আচ্ছা, শরীরের টক্সিন দূর করতে তো আপনি প্রতিদিন ডিটক্স (detox) ওয়াটার পান করেন আবার নানা ডিটক্স খাবারও খান! তাতে ত্বকও বেশ ভাল থাকে, কিন্তু এই হেয়ার (hair) ডিটক্স (detox) ব্যাপারটা কি বলুন তো! কী ভাবছেন, খায় না মাথায় দেয়? আজ্ঞে, এই ব্যাপারটা কিন্তু মাথায়-ই দেয়, মানে চুলে দেয় আর কী! আসলে রোদে, জলে, দূষণে এবং চুলের নানা স্টাইলিংয়ের পর মাথার চুল যখন মোটামুটি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে, তখন হেয়ার ডিটক্স করাটা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। না, কাঁড়ি কাঁড়ি পয়সা খরচ করে আপনাকে পার্লারে যেতে হবে না, কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা নিয়মিত ব্যবহার করলেই চুল থাকবে সুন্দর, সুস্থ ও সমস্যামুক্ত।
১। হানি ডিটক্স তেল
চুলের আর্দ্রতা বজায় না থাকলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় ও অকালেই চুল ঝরতে শুরু করে। শুধু তাই না, নতুন চুল গজায়ও না। চুলে নিয়মিত তেল লাগান বা না লাগান, শ্যাম্পু করার পরেই কেমন একটা রুক্ষ ও ফ্রিজি হয়ে যায় চুল। মধু সেখানে একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে, সঙ্গে চুল থেকে দূষণ বা টক্সিনও দূর করে। নরম এবং ভলিউম চুল পেতে ট্রাই করতে পারেন এই হানি ডিটক্স শ্যাম্পু।
কী কী প্রয়োজন: এক টেবিল চামচ মধু, তিন টেবিল চামচ ফিল্টার করা জল, কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (টি-ট্রি হলে ভাল, না হলে আপনার পছন্দের যে-কোনওটি চলতে পারে)
কীভাবে ব্যবহার করবেন: খুব ভাল করে মধু ও জল মেশান যেন মধু আলাদা না হয়। এবারে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ভাল করে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। আধঘণ্টা মতো মাসাজ করে ঊষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন। আপনার যদি শুষ্ক চুলের সমস্যা থাকে তাহলে ঊষ্ণ জল ব্যবহার না করে ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: যখনই মনে হবে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে, তখন এই ডিটক্স তেলটি ব্যবহার করুন।
২। শসা ও লেবুর মাস্ক
তেলতেলে এবং খুশকিযুক্ত মাথার তালুর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ডিটক্স মাস্কটি খুবই কার্যকরী। লেবু মাথার তালুর তেলতেলেভাব ও খুশকি দূর করে এবং শসা স্ক্যাল্প সুদ করতে সাহায্য করে।
কী কী প্রয়োজন: একটি বড় সাইজের লেবু ও একটি মাঝারি সাইজের শসা
কীভাবে ব্যবহার করবেন: শসার খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবারে শসা ও লেবু একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণ মিনিটদশেক মাথায় লাগিয়ে ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করে নিন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: এই ডিটক্স মাস্কটি আপনি দু’ সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
৩। সি-সল্ট ক্লেনজার
আমাদের অনেকেরই মাথার তালুতে মরা কোষ থেকে যায়। এমনি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলেও ওই মরা কোষ দূর করা সব সময়ে সম্ভব হয় না এবং প্রতিদিনের ধুলো-ময়লা, ঘাম এবং অন্যান্য নানা প্রোডাক্ট আমাদের স্ক্যাল্পে জমতেই থাকে। ফলস্বরূপ, স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা যেমন, চুলকানি, ইনফেকশন, খুশকি, চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়া – এগুলো হতেই থাকে। সেজন্যই স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখাটা খুব জরুরি। সি-সল্ট দিয়ে তৈরি এই ডিটক্স ক্লেনজার মাথার তালুর উপরিভাগ থেকে মরাকোষ দূর করে এবং চুলেও (hair) পুষ্টি জোগায়।
কী-কী প্রয়োজন: এক ভাগ শ্যাম্পু (সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন), দু’ভাগ সি-সল্ট
কীভাবে ব্যবহার করবেন: শ্যাম্পু ও সি-সল্ট মিশিয়ে নিন। ভাল করে চুল ভিজিয়ে সি-সল্টযুক্ত শ্যাম্পু মাথায় লাগিয়ে নিন এবং ফেনা করুন। ঠিক যেভাবে নিয়মিত শ্যাম্পু করেন সেভাবেই এই ডিটক্স ক্লেনজার দিয়ে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করুন। হয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: মাসে অন্তত একবার এই ডিটক্স (detox) ক্লেনজার ব্যবহার করবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!