আমরা মহিলারা বেশিরভাগ সময়েই আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা এড়িয়ে যাই, আবার অনেকসময় নিজেরাই ডাক্তারি ফলাই। কিন্তু কিছু-কিছু বিষয় নিয়ে হেলাফেলা করা একদমই উচিত নয়। যেমন ধরুন, সাদাস্রাবের সমস্যা। সাদাস্রাব বা Vaginal Discharge-এর (যা White Discharge নামেও পরিচিত) সমস্যা বেশিরভাগ মহিলাই পাত্তা দেন না, তবে ফেলে রাখলে কিন্তু ভবিষ্যতে অনেক বড় শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এটি। Vaginal discharge-এর চিকিৎসা কীভাবে হয়, কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত, এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া কোনও টোটকা আছে কিনা, সব জানাব, তবে তার আগে এটা জেনে নেওয়া খুব দরকার যে, এই সাদাস্রাব ব্যাপারটা কী (What is Vaginal Discharge) এবং তা কেন হয়।
Table of Contents
- সাদাস্রাব কী? (What Is Vaginal Discharge?)
- নানা প্রকার স্রাব এবং তাদের অর্থ (Types of Vaginal Discharge)
- কেন হয় সাদাস্রাব? (Causes of Vaginal Discharge)
- সাদাস্রাবের উপসর্গ কি? (Symptoms of White Discharge)
- সাদাস্রাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি কোনও চিকিৎসা রয়েছে? (Treatment of Vaginal Discharge)
- সাদাস্রাব সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নোত্তর (FAQs)
নানা প্রকার স্রাব এবং তাদের অর্থ
সাদাস্রাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি কোনও চিকিৎসা রয়েছে?
সাদাস্রাব সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নোত্তর
সাদাস্রাব কী? (What Is Vaginal Discharge?)
সাদাস্রাব অথবা Vaginal Discharge একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা মহিলাদের যোনিপথ (Vagina) থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত পাতলা এবং সামান্য চিটচিটে হয়। অনেকসময়ে ঋতুস্রাবের আগে অথবা ঋতুস্রাব অনিয়মিত হলে, প্রচণ্ড ধকল গেলে বা মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে, যৌন উত্তেজনা হলে কিংবা শরীরে হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে মহিলাদের যোনিপথ থেকে এই তরল নিঃসৃত হয়ে থাকে। সাধারণত সাদাস্রাব জলের মতো ট্রান্সপারেন্ট হয়ে থাকে। তবে কখনও-কখনও এটি ঘন, অদ্ভুত রঙের এবং দুর্গন্ধযুক্তও হয়। তখন কিন্তু দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
নানা প্রকার স্রাব এবং তাদের অর্থ (Types of Vaginal Discharge)
আগেই যেমন বললাম, সাদাস্রাব অনেকসময় জলীয় বা ট্রান্সপ্যারেন্ট না হয়ে ঘন, অদ্ভুত রঙের এবং দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। এর অর্থ কিন্তু আর কিছুই নয়, আপনার শরীরে কোনও সংক্রমণ (Infection) বাসা বেঁধেছে। জেনে নিন, কোন রঙের স্রাবের কী অর্থ এবং সেই স্রাব হলে কী-কী করণীয়।
আরও পড়ুনঃ Vaginal Yeast Infection নিরাময় করার উপায়
১। ঘন সাদাস্রাব (Thick White Discharge)
ঘন সাদা রঙের স্রাব বা White Discharge এমনিতে স্বাভাবিক ব্যাপার। সাধারণত ঋতুস্রাবের আগে অনেক মহিলারই White Discharge হয়ে থাকে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে যদি অতিরিক্ত সাদাস্রাব হয় এবং তার সঙ্গে যদি জ্বলুনি বা চুলকানি হয় এবং দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব নিঃসৃত হয়, তা হলে বুঝতে হবে যে আপনার ইস্ট ইনফেকশন হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের সাহায্য নিন।
২। হলদে স্রাব (Yellow Vaginal Discharge)
অনেকেই আবার খেয়াল করে দেখবেন যে, স্রাব বা Vaginal Discharge-এর রং সাদা নয়, বরং ঈষৎ হলদে রঙের। এই হলুদ স্রাব কেন হয়? এটি কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria) থেকে কোনও সংক্রমণের লক্ষণ হল হলুদ স্রাব। এ ছাড়া অনেকেই আছেন, যাঁদের একাধিক সেক্সুয়াল পার্টনার রয়েছেন। তাঁদেরও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। কারণ, হলুদ স্রাব সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজেরও (Sexually Transmitted Disease) লক্ষণ। তাই দেরি না করে আগে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা খুলে বলুন এবং যথাযথ চিকিৎসা করান।
