ADVERTISEMENT
home / Family
ঘরে-বাইরে নানা চাপের কারণে স্বামীর মন-মেজাজ ঠিক নেই? এই টিপসগুলি মেনে তাঁর পাশে দাঁড়ান

ঘরে-বাইরে নানা চাপের কারণে স্বামীর মন-মেজাজ ঠিক নেই? এই টিপসগুলি মেনে তাঁর পাশে দাঁড়ান

আজকাল কোনও না-কোনও কারণে সকলে সব সময়ই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কেউ অফিস নিয়ে স্ট্রেসে, তো কেউ সংসার নিয়ে। কারও-কারও বাবা-মা এত অসুস্থ যে দুশ্চিন্তা সারাক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এদিকে স্ট্রেস মানেই মন-মেজাজের বারোটা বেজে যাওয়া, সবকিছু নিয়ে মেজাজ সপ্তমে উঠতে তো বাধ্য! ফলস্বরূপ ছোটখাটো বিষয় নিয়েই স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে জীবন একেবারে তছনছ হয়ে যায়। এই কারণেই তো স্ট্রেসের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই লড়াই চালাতে হবে, না হলেই যে হার নিশ্চিত। কিন্তু এই লড়াইয়ে যে একা জেতা সম্ভব নয়! তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, পার্টনারের পাশে থাকুন। তাঁর মনের জোর যাতে একটুও না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বর চিৎকার করলে আপনাকেও যে গলা উঁচু করে নিজের মত প্রকাশ করতে হবে, এমন তো কোনও কথা নেই। বরং মাথা ঠান্ডা করে একটু ভাবুন দেখি, কীভাবে এমন পরিস্থিতি থেকে বরকে বের করে আনা যায় এবং নিজেও বেরিয়ে আসা যায়। ভাবছেন, কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করবেন? রইল কিছু টিপস!

এটা একার নয়, দু’জনের লড়াই

Help your partner to cope with stress

Pixabay

আজকাল স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরি করেন। তাই তো সংসারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে অনেকেই পিছপা হন না। আচ্ছা, সংসারের দায়িত্ব যদি দু’জনে মিলে ভাগ করে নিতে পারেন, তা হলে একে অপরের স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি (Stress) ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন না কেন? ‘নিজের দুশ্চিন্তা, নিজেই দূর করতে হবে’, এমন ভাবনার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। বরং সমস্যা যারই হোক না কেন, দু’জনে মিলে সেই সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করুন। পার্টনারের দুশ্চিন্তার কারণ জেনে নিয়ে সেই মতো ছক সাজান। পার্টনারকে রাস্তা দেখান এবং একে অপরের উপর ভরসা রেখে সেই রাস্তায় এগিয়ে যান। দেখবেন, দুশ্চিন্তা দূর হতে সময় লাগবে না। আসলে কী জানেন, মন খারাপের সময় মনের মানুষকে পাশে পেলে এমনিতেই অর্ধেক যুদ্ধ জেতা হয় যায়। বাকিটা দু’জন মিলে সামলাতে কোনও সমস্যাই হবে বলে তো মনে হয় না। তাই এবার থেকে বরকে মন মরা হয়ে বসে থাকতে দেখলে কাজে লেগে পড়তে দেরি করবেন না যেন!

ADVERTISEMENT

আরও পড়ুন: পার্টনারকে নিজের এক্স বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে কি আদৌ বলা উচিত? জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

স্বামীকে উপেক্ষা না করে তাঁর কথা মন দিয়ে শুনুন

Try to listen to your partner for solving issues

Pixabay

অফিস থেকে ফেরার পরে বরেরা সাধারণত অফিস পলিটিক্সের কথা তাঁদের বউকে বলতেই বেশি পছন্দ করেন। সারা দিন অফিসে কী হল, কে কাকে বাঁশ দিল, নিজেই বা ক’টা বাঁশ খেলেন, এমন নানা কথার পসরা সাজিয়ে পতিদেবতাটি যখন আপনার মাথা খারাপ করে দেবেন, তখন কিন্তু ভুলেও তাঁকে উপেক্ষা করে কোনও কাজে হাত দিয়ে ফেলবেন না যেন! এমন পরিস্থিতিতে বিরক্তি প্রকাশ করলে তো আরও বিপদ! এতে করে পার্টনার তাঁর মনের কথা খুলে বলতে সাহস পাবেন না। ফলে মনের কথা মনে থেকে গিয়ে স্ট্রেস আরও বাড়বে। তা হলে কী করণীয়? পার্টনার (partner) হাবিজাবি যা-ই বলুক না কেন, তাঁর কথা মন দিয়ে শুনুন। প্রয়োজনে মতামত দিন। যুক্তি দিয়ে তাঁকে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। আপনি কীভাবে অফিস পলিটিক্স সামলান, তাও খোলসা করে বলুন। এসব শুনে তাঁর মনের জোর বাড়বেই বাড়বে! আর মন চাঙ্গা থাকলে স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই।

ADVERTISEMENT

আরও পড়ুন: নিজস্বতা বজায় রেখেই গড়ে তুলুন সুন্দর সম্পর্ক 

সমস্যা ঠিক কোথায়, তা বোঝার চেষ্টা করুন

try to find out the reson behind stress

Pixabay

চাপ মূলত দু’ধরনের হয়। এক তো হঠাৎ করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা কোনও নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে দুশ্চিন্তার শিকার হওয়া। যাকে বিশেষজ্ঞরা sporadic stress নামে ডেকে থাকেন। আর দ্বিতীয়টি হল, ক্রনিক স্ট্রেস। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে কেউ যদি মানসিক চাপের শিকার হন, তা হলে তাঁকে এই বিভাগে ফেলা হবে। পারিবারিক সমস্যা, বাবা-মায়ের অসুস্থতাসহ নানা কারণে ক্রনিক স্ট্রেসের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় মনের মতো সহকর্মী না পেলে বা পছন্দসই কাজ করার সুযোগ না আসলেও এমন সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে স্ট্রেসের ধরনটা ঠিক কেমন। যদি বোঝেন, আপনার পার্টনার ক্রনিক স্ট্রেসের শিকার, তা হলে সমস্যার গভীরে পৌঁছনোর চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কী কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে, তা একবার বুঝে গেলেই খেলাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। যদি বোঝেন, আপনার বর চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তা হলে তাঁকে মনের মতো চাকরি পেতে সাহায্য করুন। কোনও এক ছুটির দিনে তাঁর প্রোফাইলটা চাকরির ওয়েবসাইটে আপলোডও করে দিতে পারেন। প্রয়োজনে এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে দেরি করবেন না। দেখবেন, একটা না-একটা রাস্তা ঠিক বেরিয়ে যাবে। যদি বুঝতে পারেন, চাকরির পাশাপাশি সাংসারিক কারণেও পার্টনারের চিন্তা বাড়ছে, তা হলে যতটা সঙ্গে তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে কয়েকটা দিন তাঁকে নিজের মতো করে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিন। তাতে মানসিক চাপ একটু হলেও কমবে।

ADVERTISEMENT
https://bangla.popxo.com/article/these-signs-say-you-are-heavily-dependent-on-your-partner-in-bengali

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!

27 Jan 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT