এরকম অনেকসময়ে হয় যে আবেগের বশে হয়তো কখনও কখনও প্রোটেকশন না নিয়েই অনেকে শারীরিকভাবে মিলিত হন এবং সেই সময়ে প্রেগন্যান্সির চান্স অনেকটা বেড়ে যায়, এমনকি অনেকেই অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সির মুখোমুখি হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে বার্থ কন্ট্রোল পিল নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। এইসব ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল হয়তো অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি রোধ করে ঠিকই কিন্তু একইসাথে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলে। এর থেকে ভবিষ্যতে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কয়েকটা ঘরোয়া উপায়ে (home remedies) কিন্তু অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি আটকানো যায়। সে ব্যাপারেই আজ আলোচনা করবো।
এই ৫টি ঘরোয়া উপায়ে অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি রোধ করতে পারেন
এখানে কয়েকটা খাবারের কথা বলছি, যেগুলো যদি সময়মতো খেতে পারেন তাহলে অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন –
১। কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে লিভারের জন্য উপকারী হলেও প্রেগন্যান্সিতে কাঁচা পেঁপে কিন্তু খাওয়া উচিত নয়, কারণ তাতে মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত হবার আশঙ্কা থাকে। তবে আপনি যদি প্রোটেকশন না নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে যৌন মিলনের ২-৩ দিনের মধ্যে দিনে দুবার করে কাঁচা পেঁপে খান। না কাঁচা কাঁচা চিবিয়ে খেতে বলছি না, চাটনি করে বা সেদ্ধ করে খান। এতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার চান্স অনেকটা কমে যায়।
২। দারচিনি
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি প্রেগন্যান্সি রোধ করতে চান তাহলে দারচিনিও খেয়ে দেখতে পারেন। আগেকার দিনে যখন ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল ছিল না, তখন প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভপাত করানোর জন্য দারচিনি ব্যাবহার করা হতো। তবে এই টোটকাটি ট্রাই করার আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
৩। ওল
‘ওল খেও না ধরবে গলা’, কিন্তু ওল যে ন্যাচারাল কন্ট্রাসেপটিভের কাজ করে সেটা কি আপনার জানা ছিল? শারীরিক মিলনের পর আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হতে না চান, তাহলে প্রতিদিন দুবেলা অন্তত ৫০ গ্রাম করে ওল খেয়ে যান। এই ঘরোয়া টোটকাটি কাজ করতে প্রায় দেড় থেকে দুমাসের মতো সময় লাগে। কাজেই দুমাস পর্যন্ত কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন ওল খেতেই হবে, আর দুবেলাই খেতে হবে।
৪। ভিটামিন সি
যেকোনো ধরণের ভিটামিন সি কিন্তু প্রেগন্যান্সি রোধ করার জন্য খুবই কার্যকরী। মেয়েদের শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোন নিঃসৃত হলে তবেই তা ইউটেরাসে গিয়ে ইউটেরাসকে প্রেগন্যান্সির জন্য প্রস্তুত করে। কিন্তু ভিটামিন সি এই প্রজেসটেরনের নিঃসরণ বন্ধ করে দেয় ফলে প্রেগন্যান্ট হবার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। প্রোটেকশন ছাড়া যদি আপনারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে শারীরিক মিলনের ২-৩ দিনের মধ্যে দিনে দুবার ১৫০০ মিলিগ্রাম-এর একটা করে ভিটামিন সি ট্যাবলেট খান। তবে যদি আপনার অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু এই টোটকাটি আপনার জন্য নয়।
৫। শিমুল গাছের শেকড়
প্রোটেকশন ছাড়া যদি আপনি আপনার পার্টনারের সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হন এবং কোনোকারণে ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল না খান বা না খেতে চান, তাহলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আপনি শিমুল গাছের শেকড় খেতে পারেন। বাজার থেকে শুকনো শেকড় কিনে আনুন এবং গরম জলে ফুটিয়ে চায়ের মতো দিনে ২ বার পান করুন। আমাদের শরীরে অক্সিটসিন নামে একটি হরমোন থাকে যা প্রেগন্যান্সি রোধ করতে সাহায্য করে, শিমুলের শেকড় এই হরমোন রিলিজ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া আরও কয়েকটা ঘরোয়া টোটকা রয়েছে যেগুলো আপনি খেয়ে দেখতে পারেন যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনি প্রেগন্যান্ট না হয়ে পড়েন –
- আদার রস
- হিং
- পার্সলে পাতা
- নিম পাতা
এই পদ্ধতিগুলি কিন্তু অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি (unwanted pregnancy) রোধ করার জন্য, আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হন এবং মা হতে চান, তাহলে প্রেগন্যান্সি চলাকালীন এই খাবার গুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন