ইদানীং সৌমি লক্ষ্য করছে, ওর আগের জামা-কাপড় আর ফিট করছে না। বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ওজনটা (weight) বেড়েছে বেশ। আর এটা দেখেই প্রায় মাথায় বাজ! কী হবে এ বার! পইপই করে মা বলেছিল, এত ফাস্টফুড খাস না। এ বার তো সলিড চাপ! ওর বিরিয়ানির কী হবে! ভেবে ভেবেই একটা মোগলাই খেয়ে ফেলল। আসলে খাবার দেখলেই জিভে জল চলে আসে। কী করবে ও! সৌমি ভাবে, ওর দুঃখটা কেউ বুঝল না। বুঝতে পারে, ওর কষ্টের দিন আসন্ন। এ বার মা ওর ফাস্ট ফুড সবাই বন্ধ করিয়েই ছাড়বে। আর জিমে ভর্তি করে দেবে। এ ভাবে তো বিরিয়ানি ছেড়ে থাকা যাবে না, তাই ও এটা-সেটা পড়ে জানল, কয়েকটা ফল খেলে নাকি সহজেই ওজন কমে যাবে। প্রথমে তো বিশ্বাসই করেনি, তার পর অনেক ভেবেচিন্তে ভাবল, এটা ট্রাই করেই দেখা যায়। তাই সেই মতো কয়েকটা দিন একটু ফাস্ট ফুড বন্ধ করে দিল। আর নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে ওই ফলগুলো (fruits) খেতে শুরু করল। তার পর কয়েক দিন যেতেই বুঝল কামাল হয়ে গিয়েছে। ওর ওজন খানিকটা কমেছে। এখন সৌমি ভাবে, ভাগ্যিস ও ফল (fruits) খেতে ভালবাসত! না হলে যে কী হতো!
আসলে সৌমির মতো সমস্যায় ভোগেন বেশির ভাগ মানুষ। সে টিনএজার থেকে শুরু করে বয়স্করাও। কারণ আজকালকার যা লাইফস্টাইল, তাতে খাবারে ভেজাল তো আছেই, আর ফাস্টফুড খাওয়াও বেশি হয়। তা ছাড়া কাজের চাপ, স্ট্রেস, টেনশন- সব কিছুতে নানা রকম শারীরিক সমস্যা। আর তাতে ওজন (weight) বাড়তে বাধ্য। তাই ওজন কমানোর উপায় যদি ফল হয়, মানে ফল (fruits) খেয়ে যদি ওজন (weight) কমানো যায়, তা হলে ক্ষতি কী! এমনিতেই ফল তো স্বাস্থ্যের (health) পক্ষে খুবই ভাল। তা হলে নিয়ম করে খান এই ফলগুলি (fruits)। কয়েক দিন পর পরিবর্তনটা নিজেই লক্ষ্য করবেন।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্য, চুল আর ত্বকের যত্নে সবেদা (চিকু)
আপেল
লো ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার-যুক্ত এই ফল ওজন কমায়। ফলে ওজন প্রতি দিনের ডায়েটে সাধারণত যে পরিমাণ ফাইবার প্রয়োজন হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগের জোগান দেয় এই আপেল (apple)। আর এমনিতে তো আপেল (apple) প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। ফলে ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এ ছাড়া রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি। যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। আর তরমুজ বাজারে এল বলে। তা হলে দেরি কীসের! রোজ তরমুজ খেতে পারলে অতি দ্রুত মেদ ঝরবে এবং সহজেই কমবে ওজন (weight)।
স্ট্রবেরি
ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি ফল। এক কাপ স্ট্রবেরিতে মাত্র ৫০ গ্রাম ক্যালরি, ও ৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। পেট তো ভরায়ই। আর তার সঙ্গে নিয়মিত লো ক্যালোরির এই ফল খেলে শরীরের ওজন কমবে দ্রুত। শুধু তা-ই নয়, স্ট্রবেরি কিন্তু রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।
আনারস
আনারস এমনই একটি ফল, যা পেটের মেদ (fat) বা ভুঁড়ি কমাতে খুবই উপকার। আনারসে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। এই ফল (fruits) হজম শক্তি তো বৃদ্ধি করেই তার সঙ্গে মেদও (fat) কমাতে সাহায্য করে।
কমলালেবু
কমলালেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে কমলালেবু সাহায্য করে। একটা ছোট কমলালেবু থেকে ৪৫ ক্যালোরি মেলে। তবে রস করে খাওয়ার চেয়ে গোটা কমলালেবু খাওয়া চেষ্টা করুন। এতে বেশি উপকার।
পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে, তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে। যার ফলে ওজন সহজেই কমে যায়। প্রতিদিন পেঁপে খেলে ১০ দিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
শসা
ওজন (weight) কমাতে সব থেকে বেশি সাহায্য করে শসা। শসার মধ্যে যে জল থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য। তাই নিয়মিত শসা শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ তো হয়ই আর দেহের বিষাক্ত পদার্থও বেরিয়ে যায়।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন