মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, আমাদের সকলের প্রিয় বাপু। দেশের স্বার্থে কোর্ট-প্যান্ট ছেড়ে খাদির ধুতি-চাদর গায়ে সারা দেশ চষে ফেলেছিলেন মানুষটা। লক্ষ্য একটাই। দেশের স্বাধীনতা। তবে হিংসার পথে নয়, গান্ধীজি প্রমাণ করেছিলেন অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের প্রথেও স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব। তিনি প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে স্বাধীনতার যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন, তা একদিন ব্রিটিশ রাজকে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। প্রতিটি মুহূর্তে দেশ এবং দেশবাসীকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় অনশনও করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দেখুন, এমন এক মহান যোদ্ধার জায়গা হয়েছে ফোটো ফ্রেমে আর নোটে। আর তাঁর বলে যাওয়া নানা কথা আজ শুধু ইতিহাস।
মজার বিষয় কী জানেন, আজকের প্রজন্ম তাঁকে ভুলতে বসলেও তাঁর মতাদর্শ এই একুশ শতকেও আমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, নব প্রজন্মের অধিকাংশের মনে জমতে থাকা হতাশা এবং স্ট্রেস দূর করতেও গান্ধীজির বাণীর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষ করে এই জীবনে যদি চুরান্ত সাফল্যের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে যে বাপুর স্মরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই। তাই তো গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে গান্ধীজির বাছাই করা কিছু বানীর উল্লেখ থাকলো এই প্রতিবেদনে। এবার থেকে যখনই মন খারাপ করবে বা হতাশ লাগবে, একবার এই প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলবেন। দেখবেন, হতাশা, স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা সব নিমেষেই গায়েব হয়ে যাবে।
১| সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম যেটুকু অক্সিজেন এবং খাবারের প্রয়োজন, তা পৃথিবী আমাদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু একজন লোভী মানুষ সেটুকুতে সন্তুষ্ট হন না।
২| কিছু মানুষ আপনাকে এতটাই অপছন্দ করেন যে তাঁরা প্রথমে আপনাকে পাত্তাই দেবে না। তারপর আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। তাতেও কাজ না হলে লড়াই করবে। এমনকী, আপনাকে অসম্মান করবে। কিন্তু এত কিছুর পরেই আপনি যদি লক্ষ্যে স্থির থাকেন, তাহলে আপনিই জিতবেন।
৩| যেখানে ভালবাস রয়েছে, সেখানেই তো জীবনের সন্ধান মেলে।
৪| ইচ্ছা থাকলে ভদ্র ভাবেও সারা বিশ্বকে নড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
৫| যাঁরা দুর্বল, তাঁরা কখনও ক্ষমা করতে পারেন না। কিন্তু যাঁরা মানসিক ভাবে দৃঢ়চেতা, তাঁরাই খোলা মনে অন্যকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। তাই দুর্বল নয়, সবল হওয়ার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করুন।
৬| একজন মানুষের চরিত্র এবং জীবন কতটা সুন্দর হবে, তা নির্ভর করে তাঁর মানসিকতার উপরে। তাই কোনও মানুষকে যদি ভিতর থেকে চিনতে চান, তাহলে তাঁর মানসিকতা কেমন, তা জানার চেষ্টা করুন।
৭| আপনার ভাবনার সঙ্গে যদি আপনার কাজ এবং মতামতের সাদৃশ্য থাকে, তাহলে চরম সুখের সন্ধান পাবেনই।
৮| সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে লড়ার শুরু করার আগে, নিজেকে পরিবর্তন করাটা জরুরি।
৯| মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারালে চলবে না। কারণ, মানবতা হল সাগরের মতো। সাগরের জলে ময়লা মিশে গেলে সমগ্র সাগরের জল কি নোংরা হয়ে যায়? তা যেমন হয় না, তেমনই কিছু খারাপ মানুষের জন্য সমগ্র মানবজাতিকে খারাপ ভাবলে ভুল হবে।
১০| আপনি আদৌ শক্তিশালী কিনা, তা কিন্তু দৈহিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে না। বরং আপনি মানসিক ভাবে কতটা শক্তিশালী, তার উপর সবটা নির্ভর করে থাকে। তাই মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন।
