রোজ সকালে উঠে বেরোতে হয়, আর ফিরতে ফিরতে সেই সন্ধে। এই ঘরে-বাইরে সারা বছর কাজ করতে গিয়ে স্কিনের (skin) বারোটা বেজে যায়। সময় করে সব সময় সঠিক যত্ন (care) নেওয়াটাও হয়ে ওঠে না। আর যত দিন যাচ্ছে, দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। ফলে ধুলো-বালিতে স্কিন (skin) আরও রাফ হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে অফিস বা পার্টিতে যাওয়ার জন্য হালকা অথবা ভারী মেকআপ। আর মেকআপের মধ্যে থাকা কেমিক্যালসও আপনার স্কিনের (skin) সর্বনাশ ডেকে আনছে। অনেক সময় ঠিক মতো মেকআপ রিমুভ করা না হলে চাপটা আরও বাড়ে। তো স্কিনের সঠিক যত্ন প্রয়োজন। আর এ সব থেকে স্কিনকে (skin) বাঁচাতে পারে টোনারই (toner)। তবে বাজারে পাওয়া যাওয়া টোনারে (toner) আমার একটু আপত্তিই রয়েছে। কারণ তাতে কম-বেশি কেমিক্য়ালস থাকবেই। ফলে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই বানিয়ে ফেলুন টোনার (toner)।
আরো পড়ুনঃ বাড়িতে কাজল তৈরির পদ্ধতি
গোলাপ জল
টোনার (toner) নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে গোলাপ জলের (rose water) নাম আসে। ২ কাপ ডিসটিলড ওয়াটার ও এক কাপ তাজা গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। ১০-১৫ মিনিট পরে দেখবেন, জলটা হালকা লাল বা গোলাপি রং ধারণ করেছে। তখন জলটা নামিয়ে নিন। তার পর ঠান্ডা করে গোলাপের পাপড়িগুলি ছেঁকে নিন। আবার শুকনো গোলাপের পাপড়ি দিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় গোলাপ জল (rose water)। দেড় কাপ ডিসটিলড ওয়াটার গরম করে নিন। এ বার একটি পাত্রে ১/৪ কাপ গোলাপের শুকনো পাপড়ি দিয়ে নিন। তার মধ্যে ফোটানো ডিসটিলড ওয়াটারটা ঢেলে পাত্রটা ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ এই ভাবে রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিন। এ ভাবে গোলাপ জল (rose water) তৈরি করে এক মাস ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ বার এটি ব্যবহার করা যায়।
বরফ
টোনার (toner) হিসেবে বরফ অতি পরিচিত। প্রতিদিন সকালে স্নানে যাওয়ার আগে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে বরফ ঘষে নিতে পারেন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন।
পুদিনা পাতা
এক লিটার গরম জলে পুদিনা পাতা ছেড়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তার পর জলটা ছেঁকে নিয়ে তা ঠান্ডা হতে দিন। তুলোর সাহায্যে ওই জলটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বক পরিষ্কার করে ও টোনার হিসেবেও কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে পিপারমিন্ট তেলের ভূমিকা
শসা কুচি-দই
একটি শশা কুচি করে কেটে তার সাথে ১/২ কাপ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তা মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফ্রিজে রেখে ২-৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরাও খুব ভাল টোনারের (toner) কাজ করে। অ্যালো ভেরার কেটে জেলির মতো পদার্থ বার করে নিয়ে মুখে ঘষে নিন। কিছু ক্ষণ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি
এক কাপ জলে একটি গ্রিন টি ব্যাগ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এ বার তুলো দিয়ে এই মিশ্রণটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। এটা আপনার ত্বককে নরম করে ও সতেজ রাখে।
ভিনিগার
টোনার বানাতে সমপরিমাণ ভিনিগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। তুলো দিয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগাতে থাকুন দিনে অন্তত ২-৩ বার।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব, পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!