বেশ কিছুদিন আগে মা আমাকে খুব সুন্দর দেখতে একটা শাড়ি দিয়েছিলেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে, তা শাড়ি তো রয়েছে কিন্তু ব্লাউজ? অনলাইনে দেখলাম, দারুণ-দারুণ সব ডিজাইনার ব্লাউজের সম্ভার। ব্যস, যেমন দেখা তেমন কাজ, ফট করে কিনে ফেললাম নিজের মাপ অনুযায়ী একটা দারুণ দেখতে ব্লাউজ। কিন্তু সেই ব্লাউজ পরতে গিয়ে হল সমস্যা। কিছুতেই আমার গায়ে আঁটে না সে ব্লাউজ! কী যা-তা ব্যাপার… আসলে আমি একটু গোলগাল ধরনের, কিন্তু ফ্যাশন করতে ভালবাসি। আর curvy বলে fashion করা যাবে না নাকি? কিন্তু একথা অনেকেই মানবেন, যে অন্য মহিলাদের তুলনায় আমাদের ফ্যাশনেবল হওয়ার সমস্যা অনেক বেশি। এখানে সেরকমই ১০টা fashion issues for plus size women তুলে ধরছি আমরা।
১। আমরা যারা একটু গোলগাল (curvy), তাদের কাছে অনলাইনে পোশাক কেনাকাটা করা আর Tinder-এ সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পাওয়া মোটামুটি একইরকম! বুঝলেন না? ধরুন, আপনি অনলাইনে আপনার পছন্দের পোশাকের মাপ দেখলেন ১৪, কিন্তু পোশাকটি যখন আপনার কাছে এল, তখন দেখলেন সেটা এমন টাইট যে, পরতেই পারলেন না! মানে সবই ভুলভাল, ঠিক যেমন Tinder-এ সব ভুলভাল লোকজন!
Office -এ Indian Ethnic পরুন, কিন্তু অন্যভাবে
২। ‘সেল’ ব্যাপারটা আমাদের ঠিক পোষায় না। কারণ, সেলে সবচেয়ে বড় মাপের পোশাক যেটি থাকে, সেটি হল মিডিয়াম! বুঝতেই পারছেন আশা করি, আমাদের দুঃখটা!
৩। যে পোশাকই কিনি না কেন, আগে ট্রায়াল রুমে ঢুকে ট্রাই করতেই হয়! আর ভাগ্যদোষে (কিংবা আমার নিজের দোষেই) পোশাকটি যদি আমার মাপের থেকে ছোট হয়, ব্যস হয়ে গেল! টেনেটুনে যা-ও বা পরে ফেলেছিলাম, কিন্তু খুলতে প্রাণটা যেন বেরিয়ে যায়!
৪। ধরুন, একটি ট্রাউজার পছন্দ হল আপনার, আর কিনেও নিলেন নিজের কোমরের মাপে, কিন্তু এ কী! যে ট্রাউজার কোমরে ঠিক হচ্ছে, পায়ের পাতার কাছে সেটা ঢলঢল করে! আমি না হয় একটু গোলগাল, তা বলে কি সারা জীবন ‘বেল-বটমস’ পরে যেতে হবে নাকি????
এই ৬ টি ব্রা কিন্তু প্রতিটি মহিলার ওয়ার্ড্রোবেই থাকা উচিত
৫। ওঃ, আরও আছে। যে প্যান্ট আমাদের কোমরের মাপে হয়, সেগুলো আমাদের উচ্চতার তুলনায় প্রায় তিনগুণ লম্বা! কুছ পরোয়া নহি! কাঁচি আর সূচ-সুতো তো আছেই, DIY টাইম!
৬। কী বললেন? সুইমসুট? আর আমি পরব? না সে আমি পরতেই পারি, তাতে সমস্যা নেই। তবে কি জানেন তো, যেহেতু আমার চেহারাটা একটু গোলগাল, কাজেই ফ্যাশনেবল সুইমসুট, মানে ওই যাকে বলে বিকিনি বা মনোকিনি, কিছুতেই পরতে পারি না! হয় সেটা এমন টাইট হয়ে আমার থাইয়ের কাছে চেপে বসে যে, চামড়া কেটে যায়, আর না হলে এমন ঢিলে যে বার বার উপরের দিকে উঠে যায়! :/
৭। হ্যাঁ, একবার স্কিন-ফিট ডেনিম কিনেছিলাম শখ করে! সেটা এখন পরতে গেলেই একটা-একটা করে সেলাইয়ের সুতো খুলে যায়! আর ফ্যশন করতে গিয়ে স্কিন-ফিট ডেনিম পরে থাইয়ের ভিতরের দিকে যে র্যাশ বেরিয়েছে, তার কথা না হয় ছেড়েই দিলাম!
৮। কোনও পছন্দের পোশাকের মাপ দেখতে গিয়ে যদি দেখি লেখা রয়েছে ‘ফ্রি-সাইজ’, উফ, কী যে আনন্দ হয়, বলে বোঝাতে পারব না! তখন সত্যিই আবার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে হ্যাঁ, পৃথিবীতে এখনও কিছু ভাল মানুষ আছেন যাঁরা আমাদের মতো গোলগাল মহিলাদের কথা ভাবেন!
শাড়ির (saree) আঁচল (drape) আর কুঁচি (pleats) ঠিক রাখার ৬টা টিপস (tips)
৯। শর্টস? বিশ্বাস করুন, খুব ইচ্ছে হয় শর্টস পরে ফ্যাশন করতে। কিন্তু ওই যে, গোলগাল চেহারায় থাইয়ের সমস্যা! শর্টস পরে কোথাও বেরলে সেটি টেনে-টেনে নামাতেই সময়টা চলে যায়! তার চেয়ে ভাই না পরা ভাল!
১০। ও হ্যাঁ, বলতেই ভুলে গিয়েছি, শার্ট আমি কিছুতেই পরতে পারি না, কেন জানেন? বোতাম লাগালেও ফাঁক-ফাঁক হয়ে থাকে, আর যে শার্টের বোতাম লাগালে পেটের কাছে বা বুকের কাছে ফাঁকা হয়ে থাকে না, সেটা আবার কাঁধ থেকে নেমে যায়! কী করি বলুন তো?
গোলগাল হওয়ার কারণে যখনই ভাবি একটু ফ্যশন করব, এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হই আমি, আপনারা কী- কী সমস্যার মুখোমুখি হন, আমাকে জানাতে পারেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!