আরও পড়ুনঃ এ পি জে আবদুল কালামের সেরা উক্তি
১১| আমরা আজ কী কাজ করছি, তার উপর আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
১২| যদি সঠিক পথ বেছে নেন, তাহলে আশা ছাড়বেন না। কারণ, যতই বাঁধা-বিপত্তি আসুক না কেন একদিন না একদিন ভাল মানুষদের জয় হবেই হবে।
১৩| জীবনকে এমন ভাবে উপভোগ করুন যেন আজই আপনার শেষ দিন।
১৪| নোংরা পায়ে ঘরের ভিতরে আসা যেমন ঠিক নয়, তেমনই নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়াও উচিত নয়।
১৫| আমার অনুমতি ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করতে পারেনি।
১৬| সাহসীরাই মন খুলে ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন। কারণ, একাজ ভীতুদের সাধ্যের বাইরে।
১৭| স্বাধীনতা পেয়ে কী লাভ, যে স্বাধীনতায় ভুল করার স্বাধীনতা নেই।
১৮| নিজেকে যদি খুঁজে পেতে হয়, তাহলে নিঃস্বার্থ ভাবে অপরের জন্য কাজ করে যান।
১৯| আপনি যদি বিশ্বাস করেন, কোনও কাজ আপনি করতে পারবেন, তাহলে জানবেন সেই কাজটা করার ক্ষমতাও আপনার মধ্যে এসে যাবে। হয়তো কাজের শুরুতে সাফল্য নাও পেতে পারেন। কিন্তু সব শেষে সাফল্য আপনার সঙ্গী হবেই হবে।
২০| পাপকে ঘৃণা করুন, পাপীকে নয়।
১| গান্ধীজির মতাদর্শ সে সময়কার অন্যান্য রাজনীতিবিদদের থেকে যোজন খানেক এগিয়ে ছিল। তাই আমাদের উচিত অহিংসাকে সঙ্গী করে ওনার দেখানো পথে এগিয়ে সারা বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা – অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
২| যদি বলেন এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলার মতো সময়, ক্ষমতা বা টাকা আপনার হাতে নেই, তাহলে ভুল বলছেন। কারণ, আপনার হাতে যেটুকু সময় আছে, সেটুকু সময়ই এককালে গান্ধীজি, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, মাদার টেরেসা এবং হেলেন কেলারের হাতে ছিল। তাঁরা অতটুকু সময়কে কাজে লাগিয়েই কিন্তু বিশ্বের ছবিটা বদলে দিয়েছিলেন – শ্য়ানন এত অ্যালডার
৩| গান্ধীজি যেখানেই গিয়েছিলেন, সেখনকার মানুষ এবং সমাজের ছবিটাই বদলে দিয়েছিলেন – বেঞ্জামিন হফ
৪| যদি মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে গান্ধীজিকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ, তাঁর জীবনের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যই ছিল সমাজে সুখ-শান্তি ফিরয়ে আনা – ডাঃ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
৫| ছোট বেলা থেকেই গান্ধীজি আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁকে মন থেকে আমি খুব সম্মান করি। কারণ, তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি সাধারণ মানুষদের ইতিবাচক চিন্তাকে সঙ্গী করে কীভাবে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হয়, তা শিখিয়েছিলেন। নেতিবাচক ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়া তাঁর ধাতে ছিলে না – দালাই লামা
৬| জীবনের প্রতিটি বাঁকে আমি মাহাত্মা গান্ধীর মতাদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করি। কারণ, তিনিই ছিলেন সেই মানুষ, যিনি সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে সাধারণ কিছু মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে কোনও কাজ করলে অসাধারণ কিছু করে ফেলা সম্ভব – বারাক ওবামা
৭| মহাত্মা গান্ধী দেখিয়ে দিয়েছেন অহিংসার পথেও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব – আর্নল্ড জুইগ
৮| মহাত্মা গান্ধী জানতেন তিনি কোনও ভুল কাজ করছেন না। এক সময় দেশবাসীও উপলব্ধি করেছিলেন যে গান্ধীজির পথেই স্বাধীনতা মিলবে। এমনকী, যিনি গান্ধীজিকে হত্যা করেছিলেন, তিনিও জানতেন মহাত্মার মতাদর্শে কোনও ভুল ছিল না। গান্ধীজি বলতেন, শেষ শ্বাস পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়ে যাও। কিন্তু হিংসার সাহায্যে নয়। কিন্তু আজ বিশ্বের সর্বত্র শুধু হিংসার দামামা বাজছে। তাই কখনও সখনও মনে হয় গান্ধীজিকে কি আমরা সত্যিই আপন করে নিতে পেরেছি – পার্ল এস বক
৯| আমরা বিদ্রোহী হতে পারি। কিন্তু একথাও ঠিক যে আমরা সবাই মহাত্মা গান্ধীর শিষ্য। হো চি মিন
১০| আশা করি মহাত্মা গান্ধীর দেখানো অহিংসার পথ ধরেই একদিন সারা বিশ্বে সুখ এবং শান্তি ফিরে আসবে – ইউ ঠ্যান্ট
১১| গান্ধীজির মৃত্যুর পরে আমাদের সবার জীবনেই অন্ধকার নেমে এসেছে। কারণ তিনিই ছিলেন আলোর উৎস – জওহরলাল নেহেরু
১২| মহাত্মা গান্ধী সারা জীবন আমাকে অনুপ্রাণিত করছেন। তাঁর কাজ, তাঁর ভাবনা-চিন্তা এগিয়ে চলার রাস্তা দেখিয়েছে – অং সান সু চি
১৩| গন্ধীজির দেখানো পথেই আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে নব রূপে গড়ে তুলছি – নেলসন ম্যান্ডেলা
১৪| একজন মানুষকে কোন লক্ষ্যে এগিয়ে চলা উচিত, সে পথ দেখিয়েছেন যিশু খ্রিস্ট। আর সেই লক্ষ্য পূরণের নানা উপায় বাতলেছেন মহাত্মা গান্ধী – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
১৫| মহাত্মা গান্ধী বলতেন, ‘অহিংসার পথে এগতে গেলে সাহসের প্রয়োজন পড়ে। ভীতুদের পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়।’ মহাত্মার এই কথাটা সারা জীবন আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এমনকী, জীবনের নানা মানে খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে – রিচার্ড অ্যাটেনবারো
১| ভিড়ের অংশ হওয়া সহজ কাজ। কিন্তু একা দাঁড়ায়ে লড়াই চালাতে হলে সাহসের প্রয়োজন পড়ে।
২| কাউকে সাহায্য করতে মন চাইলে সে কাজ নম্র ভাবে করুন। তা না হলে সমাজ আপনার প্রচেষ্টাকে স্বার্থপরতার নাম দেবে।
৩| আমরা জীবনই আমার বার্তা।
৪| পরিশ্রম করেই সন্তুষ্ট থাকুন। তার ফল কী ফেলেন তা নিয়ে বেশি ভাবতে যাবেন না।
৫| অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন না দেখে, বরং ছোট ছোট সুখের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন, দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
৬| কেউ আসলে ঘৃণার বশবর্তী হয়ে আমাদের ক্ষতি করতে চায় না। কেউ যখন কাউকে ভয় পায়, তখনই তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে পরে।
৭| মানুষ হিসেবে আমাদের সবথেকে বড় দক্ষতা কি জানেন? নিজেকে বদলে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের মধ্যে।
৮| ভালবাসার মধ্যে এমন শক্তি রয়েছে, যা যে কোনও দেওয়ালে ফাটল ধরাতে পারে।
৯| যে কোনও কাজই ভালবেসে করুন। না হলে সেই কাজ করার কোনও প্রয়োজনই নেই।
১০| কাউকে সন্তুষ্ট করতে বা কোনও ঝামেলা এড়াতে কোনও কাজে ‘হ্যাঁ’ বলাটা সবথেকে বড় পাপ। যদি মনে করেন এই কাজটা আপনি করতে পারবেন না, তাহলে বিশ্বাসের সঙ্গে ‘না’ বলতে শিখুন।
১১| ধৈর্য হারালেই কিন্তু যুদ্ধে হেরে যাবেন।
১২| যে সত্যে নম্রতার ছোঁয়া নই, সেই সত্য অহংকারীর ক্যারিকেচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৩| বল প্রয়োগ করে বা ভয় দেখিয়ে নেতা হওয়া যায় না। জননেতা হতে গেলে মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, তাঁদের একজন হয়ে উঠতে হয়।
১৪| তোমরা আমাকে বেঁধে রাখতো পারো। অত্যাচার করতে পারো। আমার শরীরকে পুড়িয়ে দিতে পারো। কিন্তু আমার মতাদর্শকে কোনও দিনই মারতে বা বন্দী করে রাখতে পারবে না।
১৫| রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে রাগের বর্জনই বুদ্ধিমানের কাজ।
১| অল্পতে সন্তুষ্ট থাকলেই সুখের সন্ধান মিলবে। তা না হলে জীবনেও সুখে থাকতে পারবেন না।
২| কোনও কাজ কতটা নিখুঁত ভাবে করছেন, তার উপরই কিন্তু আপনার সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে। তাই কাজের পরিমাণকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং কাজের মানের উপর মনোনিবেশ করা উচিত।
৩| আমরা মন থেকে যা হতে চাই, তাই হই। তাই মন লাগিয়ে কাজ করে যাওয়া উচিত।
৪| সোনা বা রূপো নয়, শরীরই হল মানুষের আসল সম্পদ।
৫| সততা, নম্রতা এবং সাহস, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই এই তিনটি গুণ থাকা চাই।
৬| কোনও মানুষের প্রকৃত চরিত্রের হাদিস পেতে হলে লক্ষ রাখুন সে দুর্বল মানুষদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন।
৭| নীরবতাই হল রাগের বিরুদ্ধে সেরা উত্তর।
৮| কেউ আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে বা সমালোচনা করলে আপনার কিছু করার নেই। কিন্তু সেই খারাপ ব্যবহার বা সমালোচনার জবাব আপনি কীভাবে দিচ্ছেন, তা কিন্তু আপনি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাই ভেবে-চিন্তে জবাব দিন।
৯| কেউ আপনার চোখে ঢিল মারলে, ঘুরিয়ে আপনি কিন্তু ঢিল মারবেন না! কারণ, এমনটা চলতে থাকলে একদিন আমরা সবাই অন্ধ হয়ে যাবো।
১০| পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বাচ্চাদের শিক্ষিত করে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
১| যেদিন ভালবাসা, ক্ষমতার লোভকে হরিয়ে দেবে, সেদিন এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে।
২| হিংসার ছাপ সহজে মিটতে চায় না। তাই অহিংসার পথে এগলেই মানুষের মঙ্গল।
৩| কোনও মানুষের গুরুত্ব আপনার জীবনে কতটা, তা আপনি ততদিন পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারবেন না, যতদিন না সেই মানুষটা আপনার জীবন থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে।
৪| আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়াটাই জীবনের সবথেকে বড় ক্ষতি।
৫| সম্মান, বোধশক্তি, গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রশংসা, এই চারটি ভিতের উপরেই দাঁড়িয়ে যে কোনও সম্পর্কের ভবিষ্যত।
৬| আপনি অন্যকে যতটা ভালবাসা এবং সম্মান দেন, ততটাই নিজেকেও দিন। কারণ, নিজের প্রতি সম্নান-ভালবাসা না থাকলে কোনও দিনই মাথা উুঁচু করে বাঁচতে পারবেন না।
৭| আপনি জানেন এই কাজটা সুন্দর ভাবে করতে পারবেন। কিন্তু তবুও করছেন না। এর থেকে অসৎ কাজ আর কিছু হয় না।
৮| পরিশ্রম না করলে জীবনে কোনও কিছুই মিলবে না।
৯| প্রকৃত ভালবাসার কোনও চাহিদা নেই। সে শুধু দিতে জানে।
১০| হিংসা গড়তে জানে না। সে শুধু ধ্বংস করে।
১| আমি যেমন, ঠিক সেই ভাবে নিজেকে মেলে ধরাটাই আসল স্বাধীনতা।
২| নম্র ভাবে এবং ভালেবেসে সত্যি কথা বলুন। না হলে আপনার কথা কেউই শুনবে না।
৩| রাষ্ট্র নিজের দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন না করলে শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাধ গড়ে তোলাটাই একজন নাগরিকের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য।
৪| প্রতিশোধ বিষের সমান, যা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। তাই ভালবাসাকে আগলে রাখা উচিত। কারণ ভালবাসাই হল সেই শক্তি, যা ঘৃণাকে শেষ করে দেয়।
৫| জীবন না দিলে যেমন স্বাধীনতার স্বাদ মেলে না, তেমনই স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখতেও প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে।
৬| সাধারণ মানুষদের হাতে যদি নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার অধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তকমা দিলে ভুল কাজ হবে।
৭| আমাদের মনে যে শয়তানে বাস, তাঁকে মেরে ফেলাটাই আমাদের মূল যুদ্ধ হওয়া উচিত।
৮| প্রকৃত গণতন্ত্রে একজন সবল ব্যক্তির যে অধিকার, সেই একই অধিকার একজন দুর্বলেরও থাকা উচিত।
৯| স্বাধীনতা এবং দাসত্ব, দুইই হল মানুষের মেন্টাল স্টেট।
১০| বিরোধী শক্তির মতামত শোনার মতো ধৈর্য যদি আমাদের না থাকে, তাহলে নিজেদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ভাবাটা ভুল হবে। কারণ, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!