বাজারে পাওয়া যায় ক্যাপসুল হিসেবে। যার ভিতরে থাকে ভিটামিন ই অয়েল। সেই তেল নিয়মিত মুখে লাগিয়ে মাসাজ করলেই কেল্লা ফতে! কারণ ত্বকের পরিচর্যায় এই তেলটিকে কাজে লাগালে স্কিন এমন তুলতুলে এবং সুন্দর হয়ে উঠবে যে কারও পক্ষেই তোমার থেকে চোখ সরানো সম্ভব হবে না (benefits of vitamin e oil)। শুধু তাই নয়, মিলবে আর অনেক উপকার (vitamin e oil benefits)। যেমন ধরো…
১. ত্বকের জেল্লা বাড়ে:
ডার্মাটোলজিস্টদের মতে নিয়মিত ভিটামিন ই অয়েলের (vitamin e oil) সাহায্যে ফেস মাসাজ করলে ফেসিয়াল নার্ভ সেল বেশ অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে। ফলে স্কিনের ভিতরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি পায় চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে ত্বক হয়ে ওঠে নরম এবং তুলতুলে।
২. স্ট্রেচ মার্ক যায় মিলিয়ে:
তোমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো স্ট্রেচ মার্কের কারণে মাঝে মধ্যেই অস্বস্তিতে পারো। কিন্তু আর নয়! কারণ হাতের কাছে ভিটামিন ই অয়েল আছে তো। এই তেলটি নিয়মিত স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগিয়ে যদি মাসাজ করা যায়, তাহলে ধীরে ধীরে এমন ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে শুরু করে। কারণ এই তেলটি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র স্কিন টিস্যুর উৎপাদন যায় বেড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না।
৩. ব্রণর দাগ উধাও হয়ে যায়:
সারা মুখ জুড়েই কি রয়েছে ছোপ ছোপ দাগ? তাহলে আজ থেকেই মুখে ভিটামিন ই অয়েল লাগিয়ে মাসাজ করা শুরু করো। এমনটা করলে দেখবে উপকার মিলবে একেবারে হাতে নাতে। কারণ গবেষণা বলছে ব্রণর দাগ সহ যে কোনও ধরনের দাগকে দূর করতে এই তেলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে তেলটি, ত্বকের সংস্পর্শে আসা মাত্র নতুন স্কিন সেলের জন্ম হার বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও ধরনের স্পট এবং স্কার মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না (vitamin e oil for scars)।
৪. ত্বকের বয়স কমে:
শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বক থাকবে ষোড়শীর মতো, এমন স্বপ্ন যারা দেখো, তারা ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই অয়েলকে কাজে লাগাতে ভুলো না যেন! কারণ বেশি কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই তেলটি মুখে লাগিয়ে মাসাজ করলে বলিরেখা কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কিনের ইলাস্টিসিটির উন্নতি ঘটার কারণে ত্বকের বয়স কমে চোখে পড়ার মতো। আর বয়স কমলে ত্বকের সৌন্দর্য যে বৃদ্ধি পায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৫. হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে:
ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য কমতে থাকে, তেমনি নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে ত্বকের পরিচর্যায় ভিটামিন ই অয়েলকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রাতাকে ফিরিয়ে আনতে এই তেলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। সেই সঙ্গে ড্রাই স্কিনের কারণে ত্বকের যা যা ক্ষতি হয়, তার মেরামতি করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বলি, কোনও কারণে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যাক, এমনটা যদি না চাও, তাহলে ত্বকের যত্নে (skin care) ভিটামিন ই অয়েলকে কাজে লাগাতে ভুলো না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন