রোজ শ্যাম্পু করার সময় অথবা চুল আঁচড়াতে গেলেই গোছা গোছা চুল (Hair) উঠছে। এ বার চিন্তার বিষয় হল, চুল (Hair) উঠতে উঠতে তো টাক পড়ে যাবে! সেটা বড়ই ভাবনার বিষয়। ব্যস্ত লাইফস্টাইল থেকে সময় বার করাটাও মুশকিল। তা সত্ত্বেও না হয় নিজের জন্য সময় বার করলেন। কিন্তু তার পরেও যদি চুল ঝরতে থাকে, তা হলে তো কিছু বলারই থাকে না। তাই নতুন চুল গজানোর জন্য ঘরোয়া কিছু টোটকা (Home remedies) ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর ঘরোয়া টোটকার কোনও রকম সাইড এফেক্টস নেই। আর এর প্রভাবও দীর্ঘস্থায়ী। দেখে নিন, নতুন চুল গজানোর জন্য কী কী ঘরোয়া টোটকা (Home remedies) ফলো করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে আমলা, রিঠা ও শিকাকাই এর যাদু স্পর্শ
পিঁয়াজের রস নতুন চুল গজানোর (Regrow hair) জন্য দারুণ। কারণ এর মধ্যে রয়েছে সালফার যা টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন তৈরি করার প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। আর নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তবে পিঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ নিয়ে ভাববেন না। এক বার ধোওয়ার পরেই সেটা চলে যাবে।
পিঁয়াজটাকে স্লাইস করে নিয়ে কয়েকটা স্লাইস নিয়ে নিন। এ বার স্লাইসগুলো নিংড়ে রসটা বার করে নিন। এর পর সেই রসটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। তার পর একটা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
নতুন চুল গজানোর একটা দারুণ ঘরোয়া টোটকা (Home remedies) হল-নারকেল দুধ। কারণ এটি পটাশিয়াম, আয়রন আর এসেন্সিয়াল ফ্যাটস সমৃদ্ধ।
একটা টাটকা নারকেল থেকে দুধটা বার করে নিন। মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রে কিন্তু বাজারে পাওয়া যাওয়া নারকেলের দুধ কিনলে চলবে না। এ বার নারকেলের দুধের মধ্যে লেবুর রস আর ৪ ফোঁটা এসেন্সিয়াল ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন। এর পর মিশ্রণটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ৪-৫ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখার পরে সেটা ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার আপনার স্ক্যাল্পকে খুবই সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে। আর চুলের ph ব্যালান্স বজায় রেখে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে (Regrow hair) । আর চুলের বৃদ্ধির (Hair growth) হারও বাড়িয়ে চুলকে (Hair) ঝলমলে করে তোলে।
এক লিটার জলে ৭৫ মিলিলিটার মতো অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। চুল (Hair) শ্যাম্পু করে ধুয়ে নেবেন। শেষে এই অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে ধুয়ে নিলে আরও ভাল ফল পেয়ে যাবেন।
ডিম তো চুলের (Hair) জন্য দারুণ, সেটা আমরা সকলেই জানি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে সালফার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফসফরাস।
ডিমের এই মাস্কটা বানানোর জন্য প্রথমে একটা বড় কাচের বাটিতে ডিমের সাদা অংশটা আলাদা করে নিতে হবে। তার মধ্যে ১ চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে গ্রেপ সিড অয়েল অথবা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এ বার এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ঠান্ডা জলে চুলটা (Hair) ধুয়ে ফেলুন।
এই হার্ব চুলের বৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড। যা চুলের বৃদ্ধির (Hair growth) গতি বাড়িয়ে দেয়।
এক টেবিল চামচ মেথি আর জল নিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তার পর ওই পেস্টের মধ্যে নারকেল তেল অথবা নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। তার পর এই মিশ্রণটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিতে হবে। আধ ঘণ্টা মতো রেখে একটা মাইল্ড শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এটা শুধু নতুন চুল গজাতেই সাহায্য করবে না, আপনার চুলের ন্যাচারাল কালারও ধরে রাখবে।
ওজন কমানোর জন্য তো গ্রিন খাচ্ছেন নিয়ম করে। তো চা বানানোর পরে টি-ব্যাগগুলো নিশ্চয়ই ফেলে দেন! সে ক্ষেত্রে না ফেলেই চুলের যত্নে কাজে লাগান। কারণ গ্রিন টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসে ভরপুর আর চুলের বৃদ্ধির (Hair growth) জন্য দারুণ। পাশাপাশি হেয়ার ফলও বন্ধ হয়ে যায়।
ওই ব্যবহার করা গ্রিন টি ব্যাগ থেকে গরম গ্রিন টি বার করে নিন। এ বার স্ক্যাল্পে লাগান। এক ঘণ্টার জন্য এ ভাবে রেখে দিন। এর পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি হল নিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চুলের বৃদ্ধির (Hair growth) হারকে বাড়িয়ে দেয়।
২ চা-চামচ আমলকি পাউডার অথবা আমলকির রসের সঙ্গে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ইষদুষ্ণ গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম, পেক্সেলস, পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
রাত্রে ঘুমনোর আগে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালে ত্বকের প্রকারভেদ অনুযায়ী যত্ন নেওয়ার উপায়