সকাল-সকাল উঠে যা ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়, ‘ওম’ (om) ধ্যান (meditation) করার সময় কোথায়? কি, এরকমই কিছু একটা মনে হচ্ছে তো শিরোনামটা পড়ে? কিন্তু একটা কথা ভেবে দেখুন, আগেকার দিনে মুনি-ঋষিরা এই ওম ধ্বনির ধ্যান করেই কিন্তু সাধনার পথে এগিয়ে যেতেন। ওম (om) এই ধ্বনিটি (sound) যে শুধুমাত্র আমাদের আধ্যাত্ম্যিক বিকাশে সাহায্য করে তা কিন্তু নয়, এই ধ্যানটি আমাদের নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও দূর করতে খুবই সাহায্য (benefits) করে। না, না, অবাক হবেন না, কথাটি ১০০% সত্যি! ‘ওম’ (om) – ধ্বনি (sound) উচ্চারণ করলে বা কানে শুনলে আমাদের শরীরে ও মনে এক ধরনের পজিটিভ এনার্জি বা শক্তি তৈরি হয়, যা আমাদের সারাদিনের ধকল সহ্য করার ক্ষমতা প্রদান করে, একই সঙ্গে শরীরকেও চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: মাংসপেশি সচল করা থেকে শুরু করে বাড়তি মেদ ঝরানো – সব সমস্যার সমাধান স্প্লিট স্ট্রেচ
ও-উ-ম – এই ভাবেই উচ্চারিত হয় ওম ধ্বনি। ‘ও’ অর্থাৎ সৃষ্টি, ‘উ’ অর্থাৎ বিকাশ এবং ‘ম’ অর্থাৎ অখন্ড নিস্তব্ধতা। পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস এই ওম ধ্বনি, অনেকেই এই বিষয়টি মানেন। জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত ওম (om) ধ্বনির (sound) সাহায্যে ধ্যান (meditation) করলে কী-কী শারীরিক ও মানসিক উপকার (benefits) পাওয়া যায়।
নিয়মিত ওম ধ্বনির সাহায্যে ধ্যান করার উপকারিতা
শাটারস্টক
১। নিয়মিত ওম (om) উচ্চারণ করলে গলায় একটি কম্পনের সৃষ্টি হয়, ফলে আমাদের শরীরে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেহেতু আমাদের গলায় থাইরয়েড গ্রন্থি রয়েছে, কাজেই কম্পনের ফলে এই হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
২। সারা দিন আমাদের নানা কাজের ফলে শরীরে এবং মনে চাপের সৃষ্টি হয়, যা খুব স্বাভাবিক। তবে এই চাপ বা ধকলের পরিমাণ বেড়ে গেলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত ওম ধ্বনি (sound) উচ্চারণ করলে আমাদের স্ট্রেস বা ধকল অনেকটা কমে। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীর ও মন দুটোই ডিটক্স হয়।
৩। ওম ধ্বনি উচ্চারণ করার ফলে আমাদের শরীরে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিকভাবে হয় এবং প্রতিটি স্নায়ুতে সমানভাবে রক্তের প্রবাহ বজায় থাকে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই সারাদিনের মধ্যে অন্তত ১০ মিনিট ওম ধ্বনির সাহায্যে ধ্যান করা উচিত বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
৪। আজকাল অনেকের মধ্যেই একটা মানসিক অস্থিরতা বা উদ্বেগ দেখা যায়। তার নানা কারণ হতে পারে। যাঁদের মধ্যে হাইপারটেনশন এবং অ্যাংজাইটি বা মানসিক অস্থিরতার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ওম (om) ধ্বনি (sound) উচ্চারণ (meditation) করে মন শান্ত করতে পারেন।
৫। আপনি কি ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার শিকার? তা হলে নিয়মিত শোওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে মিনিটপাঁচেক ওম ধ্বনি উচ্চারণ করুন। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হবে এবং ঘুমও আসবে। যদি আপনি বসে এই ধ্যান না করতে পারেন, কোনও অসুবিধে নেই, শুয়ে করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর ঘুম আপনার চোখের পাতায় নেমে আসবে।
আরও পড়ুন: যোগ ব্যায়াম নাকি হাঁটাহাঁটি, জেনে নিন সুস্থ ও সতেজ থাকতে কোনটি বেশি উপকারী
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!