৩। খয়েরি স্রাব (Brown Vaginal Discharge)
খেয়াল করে দেখবেন, ঋতুস্রাব হওয়ার আগে এবং শেষ হওয়ার আগে অনেকেরই সাদার বদলে খয়েরি রঙের স্রাব নিঃসৃত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত তাঁদেরই হয়, যাঁদের অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা রয়েছে। আবার মেনোপজের (Menopause) আগ দিয়েও অনেক মধ্যবয়স্ক মহিলার খয়েরি রঙের স্রাব নিঃসৃত হয়। এটি খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খয়েরি স্রাব নিঃসৃত হয়, তা হলে কিন্তু এটি একটি বিপদসঙ্কেত হতে পারে। সারভাইক্যাল ক্যান্সারের (Servical Cancer) অন্যতম লক্ষণ কিন্তু খয়েরি স্রাব! না, ভয় দেখাচ্ছি না, তবে ভাল কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য অতি সত্বর নেওয়া উচিত এক্ষেত্রে।
৪। সবজে স্রাব (Green Vaginal Discharge)
সবুজ রঙের স্রাব বা Vaginal Discharge খুব একটা কমন নয়, তবে অনেকেরই হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (Infection) যদি মহিলাদের যোনিতে হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কিন্তু সবুজ রঙের স্রাব হতে পারে। ট্রিকোমোনাইসিস (Trichomoniasis) এক ধরনের সংক্রমণ যা যৌনসংসর্গ থেকে হয়, এবং এই সমস্যা হলে সঙ্গে-সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, তিনি হয়তো আপনাকে এবং আপনার পার্টনারকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) দিতে পারেন।
কেন হয় সাদাস্রাব? (Causes of Vaginal Discharge)
সাদাস্রাব হওয়ার কারণ কী? অনেক কারণেই সাদাস্রাব হতে পারে। তবে দুঃখের বিষয় হল, বেশিরভাগ মহিলাই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেন না। জেনে নিন, ঠিক কী-কী কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
১। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ (Bacterial Infection)
সাদাস্রাবের প্রথম কারণ হল, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ। মহিলাদের শরীরে নানাভাবে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। পরিষ্কারপরিচ্ছনতার অভাব, পাবলিক টয়েলেটে মূত্রত্যাগ, আনপ্রোটেক্টেড সেক্স, মলদ্বার থেকে হওয়া সংক্রমণ – ইত্যাদি নানা কারণে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে এবং ফলস্বরূপ Vaginal Discharge হতে পারে।
২। গনোরিয়া (Gonorrhea)
সাদাস্রাব হওয়ার কারণ গনোরিয়াও হতে পারে। এটি একটি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ। অনেকসময়ে আপনার পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে এই জীবাণু আপনার শরীরে এসে বাসা বাঁধতে পারে এবং তার ফলে কিন্তু অতিরিক্ত সাদাস্রাবের সমস্যা আসতে পারে। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায়, যাঁদের মধ্যে আনপ্রোটেক্টেড সেক্স করার প্রবণতা আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়।
৩। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিক্রিয়া (Side Effects of Antibiotics)
অনেকেই নানা অসুখের জন্য বিভিন্ন রকম অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বাধ্য হন। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে গেলে তা খুব স্বাভাবিকভাবেই নানা হরমোনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং এর ফলেও Vaginal Discharge হতে পারে।
৪। বার্থ কন্ট্রোল পিল (Birth Control Pill)
অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অনেক মহিলাই নিয়মিত বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি খান। নিয়মিতভাবে এই বড়ি খেলে তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়, সাদাস্রাবও তার মধ্যে একটি। আবার অনেকক্ষেত্রে অ্যাবরশন বা গর্ভপাত করালেও সাদাস্রাবের সমস্যা দেখা যায়।
৫। ইস্ট ইনফেকশন (Yeast Infection)
পরিচ্ছন্নভাবে না থাকলে কিন্তু ইস্ট ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। অনেকেই ঋতুস্রাবের সময়ে অথবা এমনি সময়েও পরিষ্কারভাবে থাকেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে এই সমস্যাটা দেখা যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর-পর স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Napkin) বদলানো অথবা প্যান্টি বদলানো এই সময় একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ ইউরিনারি ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া টোটকা
৬। রাসায়নিক সাবান (Using Too Much Soap)
অনেক মহিলা আবার একটু বেশিই পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করেন এবং যোনিপথ (Vagina) বারবার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেন। এক্ষেত্রেও কিন্তু সাদাস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাবানের মধ্যে অনেক রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা নরম চামড়ার জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু মহিলাদের যৌনাঙ্গ ‘ওপেন অরগ্যান’ অর্থাৎ বাইরের কোনও ক্ষতিকর পদার্থ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে, কাজেই সাবানের ক্ষতিকর রাসায়নিক সাদাস্রাবের কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে।
৭। মেনোপজ (Menopause)
অনেকসময়ে মেনোপজ অর্থাৎ ঋতুস্রাব চিরতরে বন্ধ হওয়ার আগে খয়েরি রঙের স্রাব নিঃসৃত হয়।
৮। একাধিক যৌন সম্পর্ক (Sex with Multiple Partners)
একাধিক যৌন সম্পর্কে যদি কেউ লিপ্ত থাকে তা হলে নানা জনের শরীর থেকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটাটা খুব সাধারণ ব্যাপার এবং সেক্ষেত্রে সাদাস্রাবের সমস্যাও (Vaginal Discharge) দেখা দিতে পারে।
সাদাস্রাবের উপসর্গ কি? (Symptoms of White Discharge)
মোটামুটি সব মহিলারই একটু-আধটু Vaginal Discharge হয়। এতে ভয় পাওয়ার মতো কোনও কারণ নেই, কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যে সমস্যা রয়েছে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত? যদি আপনার নিম্নলিখিত উপসর্গ গুলির মধ্যে একটাও হয়ে থাকে, তা হলে দেরি না করে ডাক্তারের (Treatment) শরণাপন্ন হন।
- যদি ঘন-ঘন জ্বর আসে এবং তাপমাত্রা বেশ উপরের দিকে থাকে
- যদি মাঝেমধ্যেই তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়
- যদি খুব বেশি পরিশ্রম না করেও একটুতেই আপনার ক্লান্তি আসে
- যদি হঠাৎ করে অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ করতে হয়
- যদি হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমে যায়
- দু’বার ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়ে শারীরিক মিলনের সময়ে যদি ব্যথা লাগে এবং যোনিপথ থেকে রক্তপাত হয়
- যদি যোনিপথে সবসময়ে ভেজা-ভেজা অনুভূতি হয় এবং চুলকানি হয়
সাদাস্রাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি কোনও চিকিৎসা রয়েছে? (Treatment of Vaginal Discharge)
নিশ্চয়ই! প্রথমেই বলে রাখা ভাল, অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে ফেলে না রেখে ডাক্তারের সাহায্য সাদাস্রাব এর চিকিৎসা (Treatment of Vaginal Discharge) করে নেওয়াটা অত্যন্ত আবশ্যিক। তিনি পরীক্ষা করে তারপর আপনার চিকিৎসা শুরু করবেন। তবে ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি চাইলে সাদাস্রাব এর ঘরোয়া চিকিৎসাও কাজে লাগাতে পারেন Vaginal Discharge-এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
সাদাস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া টোটকা (Home Remedies for Vaginal Discharge)
কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান (Vaginal Discharge Home Remedies) যা সাদাস্রাবের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে –
১। পেয়ারা পাতা (Guava Leaves)
কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা এক লিটার জলে ফুটিয়ে নিয়ে জল ছেঁকে নিন। জল ফোটানোর সময়ে খেয়াল রাখবেন, জল যেন পরিমাণে অর্ধেক হয়ে যায়। সারাদিনে দু’বার খাওয়ার আগে পেয়ারা পাতা ফোটানো জল মাসখানেক খান। দেখবেন, শুধু সাদাস্রাবের সমস্যা নয়, যে-কোনও সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্যাই দূর হয়ে যাবে।
২। তুলসি পাতা (Basil Leaves)
সাদাস্রাব এর ঘরোয়া চিকিৎসাতে তুলসী পাতা খুব উপকারী। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে দিনে দু’বার খান, দু’সপ্তাহের জন্য। নিজেই উপকার বুঝতে পারবেন।
৩। কলা (Banana)
কলা আপনি পাকাও খেতে আরেন, আবার কাঁচাও! সকালে খালি পেটে এক কাপ দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু আর একটা পাকা কলা মিশিয়ে খান। এটা ততদিন পর্যন্ত খেতে হবে, যতদিন না সাদাস্রাবের সমস্যা দূর হচ্ছে। কাঁচকলা সেদ্ধ ভাতের পাতে খেতে থাকুন। এতেও উপকার পাবেন। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে কাঁচকলা খাবেন না।
সাদাস্রাব সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নোত্তর (FAQs)
১। প্রশ্ন: সাদাস্রাব কি স্বাভাবিক?
উত্তর: Vaginal Discharge বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। কারও হয়তো একটু বেশি হয়, আবার কারও হয়তো কম, আবার কারও হয়তো একেবারেই সাদাস্রাব হয় না। বেশিরভাগ সময়েই ঋতুস্রাবের আগে সাদাস্রাব হয়। আবার অনেকের ওভাল্যুশনের সময়ে, সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সময়ে অথবা যৌন উত্তেজনা হলে সাদাস্রাব হয়।
২। প্রশ্ন: সারভাইক্যাল ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ কী?
উত্তর: অনেকসময়ই খয়েরি রঙের স্রাব হলে ধরে নেওয়া হয় যে, সেটি হয়তো সারভাইক্যাল ক্যান্সারের লক্ষণ। তবে শুধুমাত্র খয়েরি স্রাব কিন্তু এর লক্ষণ নয়। আপনার যদি মাত্রাতিরিক্ত খয়েরি স্রাব নিঃসৃত হয়, যোনিপথে যন্ত্রণা হয়, যৌন মিলনের পরে রক্তপাত হয় এবং স্রাবে দুর্গন্ধ হয়, তা হলে তা সারভাইক্যাল ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ হলেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাহায্য অবশ্যই নিন।
৩। প্রশ্ন: সাদাস্রাবে যদি দুর্গন্ধ হয়, তা হলে কী করা উচিত?
উত্তর: সাদাস্রাবের এমনিই একটা অদ্ভুত গন্ধ রয়েছে। সেটা স্বাভাবিক, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে যদি অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয়, বিশেষ করে যদি কাঁচা মাছের মতো দুর্গন্ধ হয়, তা হলে দেরি না করে সোজা ডাক্তারের কাছে যান।
৪। প্রশ্ন: প্রথমবার পিরিয়ড হওয়ার আগে সাদাস্রাব হওয়াটা কি স্বাভাবিক?
উত্তর: বয়সন্ধির সময় প্রথমবার ঋতুস্রাব হওয়ার আগ দিয়ে বেশিরভাগ মেয়েরই সাদাস্রাব হয়। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে যদি চুলকানি বা দুর্গন্ধ হয়, তা হলে সেক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই ভাল কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।
৫। প্রশ্ন: আমার প্রায় প্রতিদিনই Vaginal Discharge হয়, কী করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাব?
উত্তর: Vaginal Discharge এমনিতে কিন্তু যোনিপথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে যদি প্রতিদিন এই সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে সুতির পোশাক, অন্তর্বাস ইত্যাদি পরুন।নিয়মিত অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান দিয়ে স্নান করুন, প্রস্রাবের পর ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে যোনিপথ পরিষ্কার রাখুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!