনার উপরেই থাকবে। দেখে নিন, কেমন ধরনের জাঙ্ক জুয়েলারির কালেকশন আপনি রাখবেন।

আরও পড়ুনঃ বিয়ের কনের সাজে বাঙালি গয়না

আফগান জুয়েলারি

আফগান জুয়েলারি (afghan jewellery) খুবই গর্জাস। জমকালো সাজতে চাইলে ট্রাই করুন আফগান জুয়েলারি। একটা তসর, ঘিচা সিল্কের সঙ্গে বা ভারী সিল্কের সঙ্গেও একটা বড় আফগান নেকপিস পরে নিন। ব্যস! আর কিচ্ছু লাগবে না। সেই সঙ্গে, ডিজাইনার কুর্তি বা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ড্রেসের সঙ্গেও দারুণ যাবে এই ধরনের নেকপিস। মিডলেংথ ড্রেসের সঙ্গে ট্রাই করতে পারেন আফগান চোকারও। আর কলিদার কুর্তি, আনারকলি স্টাইল কুর্তি অথবা ঘেরওয়ালা লং স্কার্টের সঙ্গে পরে নিতে পারেন ওভারসাইজড আফগান কানের দুল। তবে মনে রাখবেন, অরিজিনাল আফগান জুয়েলারির কিন্তু ভালই দাম। সেটা কিনতে গেলে নাম করা জুয়েলারি স্টোর থেকেই কিনবেন। তবে অরিজিনাল আফগান জুয়েলারি নিয়ে অত মাথাব্যথা না থাকলে নকল আফগান জাঙ্ক জুয়েলারি (junk jewellery) ট্রাই করতেই পারেন। যেগুলো দেখতে কিন্তু একেবারে আসল আফগান জুয়েলারির (afghan jewellery) মতোই।

অক্সিডাইজড জুয়েলারি

এটা খুবই কমন। টিনএজার থেকে শুরু করে বয়স্কদের মধ্যে বেশ পপুলার। কারণ পকেটমানি বাঁচিয়ে খুবই কম দামে কেনা যায় এই ধরনের জুয়েলারি। শাড়ি থেকে শুরু করে ওয়েস্টার্ন যে কোনও আউটফিটের সঙ্গে পরে নেওয়া যায় অক্সিডাইজড কানের দুল বা নেকপিস (neckpiece)। ছোট থেকে বড় সব রকমই ট্রাই করতে পারেন, তবে সেটা একদমই আপনার পোশাক বা সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।

কাপড়ের বিডসের জুয়েলারি

এই ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি (handmade jewellery) হালফ্যাশনে ভীষণই জনপ্রিয়। খাদি বা সুতির শাড়ির সঙ্গে কাপড়ের বিডসের নেকপিস দারুণ মানায়। এমনকি, একটু ঘেরওয়ালা কুর্তির বা স্কার্টের সঙ্গে এক কালারের বডিফিট টপের সঙ্গে পরে নিতেই পারেন এই রকম নেকপিস (neckpiece)। ছোট ছোট বিডস রং বেরঙের কাপড় বা গামছা দিয়ে মুড়ে তৈরি হয় এই নেকপিস। এই ধরনের নেকপিস আামার তো খুবই পছন্দের। বিশেষ করে দশ-এগারো লেয়ারের কাপড়ের বিডসের নেকপিস (neckpiece)। যেগুলো পুরো গলা জুড়ে থাকে। এগুলো সলিড কালারের শাড়ি বা সাদা শাড়ির সঙ্গে দারুণ যায়। আর হাতেও কাপড়ের ব্যাঙ্গলস, একটা অন্যরকম লুক এনে দেয়।

রূপদস্তার গয়না

রূপদস্তার গয়না তো আমার অত্যন্ত পছন্দের। আসলে সাজগোজে একটা ট্রাইবাল টাচ আনতে চাইলে রূপদস্তার গয়না একদম পারফেক্ট। শান্তিনিকেতন গেলে রূপদস্তার হেভি নেকপিস, ছোট-বড় কানের দুল আর হাত-পায়ের ট্রাইবাল বালা কিনতে পারেন। সুতি অথবা সিল্ক- যে কোনও ধরনের শাড়ির সঙ্গেই যাবে এই ধরনের গয়না।

ফল-সবজির বীজের গয়না

শান্তিনিকেতনে খোয়াইয়ের হাটে গিয়ে বীজের গয়না না কিনলেই নয়! শিম-বরবটি-তরমুজ-নাগকেশরের বীজ, নাগকেশরের ফল শুকিয়ে গেঁথে গেঁথে বানানো হয় হার-দুল। আর হালকা সাজতে চাইলে এই ধরনের গয়না দারুণ। গরমের দিনে একটা হালকা সুতির শাড়ির সঙ্গে বীজের গয়না পরে আরামসে যে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া যায়।

পমপমের গয়না

কালারফুল লুকের জন্য এই ধরনের গয়না একদম পারফেক্ট। বিশেষ করে, বসন্ত আসছে। এই সময় রংবেরঙের উল দিয়ে তৈরি পমপমের গয়না সুতির শাড়ির সঙ্গে দারুণ যায়।

নাগা ট্রাইবাল জুয়েলারি

সলিড কালারের শাড়ি অথবা কুর্তি যে কোনও কিছুর সঙ্গে ট্রাই করতে পারেন মাল্টিলেয়ারড নাগা ট্রাইবাল জুয়েলারি। রংবেরঙের বিডসের এই নাগা ট্রাইবাল জুয়েলারি হাল ফ্যাশনে বেশ পপুলার।

ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

বিয়ের কনেদের জন্য সুন্দর সুন্দর নুপুরের ডিজাইন

Read More From ফ্যাশন