বড় কষ্টে আছি জানেন। এক সময় লোকের চোখে কত কদর ছিল আমার। এখন তো কথায়-কথায় সকলেই লাথি-জুতো মারে। বড় দুঃখ দেয়। দেখুন কাণ্ড, নিজের পরিচয়টা না দিয়েই দুঃখের পশরা সাজিয়ে বসলাম। এই অভাগার নাম ‘ভালবাসা’। হ্যাঁ, সেই ভালবাসা, যাকে নিয়ে লোকের এত আদিখ্যেতা! তবু দেখুন কেমন তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক সম্পর্ক। আচ্ছা বলতে পারেন আমার এমন হতদরিদ্র অবস্থা কেন?
Table of Contents
এমন পরিস্থিতির পিছনে দায়ী কিছু ভুল সিদ্ধান্ত বা মানসিকতা (Common Relationship Mistakes In Bengali), যে ভুলের কারণে অচিরেই চিড় ধরছে সম্পর্কে। তাই ভালবাসাকে আগলে রাখতে চাইলে একটু সাবধান হতে হবে। সম্পর্ককে যদি ফিনিশিং লাইন পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়, তা হলে এড়িয়ে চলতে এসব ভুলের ফাঁদ! তা হলেই দেখবেন বদলে যাবে ছবিটা!
বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত দূর্বল হয় এসব কারণে
সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তুলতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি
প্রেমের সম্পর্ক ভাঙে এই সব ভুলে (Relationship Mistakes To Avoid):
কাউকে ভালবাসা সহজ কাজ নয়। কোনও একজন আই লাভ ইউ বলল, আর আপনি হ্যাঁ বলে দিলেন, তাতেই কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং এখান থেকেই শুরু হয় আসল খেলা! প্রেম যত্ন চায়। তাই সম্পর্কের খুঁটিনাটি দিকগুলির দিকে নজর রাখুন। দেখবেন, মুগ্ধতার ম্যাজিক তৈরি হতে সময় সাগবে না। কিন্তু সমস্যা হল, আজ কারও হাতেই সময় নেয়। সকলেই ছুটছেন জেট গতিতে। তাই তো হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু কোথায় হচ্ছে ভুলটা, তা জানেন কি?
১| বেশি সন্দেহ করলেই বিপদ (Never Doubt Your Partner)
যতই চোখে-চোখে রাখুন না কেন, কেউ যদি সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে চায়, তা হলে সে যাবেই। তাই দিনরাত প্রেমিককে নজরবন্দি করে রাখার অভ্যাস ছাড়ুন! তাতে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসবে। তা ছাড়া কথায়-কথায় সন্দেহ করলে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হবে। আর এমন পরিবেশে ভালবাসার পক্ষে শ্বাস নেওয়া কিন্তু কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তখন কি বাঁচবে সম্পর্ক? তাই সত্যি যদি ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান, তা হলে সন্দেহ নয়, বরং মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসুন। মাঝে-মাঝেই বয়ফ্রেন্ডকে সারপ্রাইজ দিন। দু’জনে মিলে ডেটে যান। মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন, সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে। আর প্রেমের ক্যানভাস ভরে উঠবে ভালবাসার রঙে।
২| সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের নিয়ে ঢাক পেটাবেন না (Keep Your Relationship Private)
কথায়-কথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আর বয়ফ্রেন্ডের ছবি আপলোড করেন নাকি? আর করবেন না! কখন, কোথায় যাচ্ছেন সেই চেক ইন করাও বন্ধ করুন। না হলে নানা মুনির নানা কথা শুনে কিন্তু প্রেম একদিন কেঁচিয়ে যাবেই। ভাবুন একবার, আপনি প্রেমে গদগদ হয়ে একটা ছবি পোস্ট করে বসলেন। আর সেই ছবি দেখে কোনও এক অমুকের, কোনও এক মাসিমা মুখ ফসকে কিছু একটা বেচাল বলে ফেলল। তখন সেই তেতো কথা হজম করতে পারবেন তো? না পারলেই খেপে গিয়ে চোটপাট করবেন প্রেমিকের উপর। সেও রাগের মাথায় কিছু একটা বলে ফেললেই ঝগড়া-অশান্তি। তাই যতটা সম্ভব লুকিয়ে রাখুন প্রেমকে। বাঁচিয়ে রাখুন লোকের খারাপ নজর থেকে। দেখবেন, প্রেমের চারাগাছটি একদিন বেড়ে উঠবেই!
আরও পড়ুন: সম্পর্ক শুরুর আগে নিজেকে এই প্রশ্নগুলি করা মাস্ট!
৩| মিথ্যে কথা একদম নয় (Never Lie To Your Partner)
দু-চারটে ছোটখাটো মিথ্যে কথা আমরা সকলেই বলি। তাতে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু যে মিথ্যা দুঃখ দেয়, তা কিন্তু ভয়ঙ্কর। কারণ, বড়সড় কোনও মিথ্যে বললে একদিন না-একদিন তা ধরা পড়বেই। আর একবার ফাঁসলে দ্বিতীয়বার কি বয়ফ্রেন্ড আর বিশ্বাস করবে আপনাকে? মনে তো হয় না। আর বিশ্বাসই যদি না থাকে, তা হলে প্রেমের সম্পর্ক টিকবে কীভাবে?
৪| মনে দুঃখ দিয়ে কথা বলবেন না প্লিজ (Don’t Be So Rude)
গালমন্দ খেতে কারও ভাল লাগে না। তাই কথায়-কথায় চিল চিৎকার জুড়ে দিলে কিন্তু প্রেমিকবাবাজি ছুট লাগাবে। তাই একটু ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। যা বলার, তা বুঝিয়ে বলুন। চিৎকার করলেই যে কথাটা কানে ঢুকবে, এমন তো নয়! তা ছাড়া কী জানেন, খারাপ ব্যবহার খুব কষ্ট দেয়। আর কেউ কষ্ট পেতে তো আর আপনাকে ভালবাসেননি। তাই কোনও কারণে মাথা গরম হলে কিছুক্ষণ একা থাকুন। একটু সামলে নেওয়ার পর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলুন। তাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
৫| প্রেমের গভীরতা না মেপে শারীরিক মিলন নয় (Think Before Getting In a Physical Relationship)
না ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলে কিন্তু পরবর্তী কালে কিন্তু আফশোস করতে হতে পারে। তাই হুট করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। শারীরিক মিলন তো নয়ই। কারণ, এমন ভুলের বোঝা বয়ে নিয়ে বেরনো সহজ কাজ নয়। তাই যে যাই বলুক না কেন, তাঁকে স্পষ্ট বলে দিনে শারীরিক মিলনের জন্য আপনি এখনও প্রস্তুত নন। আর যদি বয়ফ্রেন্ড খুব জোরাজুরি করে, তা হলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। আর একটা কথা, আপনিও কিন্তু এই সব নিয়ে বেশি কথা বলতে যাবেন না। কারণ, বিষয়টা খুব স্পর্শকাতর। তাই সামলে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন: ব্রেকআপের পর নতুন সম্পর্কের (new relationship) হাতছানি! কী কী মাথায় রাখবেন
বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত দূর্বল হয় এসব কারণে (Signs of Marriage Breakdown):
১| জোর করে বদলাতে যাবেন না (Stop Trying To Change Your Partner)
কাউকে ভেঙে নিজের মতো করে গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়। আর এমনটা করা উচিতও নয়। তাতে অকারণ ভুল বোঝাভুঝি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই মানুষটা যেমনই হোক না কেন, তাঁকে মনপ্রাণ দিয়ে ভলবাসুন। সে যেমন, তেমনভাবেই ভালবাসুন। দেখবেন, আপনার এই চেষ্টা দেখে আপনার স্বামীর মধ্যেও পরিবর্তন আসবে।তিনিও চাইবেন তাঁর চরিত্রের খারাপ দিকগুলিকে শুধরে নিতে। এভাবে হাতে হাত মিলিয়ে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গেলেই তো পূর্ণতা পাবে আপনাদের ভালবাসা।
২| পার্টনারের ভুলগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেবেন না (Ignore Your Partner Mistakes)
ভুলেও কিন্তু এই ভুল কাজটা করবেন না! কারণ, সমালোচনা শুনতে কারও ভাল লাগে না। আর আপনি যদি সেই কাজটাই করে যান, তা হলে তিক্ততা বাড়বে। প্রথম-প্রথম আপনার পার্টনার হয়তো মুখে কিছু বলবেন না। কিন্তু এক সময় গিয়ে বোমা যে ফাটবেই। তখন সমলানো কিন্তু কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই দুঃখ দিয়ে কথা নয়। বরং প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর পাশে দাঁড়ান। উৎসাহ দিন। দেখবেন, ভুলের সংখ্যা কমে যাবে একদিন। বাড়বে ভালবাসা। মজবুত হবে সম্পর্কের বুনিয়াদ।
৩| নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না (Don’t Lose Hope)
খেয়াল করে দেখবেন, সাধারণত যে-যে দুশ্চিন্তা আমাদের মাথায় আসে, তার ৮০ শতাংশই কিন্তু বাস্তবে ঘটে না। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের সঙ্গে এমন একটা খেলা খেলে যে, আমরা সেই দুশ্চিন্তার ফাঁদে ঠিক পড়ে যাই। তাই যে-কোনও ঘটনাই ঘটুক না কেন, ভুলেও এমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না যে, আপনি আপনার পার্টনারকে বিয়ে করে ভুল করে ফেলেছেন! কারণ, এমনটা ভাবলে কোনও না-কোনও কথায় তা প্রকাশ পেয়ে যাবেই। তাতে আপনাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়বে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে ঝগড়াও। আর এভাবেই তো সম্পর্ক ভেঙে যায়, তাই না? তাই নিজের উপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। তা ছাড়া যখন কোনও সম্পর্ক শুরু করেছেন, তখন মাঝপথে থেমে গেলে চলবে না। বরং শেষ পর্যন্ত যেতে হবে। তাই চেষ্টা থামালে চলবে না।
৪| মনের কথা খুলে না বললেই বিপদ (Express Your Feelings)
আপনি মুখে কিছু বললেন না, এদিকে এই ভেবে অভিমান করে বসে থাকলেন যে, আপনার মনের মানুষ আপনার মনের কাথা বুঝলে না! আচ্ছা এ কেমন কথা বলুন! না বললে সে বুঝবে কীভাবে? মনের কথা পড়ে ফেলার বিদ্যা না আপনার জানা আছে, না ওর। তাই এমন প্রত্যাশা করা যে বোকামি, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে? আর এমন অবিমানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক কোনটা জানেন? অনেকেই এমন মনের মধ্যে এমন অভিমান চেপে রাখেন। আর সেই অভিমান জমতে-জমতে একদিন পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়, যে পাহাড় ডিঙানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ান। তাই ছাড়ুন এসব অভিমান। মন খুলে কথা বলুন। যত মনের কথা বাইরে আসবে, ততই তো কাছাকাছি আসবেন আপনারা। আর যত ভাল করে চিনতে পারবেন একে অপরকে, ততই তো ভালবাসা খুঁজে পাবে তার গভীরতা।
আরও পড়ুন: নিজস্বতা বজায় রেখেই গড়ে তুলুন সুন্দর সম্পর্ক
৫| ছোট-ছোট বিষয়ে রাগ করা উচিত নয় (Stop Reacting To Small Things)
রাগ মেয়েদের অলঙ্কার! তাই তা সামলেসুমলে খরচ করা উচিত! তা ছাড়া সামান্য-সামান্য বিষয়ে রাগারাগি করলে দুঃখ বাড়বে। বাড়বে অভিমানও। আর এমন অস্বস্তিকর পরিবেশে বাঁচবে কীভাবে ভালবাসা? তাই প্রয়োজনে রাগ করুন, অকারণে নয়। বরং কোনও কিছু নিয়ে মনে খটকা লাগলে তা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি না করে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। নিজের মতামতটা রাখুন তাঁর সামনে। পার্টনারের কথাও মন দিয়ে শুনুন। প্রয়োজনে রাগ কমাতে প্রাণায়াম করুন। মন্ত্রপাঠও করতে পারেন। তাতে মন শান্ত থাকবে। তাই তো রাগের আঁচে সম্পর্ক জ্বলে যাওয়ার ভয় আর থাকবে না।
৬| ভাববেন না যে আপনাকে খুশি রাখাই তাঁর একমাত্র কাজ (Stop Expect Your Partner To Make You Happy Everytime)
একথা ঠিক যে আপনার ভাল-মন্দের খোঁজ রাখাটা তাঁর প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। কিন্তু একমাত্র কর্তব্য নয়! আপনার পাশাপাশি আরও অনেককে ভাল রাখার গুরুদায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য রেখে নিজের কর্তব্য পূরণ করে যাওয়াটা যেমন আপনার দায়িত্ব, তেমনই তাঁরও। সুতরাং, অকারণ প্রত্যাশা বাড়াবেন না। মনের ইচ্ছেকে লাগাম পরিয়ে রাখাও কিন্তু একটা আর্ট। আর তাতে আপনাকে পারদর্শী হয়ে উঠতেই হবে। না হলে প্রত্যাশার চাপে দম বন্ধ হয়ে মারা পড়বে আপনাদের ভালবাসা!
৭| শ্বশুরবাড়ির খারাপ দিকটা নিয়ে চর্চা না করাই উচিত (Have an Easier Relationship With Your In-Laws)
প্রথম-প্রথম শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু একটু সময় দিতে হবে, তা হলেই দেখবেন একদিন না-একদিন দুয়ে-দুয়ে মিলে ঠিক চার হয়ে যাবেই। ততদিন পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরে থাকুন। সমালোচনার পথে পা না বাড়িয়ে কোথায় ভুলটা হচ্ছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ, একথা ভুলে গেলে চলবে না যে বাবা-মায়ের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে না আপনার ভাল লাগবে, না আপনার স্বামীর! তাই এমন সমালোচনা করে কারও কোনও লাভ নেই। বরং ক্ষতিটাই বেশি। তাই যতই রাগ, অভিমান হোক, শ্বশুর-শাশুড়িকে খারাপ কথা বলবেন না। বরং প্রয়োজনে কিছু কথা এড়িয়ে যান। দেখবেন, কোনও অশান্তিই আপনার ভালবাসাকে ছুঁতে পারবে না!
৮| সব ক্ষেত্রে শুধু নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া চলবে না (Don’t Think Only For Yourself)
ভালবাসার ‘আমি’ত্বকে গুরুত্ব দিলে কিন্তু ভুল করবেন। আমিই সব। আমার ইচ্ছাই শেষ কথা, এমন নিয়মে চললে একদিন গাড্ডায় পরবেনই। তাই নিজেকে ভুলে গিয়ে ভালবাসার মানুষটারও ভালমন্দ নিয়ে ভাবুন। তার ছোট ছোট দুঃখ-কষ্টের দিকে নজর রাখুন। প্রয়োজনে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতেও পিছপা হবেন না। দেখবেন, আপনাকে এমনটা করতে দেখলে আপনার পার্টনারের মানসিকতাতেও পরিবর্তন আসবে। আর এইভাবেই তো লতায় পাতায় বেড়ে উঠবে আপনাদের প্রেম।
৯| একে অপরকে দোষারোপ করবেন না (Skip The Blame Game)
কোনও ভুল হয়ে গেলে একে অপরের উপর দোষ চাপাবেন না। তাতে তিক্ততা বাড়বে। বরং হাতে হাত মিলিয়ে ভুলের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন। তাতে যে ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছেন, তা তো মিটবেই, সেই সঙ্গে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসও বাড়বে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে শুরুতেই এই ৯ টি অভ্যেস রপ্ত করুন
১০| ভুলেও তুলনা নয় (Don’t Compare)
কারও সঙ্গে অন্যের তুলনা করা খুব খারাপ অভ্যেস। ভুলেও তাই আপনার স্বামীর সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করবেন না। হতে পারে আপনার পার্টনার কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন। তাই বলে তুলনা করলে তো আর সমাধান মিলবে না। বরং তাতে তাঁর খারাপ তো লাগবেই, সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও কমবে। বাড়বে তিক্ততাও। আর এমনটা চলতে থাকলে যে কেউ সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইবে। তাই তুলনা নয়, বরং হতে ধরে দেখিয়ে দিন ভুলটা। তাতে দু’জনের আত্মসম্মান যেমন বজায় থাকবে, তেমনই সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হবে।
সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তুলতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি (Tips For Building A Healthy Relationship):
১| যতটা সম্ভব একসঙ্গে সময় কাটান। তাতে একে-অপরের খারপ-ভাল দিকগুলি সম্পর্কে জেনে যাবেন। ফলে একসঙ্গে পথ চলাটা আরও একটু সহজ হয়ে যাবে।
২| ছোট-ছোট বিষয়ে পার্টনারকে উৎসাহ দিন। প্রয়োজনে তার সাফল্যের অংশীদার হন। একসঙ্গে সেলিব্রেট করুন সেই সাফল্য। এমন ছোট-ছোট খুশির মুহূর্তই তো সম্পর্ককে আগলে রাখে।
৩| আপনারা যাতে কিছুটা সময় নিজের পছন্দমতো কাটাতে পারেন, সেদিকে নজর দিন। তাতে একঘেয়েমি কাটবে। বাড়বে ভালবাসাও।
৪| অতীতকে ভুলে সামনে এগতে হবে। পুরনো সম্পর্কের বোঝা বইলে কিন্তু মুশকিল। তাতে আগের সম্পর্কের প্রভাব পড়বে বর্তমান সম্পর্কের উপরেও। ফলে অতীত সমস্যা আরও বাড়বে। তাই যা ঘটেছে, সেটা ঘটে গেছে। সেটা নিয়ে না ভেবে সামনের দিকে তাকান। সুন্দরভাবে গড়ে তুলুন নতুন এই প্রেমের সম্পর্ক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!