ভূত আছে না নেই, এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এক দল বলেন ভূত নেই, এগুলো আসলে মানুষের কল্পনা মাত্র। আবার এক দলের ভূতের নাম শুনলেই দাঁতকপাটি লেগে যায়! আর এর মাঝামাঝি আছেন অন্য এক দল মানুষ। ভূত আদৌ আছে না নেই, সেই নিয়ে কোনও তর্কে আমরা যাব না। সরাসরি ভূত (spine chilling paranormal and ghost experiences) না দেখলেও, ভৌতিক অনুভূতি হতেই পারে। আবার অলৌকিক কিছু ঘটনাও ঘটতে পারে, যার ব্যাখ্যা সহজ নয়।
আচ্ছা, ভূত কেন রাতেই আসে বলতে পারেন? (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করেন, “আচ্ছা আপনি ভূত দেখেছেন?” তাহলে একশ শতাংশ মানুষই বলবেন যে না তাঁরা নিজের চোখে দেখেননি বটে, কিন্তু অমুকের কাছে শুনেছেন যে পুরনো কবরখানার পিছন দিকে নাকি সন্ধে হলে কিসব হয়। আবার কেউ বলবেন তার রাঙ্গা দিদার দেওরের ছেলের বন্ধুর মেসোমশায় নাকি অমুক সালের তমুক জায়গায় ভূত (spine chilling paranormal and ghost experiences) দেখে ছিলেন, যখন রাতের বেলায় তিনি দেড়মোনী ইলিশ নিয়ে আসছিলেন! আসলে যা দেখা যায় না, তার প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেশি। এটাইতবে, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল-এর টিম (নিজস্ব চিত্র)
পাশ্চাত্য দেশগুলির অনেক জায়গাতেই কিন্তু রীতিমত ভূত নিয়ে পড়াশোনা করা হয়। ওঁরা অবশ্য বলেন ‘প্যারানর্মাল স্টাডিজ’ বা রিসার্চ। অবশ্য আমাদের দেশেও কিন্তু বিদেশের দেখাদেখি প্যারানর্মাল সোসাইটি তৈরি হয়েছে, যেখানে অতিপ্রাকৃত বিষয়ে নানারকম গবেষণা করেন। সেরকমই একজনের সঙ্গে কথা বলেছিল POPxo বাংলার টিম।
ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল – এই সংস্থার সদস্য দেবরাজ সান্যালের সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম, ভূত ও অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে। ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল মূলত কাজ করেন সমাজে ভৌতিক অথবা আধি-ভৌতিক বিষয় সম্পর্কে মানুষের মনে যে কুসংস্কার রয়েচে, তা দূর করা নিয়ে। ‘ভূত আছে কি নেই’ – এই প্রশ্নের উত্তরে দেবরাজ বেশ ইন্টেরেস্টিং এক থিওরি দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর সংস্থার বাকি সদস্যরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন আত্মার অস্তিত্বে (spine chilling paranormal and ghost experiences), কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোনও প্রমান ছাড়াই তাঁরা আত্মার অস্তিত্বে মোহর লাগিয়ে দেন।
ম্যাগনেটিক ফিল্ড কেমন তা মাপার যন্ত্র (নিজস্ব চিত্র)
দেবরাজের কথায়, “অনেক সময়েই আমাদের ডাক পড়ে এমন কোনও জায়গা থেকে যেখানে অন্যরকম কিছু কার্যকলাপ চলছে। আমরা সেখানে গিয়ে আগে আমাদের যন্ত্রপাতির সাহায্যে দেখি আদতে ব্যাপারটা কতটা সত্যি।” যন্ত্রপাতি বলতে আবার ভাববেন না যে ওঝাদের মত ঝাঁটা বা জলের কলসি নিয়ে তাঁরা ভূতের অস্তিত্ব খোঁজেন। কোনও জায়গার (যেখানে ভূত থাকলেও থাকতে পারে বলে কেউ কেউ দাবী করেন) তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে বা কমে যাচ্ছে কিনা, ম্যাগনেটিক ফিল্ড ঠিক আছে কিনা – এসব জানার জন্য নানারকম প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত গ্যাজেট পাওয়া যায়, এবং ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল সেগুলোই ব্যবহার করেন।
আমরা দেবরাজকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তিনি কোনও অতিপ্রাকৃত ঘটনার (spine chilling paranormal and ghost experiences) সাক্ষী কি না, তার উত্তরে দেবরাজ জানান, তার জীবনেও এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার কোনও বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যা তিনি বা টিমের অন্য কেউ পায়নি। একবার এক জায়গায় একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করতে গিয়ে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। মোট কথা, আত্মা রয়েছে, তবে সব ‘অন্যরকম’ ঘটনার জন্য তাদের দায়ী করা ঠিক না।
ঘটনা আদৌ অতিপ্রাকৃত কিনা তা জানার হাইটেক গ্যাজেট (নিজস্ব চিত্র)
প্রতিবেদনের শুরুতেই বলেছি, ভূত নিয়ে মানুষের এক অদ্ভুত ফ্যাসিনেশন ও ফ্যান্টাসি রয়েছে। কোলকাতায় তাই শুরুও হয়েছে ঘোস্ট ওয়াকিং টুর। এমন অনেক টুর অপারেটর রয়েছেন যারা ‘কলোনিয়াল ঘোস্ট ওয়াকিং টুর’-এর ব্যবস্থা করেন। কোলকাতার নানা ‘হন্টেড’ (spine chilling paranormal and ghost experiences) জায়গায় এঁরা আপনাকে নিয়ে যাবেন, সেখানকার ভূতেদের গল্প শোনাবেন এবং ভাগ্যে থাকলে দু-এক পিস ভূতের সঙ্গে আপনার মোলাকাতও হয়ে যেতে পারে। যাবেন নাকি?
মূল ছবি সৌজন্য – ইউটিউব ও হইচই
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!